আজকের দিন তারিখ ২৩শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, সোমবার, ৮ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ সংবাদ
জাতীয় জোয়ারের পানিতে বন্দি মগনামাবাসী

জোয়ারের পানিতে বন্দি মগনামাবাসী


পোস্ট করেছেন: admin | প্রকাশিত হয়েছে: জুন ৮, ২০১৬ , ৪:০০ অপরাহ্ণ | বিভাগ: জাতীয়


cox-কক্সবাজার: জোয়ারের পানিতে ফের প্লাবিত হয়ে পড়েছে পেকুয়ায় মগনামা ইউনিয়ন। সাগরের জোয়ারের পানিতে উপকূলবর্তী এই ইউনিয়নের ১ ও ২নং ওয়ার্ড তলিয়ে গেছে। পাউবোর বিলীন হওয়া বেড়িবাঁধের অংশ দিয়ে কুতুবদিয়া চ্যানেলের পানি সরাসরি লোকালয়ে প্রবেশ করছে। এতে ইউনিয়নে উত্তর অংশের দু’টি ওয়ার্ডের ২০টি গ্রাম এখন পানিতে নিমজ্জিত রয়েছে।

ফলে হাজার হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। অধিকাংশ বাড়িঘর পানির নিচে তলিয়ে গেছে। রাস্তাঘাট পানির নিচে থাকায় এসব এলাকার যাতায়াত বন্ধ রয়েছে। পানিবন্দি মানুষ নৌকা নিয়ে চলাচল করছে।

স্থানীয় সূত্র জানায়, মগনামা ইউনিয়নের দু’টি ওয়ার্ডে গত এক সপ্তাহ ধরে মানবিক বিপর্যয় দেখা দিয়েছে। বাড়িঘর লোনা পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় ঘরে চুলায় আগুন জ্বলছে না। নলকূপও পানির নিচে ডুবে রয়েছে। ক্ষুর্ধাত মানুষ ও পরিবারের সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। প্রচণ্ড লবণাক্ততার কারণে ওই দুই ওয়ার্ডসহ এ ইউনিয়নের বিপুল অংশে বিশুদ্ধ পানির তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে। এমন কোন পুকুর নেই যাতে লবণাক্ত পানি ঢুকে পড়েনি। এছাড়া পয়নিষ্কাশন ও দৈনন্দিন গৃহস্থালী কাজেও চরম ভোগান্তি দেখা দিয়েছে।

স্থানীয় বাসিন্দা নুরুল আবছার জানান, রোয়ানুর আঘাতে উপজেলার মগনামা ইউনিয়নের কুতুবদিয়া চ্যানেল সংশ্লিষ্ট পাউবোর বেড়িবাঁধ বিলীন হয়ে যায়। প্রায় দেড় কিলোমিটার বেড়িবাঁধ জোয়ারের পানির তোড়ে বিধ্বস্থ হয়। এরপর থেকে প্রতিনিয়ত পানি লোকালয়ে প্রবেশ করছে। বর্তমানে মগনামার অন্তত ২০টির বেশি গ্রামে নিয়মিত জোয়ারভাটা চলছে।

ইউপি সদস্য নুরুল আজিম জানান, ১ ও ২নং ওয়ার্ড পুরো পানিতে নিমজ্জিত রয়েছে। বাজারপাড়া, শরতঘোনা, পশ্চিম বাজারপাড়া, হারঘরপাড়া, হারুন মাতবরপাড়া, লালমিয়া পাড়া, দরদরিঘোনা, মটকাভাঙ্গা, চেরাংঘোনা, কালারপাড়া, শুদ্ধখালী পাড়া, ডলিন্যাপাড়া ও কাকপাড়ায় সড়কের উপরে প্রায় ২-৩ ফুট পানি হয়েছে। জোয়ারের পানিতে এসব এলাকা সয়লাব হয়েছে।

আরেক ইউপি সদস্য মোকতার আহমদ জানান, পানিতে আমাদের সবকিছু শেষ হয়ে গেছে। এভাবে পানির নিচে আর কতদিন থাকতে হবে আল্লাহ জানে। দ্রুত বেড়িবাঁধ সংস্কার না হলে মগনামা ছেড়ে পাহাড়ে চলে যেতে হবে।