আজকের দিন তারিখ ২৮শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, শনিবার, ১৩ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ সংবাদ
/////হাইলাইটস///// ডেঙ্গুতে মৃত্যুহার সবচেয়ে বেশি বাংলাদেশে

ডেঙ্গুতে মৃত্যুহার সবচেয়ে বেশি বাংলাদেশে


পোস্ট করেছেন: dinersheshey | প্রকাশিত হয়েছে: সেপ্টেম্বর ৪, ২০২৩ , ৩:৪৫ অপরাহ্ণ | বিভাগ: /////হাইলাইটস/////


দিনের শেষে প্রতিবেদক : বিশ্বে শুধু ব্রাজিলেই এর চেয়ে বেশি মৃত্যু হয়েছে এ বছর। দেশটিতে ৯১২ জনের মৃত্যুর তথ্য পাওয়া গেছে। তবে তথ্য পর্যালোচনায় বাংলাদেশের চেয়ে বেশি মৃত্যুহার আর কোনো দেশে দেখা যাচ্ছে না। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এবং ইউরোপিয়ান সেন্টার ফর ডিজিজ প্রিভেনশন অ্যান্ড কন্ট্রোলের (ইসিডিসি) সর্বশেষ পরিসংখ্যানে দেখা যায়, দক্ষিণ আমেরিকার কয়েকটি দেশে ডেঙ্গুর প্রকোপ বরাবরের মতো এ বছরও বেশি। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ব্রাজিলে। দেশটিতে এ বছর ডেঙ্গু শনাক্ত হয়েছে ১১ লাখ ৮৭ হাজার ৭০৮ জনের। এর মধ্যে মারা গেছেন ৯১২ জন। মৃত্যুহার শূন্য দশমিক শূন্য ৭ । বাংলাদেশের প্রতিবেশী দেশ ও এশিয়ার মধ্যে ডেঙ্গু বেশি মালয়েশিয়ায়। মালয়েশিয়ার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সর্বশেষ হিসাবে দেশটিতে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ৭৫ হাজার ৯২৮। এর মধ্যে মারা গেছেন ৫৪ জন। দেশটিতে মৃত্যুহার শূন্য দশমিক শূন্য ৭ । এই অঞ্চলে থাইল্যান্ড, ভিয়েতনাম ও ভারতেও ডেঙ্গুর সংক্রমণ একটু বেশি। কিন্তু এই তিন দেশেও মৃত্যুহার বাংলাদেশের চেয়ে অনেক কম। ভারতে মৃত্যুহার শূন্য দশমিক ১। তবে বাংলাদেশে যাঁরা হাসপাতালে ভর্তি হন এবং তাঁদের মধ্যে কতজন মারা যাচ্ছেন, সেই হিসাব দেওয়া হয়; কিন্তু প্রকৃত আক্রান্ত রোগীর সংখ্যার সঙ্গে তুলনা করলে হারটা হয়তো কম হতো। বিশ্বের যেসব দেশে ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়েছে, তার পরিসংখ্যান বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ও ইসিডিসির ওয়েবসাইটে পাওয়া যায়। এসব দেশের সঙ্গে তুলনা করলে দেখা যায়, চলতি বছর আগস্টের শেষ পর্যন্ত মৃত্যুহার বাংলাদেশেই সবচেয়ে বেশি। বাংলাদেশে ২০০ রোগী হাসপাতালে ভর্তি হলে তাঁর মধ্য থেকে একজন মারা যাচ্ছেন। আবার ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মতো প্রতিষ্ঠানে ১০০ জন ভর্তি হলে তাঁদের মধ্যে ২ জন মারা যাচ্ছেন। বেশি মৃত্যুর কারণ কী? উত্তরে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের রোগনিয়ন্ত্রণ শাখার সাবেক পরিচালক জনস্বাস্থ্যবিদ অধ্যাপক বেনজির আহমেদ বলেন, তিনটি কারণে বাংলাদেশে মৃত্যুহার বেশি হতে পারে বা বেশি মনে হতে পারে। বাংলাদেশে যাঁরা হাসপাতালে ভর্তি হন এবং তাঁদের মধ্যে কতজন মারা যাচ্ছেন, সেই হিসাব দেওয়া হয়; কিন্তু প্রকৃত আক্রান্ত রোগীর সংখ্যার সঙ্গে তুলনা করলে হারটা হয়তো কম হতো। দ্বিতীয়ত, বাংলাদেশে একই সঙ্গে ডেঙ্গুভাইরাসের দুটি ধরন সক্রিয় আছে। এর জন্য রোগীর জটিলতা বেশি দেখা দিচ্ছে। তৃতীয়ত, হাসপাতালে রোগী ব্যবস্থাপনায় ত্রুটি থাকতে পারে। রোগীর শরীরে তরল ব্যবস্থাপনা (ফ্লুইড ম্যানেজমেন্ট) এবং অণুচক্রিকা ব্যবস্থাপনা ঠিক হচ্ছে কি না, তার সঠিক চিত্র জানা নেই। বিশ্বের যেসব দেশে ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়েছে, তার পরিসংখ্যান বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ও ইসিডিসির ওয়েবসাইটে পাওয়া যায়। এসব দেশের সঙ্গে তুলনা করলে দেখা যায়, চলতি বছর আগস্টের শেষ পর্যন্ত মৃত্যুহার বাংলাদেশেই সবচেয়ে বেশি। তবে ৩১ আগস্ট বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সাপ্তাহিক পর্যালোচনায় বলা হয়েছে, ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে মৃতদের মধে ৫৫ শতাংশ রোগী হাসপাতালে ভর্তির ২৪ ঘণ্টার মধ্যে মারা গেছেন। ৮১ শতাংশের মৃত্যু হয়েছে ভর্তি হওয়ার তিন দিনের মধ্যে। এর অর্থ, যাঁরা মারা যাচ্ছেন, তাঁরা দেরি করে হাসপাতালে আসছেন। যখন হাসপাতালে আসছেন, তখন চিকিৎসকদের বিশেষ কিছু করার থাকছে না। ওই পর্যালোচনায় বলা হয়েছে, মৃত রোগীর ৬৪ শতাংশের মধ্যে ডেঙ্গুর শক সিনড্রোম দেখা গেছে। ২৪ শতাংশ রোগীর লক্ষণ ছিল এক্সপানডেড ডেঙ্গু। ডেঙ্গু হেমোরেজিক ফিভার ছিল ৮ শতাংশ রোগীর। আর মৃত ব্যক্তির ৪ শতাংশের অন্যান্য দীর্ঘস্থায়ী রোগের সঙ্গে ডেঙ্গুও ছিল।