তালেবানের সঙ্গে বিরোধ, কাবুলে পাকিস্তানের বিমান চলাচল বন্ধ
পোস্ট করেছেন: dinersheshey | প্রকাশিত হয়েছে: অক্টোবর ১৫, ২০২১ , ১:২৭ অপরাহ্ণ | বিভাগ: সারাবিশ্ব
দিনের শেষে ডেস্ক : তালেবানের সঙ্গে বিরোধের জেরে কাবুলে বিমান বন্ধ করেছে পাকিস্তানের বিমানসংস্থা পিআইএ (পাকিস্তান ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইন্স)। তালেবান তাদের ভাড়া কমাতে বলেছিল। কিন্তু এ শর্তে পিআইএ রাজি হয়নি। ফলে ইসলামাবাদ ও কাবুলের মধ্যে বিমান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। শুক্রবার জার্মান সংবাদমাধ্যম ডয়চে ভেলে এ খবর জানিয়েছে। ইসলামাবাদ থেকে কাবুল পর্যন্ত ৪০ মিনিটের এ বিমানযাত্রার জন্য টিকিটের দাম নেয়া হতো এক হাজার ৬০০ ডলার। কিন্তু তালেবান শাসনের আগে এ বিমানযাত্রার জন্য দিতে হতো মাত্র ১৫০ ডলার। তালেবান তাই নির্দেশ দিয়েছে পিআইএ ও আফগান বিমানসংস্থা ক্যাম এয়ারকে টিকিটের দাম কমাতে হবে এবং আগে তারা যে দাম নিচ্ছিল, সেটাই নিতে হবে।
তাতেই ক্ষুব্ধ হয়ে ইসলামাবাদ ও কাবুলের মধ্যে বিমান চলাচল বন্ধ করে দিয়েছে পিআইএ। তাদের অভিযোগ, তলেবানের অপেশাদার মনোভাবের জন্যই তাদের এই সিদ্ধান্ত নিতে হলো। তবে তার সঙ্গে সুরক্ষা নিয়ে চিন্তার কথাও জানিয়েছে পিআইএ। পিআইএ-র দেখাদেখি ক্যাম এয়ারও এক হাজার ডলার ভাড়া নিচ্ছিল। তাদেরও টিকিটের দাম কমাতে বলা হয়েছে। গত আগস্টের মাঝামাঝি থেকে ইসলামাবাদ-কাবুল বিমান আবার চালাতে শুরু করে পিআইএ। কিন্তু তাদের বক্তব্য, এ রুট আর আদৌ আর্থিক দিক থেকে লাভজনক নয়। এখন এনজিও-র সঙ্গে যুক্ত যাত্রীরা বিমানে চড়ে কাবুল যান বা সেখান থেকে আসেন। আর কিছু আফগান মানবিক কারণে বিদেশে যেতে চান। তারা বিমানে চড়েন। তাছাড়া সাধারণ যাত্রী পাওয়া যায় না।
পিআইএ জানিয়েছে, এই রুটে বিমান চালাতে গেলে চার লাখ ডলার বিমার প্রিমিয়াম দিতে হচ্ছে। নিয়মিত গড়ে ৩০০ যাত্রী বিমানে চড়লে তবেই বিমান চালানো সম্ভব। আফগনিস্তানের বেসামরিক বিমান পরিবহন মন্ত্রণালয় এসব যুক্তি শুনতে চায়নি। তারা বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছে, পিআইএ ও ক্যাম এয়ারকে তালেবান শাসনের আগের ভাড়াই নিতে হবে। যদি এ নির্দেশ অমান্য করা হয়, তাহলে এই রুট বন্ধ করে দেয়া হবে বলেও জানিয়ে দেয়া হয়।
বিদেশি বিমানসংস্থাগুলো এখনো কাবুল থেকে কোনো বিমান চালাচ্ছে না। তাই আফগানিস্তানের বাইরে যেতে হলে অন্যতম ভরসা ছিল পিআইএ-র বিমান। সম্প্রতি পাকিস্তানের সঙ্গে একটি সীমান্ত দিয়ে যাতায়াতও বন্ধ করে দিয়েছে তালেবান। কারণ, পাকিস্তানি রক্ষীরা আফগানদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করছিল বলে অভিযোগ উঠেছে। এরপর বিমানে যাত্রীর সংখ্যা কিছুটা বেড়েছিল।