তিন্দু ও রেমাক্রিতে আটকা পড়েছেন অর্ধশতাধিক পর্যটক
পোস্ট করেছেন: admin | প্রকাশিত হয়েছে: জুন ১২, ২০১৬ , ১১:৫০ পূর্বাহ্ণ | বিভাগ: জাতীয়
বান্দরবান: বান্দরবানের থানচিতে পাহাড়ি ঢলে সাঙ্গু নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় তিন্দু ও রেমাক্রি ইউনিয়নে আটকা পড়েছেন প্রায় অর্ধশতাধিক পর্যটক।
শনিবার (১১ জুন) বিকেল থেকে উপজেলার দু’টি ইউনিয়নের পর্যটন স্পটগুলোতে ঘুরতে যাওয়া পর্যটকরা আটকা পড়েন।
বান্দরবান গাইড ট্যুর-এর গাইড ডাবলু বড়ুয়া জানান, গত তিনদিনের টানা বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে থানচির তিন্দু ও রেমাক্রি ইউনিয়নে সাঙ্গু নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে প্রবল স্রোত ও পাথুরে পিচ্ছিল নৌপথ বিপদজনক হয়ে পড়ে। ফলে দুর্ঘটনার আশঙ্কায় নৌ-চলাচল বন্ধ রয়েছে।
এতে ওই দুই ইউনিয়নের নাফাখুম, সাতভাইখুম, বড়মদক, ছোটমদক, আমিয়খুম, রেমাক্রি, তিন্দুসহ বিভিন্ন পর্যটন স্পটগুলোতে ঘুরতে যাওয়া অর্ধ শতাধিক পর্যটক আটকা পড়েছেন।
এছাড়াও স্থানীয় ব্যবসায়ীসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার লোকজন পড়েছেন বিপাকে। তবে বৃষ্টিপাত কমে যাওয়ায় নদীর পানি কমতে শুরু করেছে বলেও জানা গেছে। থানচির তিন্দু ও রেমাক্রি ইউনিয়নের পর্যটন স্পটগুলোতে সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা না থাকায় নৌ-পথের উপর নির্ভর করতে হয় স্থানীয় লোকজন ও পর্যটকদের।
থানচি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আনোয়ার হোসাইন জানান, হঠাৎ করে টানা বৃষ্টিপাত ও পাহাড়ি ঢলের কারণে নদীতে পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। এতে পর্যটন স্পটগুলো পাথুরে এবং পিচ্ছিল হওয়া ও তীব্র স্রোতের কারণে নৌ যোগাযোগ বিপজ্জনক হয়ে পড়ে। যার ফলে নৌ চলাচল সাময়িক বন্ধ রয়েছে। তিন্দু ও রেমাক্রি ইউনিয়নে কিছু পর্যটক আটকা পড়েছেন বলে খবর শুনেছি।
বছরের এ সময়টাতে ওইসব পর্যটন স্পট বিপজ্জনক হয়ে ও ঠায় জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত পর্যটকদের ভ্রমণে নিরুৎসাহিত করা হয়। তবে এখনও এ ব্যাপারে কোনো নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়নি। বৃষ্টিপাতের অবস্থা বুঝে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।
গত চার বছরে রেমাক্রি ও তিন্দুতে বিভিন্ন দুর্ঘটনায় ৭ জন পর্যটক নিহত এবং নাফাখুমে পানিতে ডুবে এক মেডিকেল ছাত্রসহ তিন পর্যটক নিহত হন।