আজকের দিন তারিখ ২৪শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, রবিবার, ৯ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ সংবাদ
/////হাইলাইটস///// ডেঙ্গু পরিস্থিতির অবনতি

ডেঙ্গু পরিস্থিতির অবনতি


পোস্ট করেছেন: dinersheshey | প্রকাশিত হয়েছে: সেপ্টেম্বর ১, ২০২৩ , ২:৪৮ অপরাহ্ণ | বিভাগ: /////হাইলাইটস/////


দিনের শেষে প্রতিবেদক : দেশে ডেঙ্গুর সার্বিকভাবে পরিস্থিতি অবনতির দিকে যাচ্ছে। ডেঙ্গুতে মৃত্যুর দিক থেকে চলতি বছর এখন পর্যন্ত ভয়ঙ্কর হিসেবে চিহ্নিত হয়ে রইল আগস্ট মাস। দেশে ডেঙ্গু আক্রান্ত ও মৃত্যুর পরিসংখ্যান রাখা শুরুর পর থেকে এ পর্যন্ত চলতি বছরের আগস্টে সবচেয়ে বেশি মৃত্যু হয়েছে। মাসটির ৩১ দিনে ডেঙ্গুতে ৩৪২ জনের মৃত্যু হয়েছে। ২০২১ থেকে ২০২৩ সালে আটটি বিভাগের ডেঙ্গু আক্রান্ত ও মৃত্যুর পরিসংখ্যান থেকে দেখা গেছে, ঢাকা, চট্টগ্রাম ও বরিশালে সংক্রমণের হার সবচেয়ে বেশি। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ২০০০ সাল থেকে ডেঙ্গুতে মৃত্যু ও আক্রান্তের তথ্য সংরক্ষণ করছে। এর আগে মশাবাহিত এই রোগটি জনস্বাস্থ্যের জন্য তেমন হুমকি ছিল না বলে মনে করেন জনস্বাস্থ্যবিদরা। এরপর থেকে প্রতিবছর দেশের বহু মানুষ ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হচ্ছেন এবং মারা যাচ্ছেন। ২০১৯ সালে এ রোগ মারাত্মক আকার ধারণ করে। ওই বছর এক লাখের বেশি মানুষ আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন, মৃত্যু হয় ১৭৯ জনের। ২০১৯ সালের জুলাই মাসে দেশে সর্বোচ্চ সংখ্যক মানুষ ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছিলেন, সংখ্যাটি ছিল ১৬ হাজার ২৫৩ জন। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার হিসাবে, ২০২২ সালে বাংলাদেশে ডেঙ্গুতে মৃত্যুর হার ছিল সবোর্চ্চ। সে বছর জুন মাস থেকে ব্যাপক বৃষ্টি শুরু হয়েছিল। বৃষ্টিপাতের সঙ্গে তাপমাত্রা এবং আর্দ্রতাও বেড়েছিল। এরফলে দেশে মশার সংখ্যাও বহুগুণ বেড়ে গিয়েছিল। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) গেল মঙ্গলবার প্রকাশিত ‘ডেঙ্গু সিচুয়েশন রিপোর্ট’ শীর্ষক প্রতিবেদনে বলেছে, এবার বাংলাদেশে ডেঙ্গু আক্রান্তদের মৃত্যু বেশি শক সিনড্রোমে। শকে চলে যাওয়া ব্যক্তির রক্তচাপ অতিদ্রুত কমে যায়, রক্তে অণুচক্রিকার পরিমাণ কমে এবং পরিস্থিতি দ্রুত খারাপ হয়। অনেক ক্ষেত্রে রোগী অজ্ঞান হয়ে যায়। চলতি বছর মোট মৃত্যুর ৬৪ শতাংশ শক সিনড্রোমে বলে ওই প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়। এছাড়া অন্য কারণের মধ্যে রয়েছে– এক্সপান্ডেড ডেঙ্গু সিনড্রোম, ২৩ শতাংশ; হেমোরোজিক ফিভার, ৯ শতাংশ ও কোমরবিডিটি, ৪ শতাংশ। ডব্লিউএইচওর প্রতিবেদনে আরো বলা হয়, শক সিনড্রোমে বেশি মৃত্যু ঢাকার বাইরে, ৭৩ শতাংশ। এর আগে অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক আবুল বাসার মোহাম্মদ খুরশীদ আলমও বলেছিলেন, এবার ডেঙ্গুর শক সিনড্রোমে মৃত্যু হচ্ছে বেশি। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হিসাব অনুযায়ী, চলতি বছরের জানুয়ারিতে ডেঙ্গুতে মারা গেছেন ছয়জন। এই সংখ্যা-ফেব্রুয়ারিতে তিন, এপ্রিলে দুই, মে মাসে দুই, জুনে ৩৪ ও জুলাইয়ে ২০৪ জন। মার্চে ডেঙ্গুতে কারও মৃত্যু হয়নি। আর আক্রান্ত হয়েছেন-জানুয়ারিতে ৫৬৬ জন, ফেব্রুয়ারিতে ১৬৬, মার্চে ১১১, এপ্রিলে ১৪৩, মে মাসে ১ হাজার ৩৬, জুনে ৫ হাজার ৯৫৬, জুলাইয়ে ৪৩ হাজার ৮৫৪ এবং আগস্টে ৭১ হাজার ৯৭৬ জন