ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোর বৈশ্বিক গ্রিন হাউস গ্যাস নিঃসরণ কম
পোস্ট করেছেন: dinersheshey | প্রকাশিত হয়েছে: সেপ্টেম্বর ২১, ২০২১ , ১২:২৮ অপরাহ্ণ | বিভাগ: /////হাইলাইটস/////
দিনের শেষে ডেস্ক : ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলো বৈশ্বিক গ্রিন হাউস গ্যাস নিঃসরণে সবচেয়ে কম অবদান রাখে, অথচ তারাই বেশি ক্ষতির শিকার হচ্ছে বলে বিশ্বনেতাদের সামনে তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সোমবার সকালে নিউ ইয়র্কে জাতিসংঘ সদর দপ্তরে জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ে বিভিন্ন রাষ্ট্র ও সরকার প্রধানদের এক বৈঠকে তিনি এই বিষয়টি তুলে ধরেন।
জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে যোগ দিতে যুক্তরাষ্ট্রে পৌঁছার পর এটাই ছিল প্রধানমন্ত্রীর প্রথম কর্মসূচি। এই বৈঠকের আয়োজন করায় যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন ও জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসকে ধন্যবাদ জানান বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী। বৈঠকে জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব মোকাবিলা বিষয়ক ছয়টি সুপারিশও পেশ করেছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী।
শেখ হাসিনা তার প্রস্তাবে বৈশ্বিক তাপমাত্রা বৃদ্ধি ১.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে রাখতে প্যারিস চুক্তির কঠোর প্রয়োগের আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি উন্নত দেশগুলো কাছ থেকে বার্ষিক ১০০ বিলিয়ন ডলার জলবায়ু তহবিল আদায়ের ওপরও জোর দেন। এ তহবিলের ৫০ শতাংশ জলবায়ু ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোতে অভিযোজন ও স্থিতিস্থাপকতার জন্য ব্যবহার করা হবে। উন্নয়শীল দেশগুলোতে নতুন আর্থিক প্রক্রিয়া এবং সবুজ প্রযুক্তি হস্তান্তরের প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে লোকসান এবং ক্ষয়ক্ষতির সমস্যা এবং বৃহৎ আকারের জনসংখ্যার স্থানচ্যুতি মোকাবিলার আহ্বান জানিয়েছেন।
জলবায়ু পরিবর্তনের সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিতে এবং ক্ষতি প্রশমনে ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোর প্রতি বিশ্ব সম্প্রদায়ের দায়বদ্ধতার কথা স্মরণ করিয়ে দেন প্রধানমন্ত্রী। এই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ঝুঁকিপূর্ণ দেশ হওয়ার পরও সীমিত সম্পদ নিয়ে বাংলাদেশে ক্ষতি প্রশমনের ক্ষেত্রে বিশ্বকে পথ দেখাচ্ছে। জলবায়ু ক্ষতি কাটাতে বাংলাদেশের কর্মপরিকল্পনা ইউএন ফ্রেমওয়ার্ক কনভেনশন অন ক্লাইমেট চেঞ্জ (ইউএনএফসিসিসি) এ দেওয়ার কথা বলেন শেখ হাসিনা।
তিনি একই সঙ্গে বলেন, ‘আমরা ‘মুজিব জলবায়ু সমৃদ্ধি পরিকল্পনা’ গ্রহণ করেছি। যার মূলে রয়েছে পরিবেশসম্মত প্রবৃদ্ধি, ক্ষতি প্রশমনের অবকাঠামো তৈরি ও নবায়নযোগ্য জ্বালানির ব্যবহার। জলবায়ু ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোর ফোরামের চেয়ারম্যান হিসেবে এই দেশগুলোর স্বার্থ আদায়কেই বাংলাদেশ অগ্রাধিকার দিচ্ছে বলে জানান তিনি। ‘গ্লোবাল সেন্টার ফর অ্যাডাপটেশন’ এর আঞ্চলিক দপ্তর ঢাকায় প্রতিষ্ঠার বিষয়টি তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, জলবায়ু ক্ষতি কাটাতে খাপ খাইয়ে নেওয়ার চেষ্টায় অন্য দেশগুলোকেও সহযোগিতা করে যাবে বাংলাদেশ।