ডেঙ্গুতে এত মৃত্যু আগে দেখেনি বাংলাদেশ
পোস্ট করেছেন: dinersheshey | প্রকাশিত হয়েছে: সেপ্টেম্বর ১৫, ২০২৩ , ৩:১৭ অপরাহ্ণ | বিভাগ: /////হাইলাইটস/////
দিনের শেষে প্রতিবেদক : দেশে ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা সব রেকর্ড ছাড়িয়ে গেছে। চলতি বছরের আট মাস শেষ হওয়ার আগেই দুটি পরিসংখ্যানই অতীতের যে কোনো এক বছরের হিসাবকে অতিক্রম করেছে। এর আগে ২০১৯ সালে সর্বোচ্চ ১ লাখ ১ হাজার ৩৫৪ জন ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। পরিসংখ্যান বলছে, মশাবাহিত রোগের মধ্যে সারা বিশ্বে ম্যালেরিয়ায় আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা সবচেয়ে বেশি। কিন্তু বাংলাদেশে চিত্রটা উল্টো। এ দেশে পার্বত্য চট্টগ্রামসহ ১৩ জেলায় ম্যালেরিয়া প্রকোপ ছড়ালেও ডেঙ্গু ছড়িয়েছে ৬৪ জেলায়। এ কারণে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যাও বেশি। সরকারি তথ্যমতে, গত ২৩ বছরে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে ৩ লাখ ৪৫ হাজার ২১০ রোগী হাসপাতালে ভর্তি হন। ১ হাজার ৩৫৩ জন মারা যান। এর মধ্যে চলতি বছরে আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা সবচেয়ে বেশি। আবহাওয়ার পূর্বাভাস ও পারিপার্শ্বিক পরিস্থিতি বিশ্লেষণ করে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আগামী নভেম্বর পর্যন্ত দেশে ডেঙ্গুর প্রকোপ থাকতে পারে। মশা নিধনে দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা ছাড়া এ মহামারি থেকে প্রতিকারের কার্যকর পথ নেই। কীটতত্ত্ববিদ এবং জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক কবিরুল বাশার বলেন, ২০০৭ থেকে ২০১০ সাল পর্যন্ত বিশ্বজুড়ে ডেঙ্গুর প্রকোপ কম ছিল। এখন শুধু বাংলাদেশ নয়, বিশ্বজুড়েই ডেঙ্গুর প্রকোপ শুরু হয়েছে। সেই ধাক্কা বাংলাদেশেও লেগেছে। রোগ যখন সর্বাঙ্গে ছড়িয়ে পড়ে তখন সেটি নির্মূল করা আর সম্ভব নয়। ডেঙ্গুর তথ্য বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, ২০১৯ সালের চেয়ে এ বছর ঢাকায় রোগী কম। এখন সারা দেশে এডিস মশা ছড়িয়ে পড়েছে। বর্তমান পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে মনে হয় ডেঙ্গু নিয়েই আমাদের বাঁচতে হবে। প্রতিকারের পরামর্শ দিয়ে তিনি বলেন, বিশ্বের কোনো দেশ ডেঙ্গুকে নির্মূল করতে পারেনি। এটি সম্ভবও নয়। তবে মশা নিধনের ১০ বছর মেয়াদি মাস্টারপ্ল্যান করা দরকার। তাহলে ডেঙ্গুর প্রকোপ নিয়ন্ত্রণ করা যাবে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক (এমআইএস) অধ্যাপক ডা. মো. শাহাদাত হোসেন বলেন, এ বছর ডেঙ্গুর গন্তব্য কোথায় গিয়ে থামে, সেটি এখনই স্পষ্ট করে বলা যাচ্ছে না। জানা যায়, বিশ্বে ১৭৮০ সালে প্রথম ডেঙ্গু দেখা দেয়। এরপর ১৯৫০ সালে এশিয়ার থাইল্যান্ড ও ফিলিপাইনে ডেঙ্গুর সংক্রমণ ছড়ায়। পরে ১৯৬৩ সালে ভারতের কলকাতা এবং ১৯৬৪ সালে বাংলাদেশের ঢাকায় ডেঙ্গুর সংক্রমণ দেখা দেয়। সে সময় ডেঙ্গুকে ‘ঢাকা ফিভার’ নামে অভিহিত করা হয়। ২০০০ সাল থেকে বাংলাদেশে সরকারিভাবে ডেঙ্গুকে রোগ হিসেবে দেখা হয়।