আজকের দিন তারিখ ২৭শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, বুধবার, ১২ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ সংবাদ
সারাবিশ্ব জামিনের আবেদন খারিজ, ১৪ দিনের জেল হেফাজতে অনুব্রত

জামিনের আবেদন খারিজ, ১৪ দিনের জেল হেফাজতে অনুব্রত


পোস্ট করেছেন: dinersheshey | প্রকাশিত হয়েছে: আগস্ট ২৪, ২০২২ , ৫:৪৩ অপরাহ্ণ | বিভাগ: সারাবিশ্ব


দিনের শেষে ডেস্ক :   টিকল না অসুস্থতার যুক্তি, বুধবার আসানসোল বিশেষ সিবিআই আদালতে আবারও অনুব্রত মণ্ডলের জামিনের আবেদন খারিজ করে জেল হেফাজতে পাঠিয়েছেন। আপাতত ১৪ দিন জেলেই থাকতে হবে তাকে। আগামী ৭ সেপ্টেম্বর আদালতে তোলা হবে দাপুটে তৃণমূল নেতাকে। বুধবার এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে আনন্দবাজার। চারদিনের সিবিআই হেফাজত শেষে বুধবার ফের আসানসোল বিশেষ সিবিআই আদালতে তোলা হয় অনুব্রত মণ্ডলকে। শারীরিক অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে আরও একবার তার জামিনের আবেদন জানান আইনজীবী। তিনি বিচারককে বলেন, অনুব্রত মণ্ডল শারীরিকভাবে অসুস্থ। তাকে বাড়িতে রেখে চিকিৎসা করানোর সুযোগ দেওয়া হোক। অনুব্রতর যেকোনও মুহূর্তে অক্সিজেন প্রয়োজন হতে পারে। তৃণমূল নেতাকে ইনহেলার দেওয়ার নির্দেশ বিচারকের। এরপর অনুব্রত বিচারকের সঙ্গে কথা বলার অনুমতি চান। হাতজোড় করে তিনি বলেন, হুমকি চিঠি কে দিল, তার সিবিআই তদন্ত হোক। তবে বিচারক বলেন, এই মামলার সঙ্গে হুমকির কোনও সম্পর্ক নেই। তাই কেউ এ বিষয়ে কথা বলবেন না।

তবে প্রভাবশালী তত্ত্বে আরও একবার সিবিআইয়ের আইনজীবী অনুব্রতর জামিনের আবেদনের বিরোধিতা করেন। তার ১৪ দিনের জেল হেফাজতের আবেদন জানায় সিবিআই। জেলে গিয়ে জেরা করার অনুমতি চায় সিবিআই। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আইনজীবী বলেন, গরু পাচার মামলার তদন্তে অনেকের বয়ান রেকর্ড করা হয়েছে। অনুব্রতর নাম বারবার উঠে এসেছে। তাকে ছেড়ে দিলে তদন্ত প্রভাবিত হতে পারে। পালটা অনুব্রতর আইনজীবী প্রভাবশালী তত্ত্ব খারিজ করেন। তিনি বিচারককে বলেন, সবাইকে প্রভাবশালী বলার চেষ্টা করে সিবিআই। তাঁকে সিবিআই হেফাজতে নেওয়ার কোনও প্রয়োজন নেই।

অনুব্রতর আইনজীবীর যুক্তি, তিনি গরু পাচারে কোনওভাবে জড়িত নন। পশুহাট থেকে গরু কিনে সীমান্তে গরু পাচার করা হলে অনুব্রতের কী দোষ? সীমান্তে গরুপাচার হলে তার দায় বিএসএফের। দায়িত্ব এড়াতে পারে না বিএসএফ। এখনও পর্যন্ত শুধু একজন বিএসএফ কম্যান্ডান্ট গ্রেপ্তার হয়েছেন আর কেউ নয়। অনুব্রত সেফ প্যাসেজ করে দিতেন তার কোনও প্রমাণ নেই। অনুব্রতকে টার্গেট করা হচ্ছে। এটা একটা টার্গেটেড ইনভেস্টিগেশন। শুধু সন্দেহের বশে হেফাজতে চেয়েছে সিবিআই।

অনুব্রতর আইনজীবী আরও বলেন, উনি ওয়েল নোন পার্সন, মুখ্যমন্ত্রীও চেনেন। এটাই কি তার দোষ? এফআইআরে তার নামও নেই, নাম রয়েছে এনামুল হক ও তার দেহরক্ষী সায়গল হোসেনের। সায়গলের কোটি কোটি টাকার সম্পত্তি পাওয়া গিয়েছে। তার নামে কোনও বেনামি সম্পত্তি পেলে আয়কর দপ্তরকে পেনাল্টি দিয়ে দেবেন।

পালটা সিবিআইয়ের আইনজীবী জানান, অনুব্রতর নামে আমরা প্রচুর সম্পত্তির খোঁজ পেয়েছি। শুধু নিজের নয়, আত্মীয়ের নামে সম্পত্তির খোঁজ পাওয়া গিয়েছে। তদন্তে এতটুকু সাহায্য করছেন না অনুব্রত। এটা কোনও টার্গেটেড ইনভেস্টিগেশন নয়। একটাও প্রমাণ দিতে পারবেন যে এটা রাজনৈতিকভাবে করা হচ্ছে? গরু পাচার কোনও ছোটখাট অপরাধ নয়। এনামুল এই চক্রের মাথা। তার থেকে অনুব্রতর দেহরক্ষী সায়গল টাকা নিত। সেই টাকা অনুব্রতর কাছে যেত। এটা একটা চেন বিজনেস। অনেক ষড়যন্ত্রকারী রয়েছে। ঘণ্টাখানেক ধরে চলে শুনানি। কিছুক্ষণ রায়দান স্থগিত রাখেন বিচারক। পরে ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন তিনি।