আজকের দিন তারিখ ২২শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, শুক্রবার, ৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ সংবাদ
রাজনীতি টার্গেট কিলিং বন্ধে ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধ প্রয়োজন

টার্গেট কিলিং বন্ধে ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধ প্রয়োজন


পোস্ট করেছেন: admin | প্রকাশিত হয়েছে: জুন ১৪, ২০১৬ , ৮:১৪ অপরাহ্ণ | বিভাগ: রাজনীতি


13কাগজ অনলাইন প্রতিবেদক: জনগণের জানমালের নিরাপত্তা বিধানে সরকার চূড়ান্ত দায়িত্বহীনতার পরিচয় দিয়ে চলেছে উল্লেখ্য করে বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেছেন, ‘ধারাবাহিক ‘টার্গেট কিলিং’ মানুষের মধ্যে গভীর আতংক সৃষ্টি করেছে। ঘাতকদের গ্রেপ্তার করার পরিবর্তে এসব রোমহর্ষক ঘটনা থেকে রাজনৈতিক সুবিধা আদায়ের অপকৌশলের কারণে ঘাতকেরা ধরাছোঁয়ার বাইরে থাকছে, তারা উৎসাহিত হচ্ছে। কেবল প্রচারসর্বস্ব গণগ্রেপ্তার করে এর সমাধান করা যাবে না, টার্গেট কিলিং বন্ধে এই মুহূর্তে ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধ প্রয়োজন।’

মঙ্গলবার (১৪ জুন) দুপুরে রাজধানীর পুরানা পল্টনস্থ মুক্তি ভবনে বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির যুগপূর্তি উপলক্ষে ‘বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি ও করণীয়’ শীর্ষক আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

সাইফুল হক বলেন, ‘জনসমর্থনহীন সরকারের অগণতান্ত্রিক-স্বৈরতান্ত্রিক শাসন একদিকে চক্রান্ত-ষড়যন্ত্রের ক্ষেত্র তৈরি করছে, অন্যদিকে জঙ্গিবাদী-মৌলবাদী তৎপরতার সুযোগ বিস্তৃত করছে।’

সভায় বাসদের সাধারণ সম্পাদক খালেকুজ্জামান বলেন, ‘দেশের বিদ্যমান সংকটের উৎস রাজনীতি। তাই রাজনৈতিকভাবেই এ সংকট উত্তরণে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। নিয়মতান্ত্রিক পথে সরকার পরিবর্তন বা প্রতিনিধি নির্বাচনের সুযোগ বন্ধ হয়ে গেলে দেশে নৈরাজ্যকর পরিস্থিতি আরো ঘনীভূত হবার আশংকা রয়েছে। তা কেবল সরকার নয়, সমগ্র দেশ ও জনগণের জন্য ভয়াবহ বিপদ ডেকে আনতে পারে।’

তিনি আরো বলেন, ‘জনগণের ক্ষোভ-বিক্ষোভকে বিবেচনায় না নিয়ে কেবল দমন-নির্যাতনের পথে সরকার তার ফ্যাসিবাদী শাসন দীর্ঘায়িত করার যে আত্মঘাতি পথ গ্রহণ করেছে উন্নয়নের ঢোল বাজিয়ে তা থেকে বেরিয়ে আসা যাবে না। উন্নয়নের কথা বলে সরকার গণতন্ত্র ও মুক্তমতকে একসঙ্গেই বনবাসে পাঠিয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘পুরো দেশকে দুর্নীতিবাজ, জবরদখল ও লুণ্ঠনকারীদের অভয়ারণ্যে পরিণত করা হয়েছে। এ অবস্থায় দেশের গণতান্ত্রিক ভবিষ্যৎ আজ গভীর অন্ধকারে নিমজ্জিত।’

সভায় বক্তারা বর্তমান পরিস্থিতি থেকে বেরিয়ে আসতে প্রগতিশীল গণতান্ত্রিক শক্তি ও দেশপ্রেমিক জনগণের ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান।

এ সসয় অন্যান্যের মধ্যে রাখেন- বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আবু জাফর আহমেদ, জাতীয় গণফ্রন্টের সমন্বয়ক টিপু বিশ্বাস, নাগরিক ঐক্যের প্রধান উপদেষ্টা এস.এম আকরাম, বিশিষ্ট সাংবাদিক আবু সাঈদ খান, বাম মোর্চার নেতা অধ্যাপক আবদুস সাত্তার, জোনায়েদ সাকি, মানস নন্দি, জাতীয় মুক্তি কাউন্সিলের সাধারণ সম্পাদক ফয়জুল হাকিম লালা, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির নেত্রী বহ্নিশিখা জামালী, আকবর খান ও আনসার আলী দুলাল প্রমুখ।