টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের যত অঘটন
পোস্ট করেছেন: dinersheshey | প্রকাশিত হয়েছে: জুন ৭, ২০২৪ , ৪:২৫ অপরাহ্ণ | বিভাগ: স্পোর্টস
দিনের শেষে ডেস্ক : টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের চলমান আসরে পাকিস্তানকে সুপার ওভারে হারিয়ে চমক সৃষ্টি করেছে আইসিসির সহযোগী দেশ যুক্তরাষ্ট্র। ২০০৯ সালের চ্যাম্পিয়ন ও ২০২২ সালের আসরের ফাইনালিস্টদের হারিয়ে অঘটন ঘটিয়েছে স্বাগতিকরা। বিশ ওভারের মহারণে এর আগেও এমন কয়েকটি অঘটন হয়েছে। সেগুলোর দিকে আলোকপাত করা যাক।
নেদারল্যান্ডসের কাছে ইংল্যান্ডের পরাজয়
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ইতিহাসে অন্যতম চমক ছিল ২০০৯ সালের আসর। সেই আসরে উদ্বোধনী ম্যাচেই ক্রিকেটের জনক ইংল্যান্ডকে হারিয়ে দেয় আনকোরা নেদারল্যান্ডস। লর্ডসে অনুষ্ঠিত ম্যাচে শেষ বলে জিতে ইতিহাস গড়ে নেদারল্যান্ডস।
২০০৯ সালের ৫ জুন অনুষ্ঠিত হওয়া সেই ম্যাচে লুক রাইটের ৪৬ বলে ৭১ রানের ইনিংসে ভর করে ২০ ওভারে ১৬২ রান তুলেছিল ইংল্যান্ড। জবাব দিতে নেমে রায়ান টেন ডোশাটে এবং পিটার বোরেনের দুটি ইনিংসে ভর করে ম্যাচ জয়ের কাছাকাছি চলে যায় নেদারল্যান্ডস।
নামিবিয়ার কাছে ধরাশায়ী শ্রীলঙ্কা
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ইতিহাসে আরেকটি অঘটন ছিল ২০২২ সালের আসরে নামিবিয়ার কাছে শ্রীলঙ্কার পরাজয়। ম্যাচে শ্রীলঙ্কাকে ৫৫ রানের বড় ব্যবধানে হারায় নামিবিয়া।
অস্ট্রেলিয়াকে চমকে দিলো জিম্বাবুয়ে
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের প্রথম আসরেই ঘটে যায় অঘটন। যে ম্যাচে অস্ট্রেলিয়াকে কাঁদিয়ে ছাড়েন জিম্বাবুয়ের ২১ বছর বয়সী ব্রেন্ডন টেলর। পরবর্তীতে যিনি হয়ে উঠেছিলেন দেশটির কিংবদন্তি।
ম্যাচে কেপটাউনে আগে ব্যাট করে জিম্বাবুয়ের বোলারদের বিপক্ষে ১৩৮ রানের বেশি করতে পারেনি রিকি পন্টিংয়ের দল। জবাব দিতে নেমে টেলরের অপরাজিত ৬০ রানের ইনিংসে ভর করে ১ বল হাতে রেখেই ৫ উইকেটের জয় তুলে নেয় জিম্বাবুয়ে।
এশিয়ার দেশগুলোর মাঝে আফগানিস্তান ক্রিকেটে আগমন করেছে নিজেদের সামর্থ্য দেখিয়ে। ২০১৬ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে সেটা আরেকবার দেখিয়ে দিলো তারা। ২০১২ সালের চ্যাম্পিয়নদের ৬ রানে হারিয়ে ইতিহাস রচনা করে মোহাম্মদ নবীর দল।
ম্যাচে প্রথমে ব্যাট করে নজিবুল্লাহ জাদরানের ব্যাটে ভর করে ২০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ১২৩ রান করে আফগানিস্তান। দলের বিপর্যয়ে নেমে নজিবুল্লাহ ৪০ বলে চারটি বাউন্ডারি এবং একটি ছক্কার সাহায্যে ৪৮ রান করেন।