ত্বকের সৌন্দর্যে …
পোস্ট করেছেন: dinersheshey | প্রকাশিত হয়েছে: মার্চ ১৪, ২০২১ , ২:০৫ অপরাহ্ণ | বিভাগ: Uncategorized
দিনের শেষে প্রতিবেদক : ত্বকের লাবণ্য আর উজ্জ্বলতা ধরে রাখার জন্য সৌন্দর্য সচেতন সবার কাছেই বেশ কদর বেড়েছে ভিটামিন সি’র। ভিটামিন ’সি’ যুক্ত পণ্যের মধ্যে রয়েছে সিরাম, ময়েশ্চারাইজার ক্রিম, শিট মাস্ক বা ঘরোয়া মাস্ক। তবে প্রতি বছর স্কিন কেয়ার ট্রেন্ডে নতুন নতুন উপাদান যোগ করতে চান স্কিন স্পেশালিস্ট ও অ্যায়েসথেটিকস চিকিৎসকরা। এর প্রধান কারন হলো, এখনকার মানুষরা ত্বক নিয়ে অনেক বেশি সচেতন। বর্তমান সময়ে ত্বকের যত্নে কিছু উপাদান টিকে থাকে অনেক দিন ধরে। ঠিক তেমনি হারিয়ে যায় কিছু কিছু উপাদান আসতে না আসতেই, যার মূল কারণ হলো পণ্যের গুণগতমান। ত্বকের যত্নে ও সৌন্দর্য ধরে রাখতে ও বৃদ্ধি করতে বিশেষজ্ঞ ডার্মাটোলজিস্টদের মতে, নায়াসিনামাইড বেশ বড় একটি সময় ধরেই থেকে যাবে। আর এটি হতে চলেছে ভিটামিন সি’র এক দারুণ বিকল্প।
নায়াসিনামাইড একধরনের ভিটামিন বি-৩। একে বলা হয় নিকোটিনামাইডও বলা হয়। নায়াসিনামাইড শরীরকে এনএডি+ এবং এনএডিপি+ অণু দ্বারা সমৃদ্ধ করতে পারে। শরীরে কোষের কাজ সঠিকভাবে সম্পাদনে সহায়তা করে ত্বকের সুস্বাস্থ্য নিশ্চিত করে এই অণুগুলো। ত্বক, কিডনি ও মস্তিষ্কের নানা রকমের সমস্যা দেখা দেয় ভিটামিন বি-৩এর অভাবে। ভিটামিন বি-৩ এর অভাব প্রতিরোধ করতে পারে নায়াসিনামাইড গ্রহণের মাধ্যমে। অনেকে আবার এক মনে করেন নায়াসিন আর নায়াসিনামাইডকে। প্রকৃতপক্ষে এই দুটি দুই রকমের ভিটামিন বি৩। তবে অনেক ক্ষেত্রে শরীরে অতিমাত্রায় নায়াসিন থাকলে তা দ্রুত পরিণত হতে পারে নায়াসিনামাইডে।
এই নায়াসিনামাইড ত্বকের বহু সমস্যার একটি মাত্র সমাধান হতে পারে। ঠিক এই কারণে ডার্মাটোলজিস্টরা এরই মধ্যে এর নাম দিয়েছেন ‘সুপারস্টার ইনগ্রিডিয়েন্ট’। ত্বকে প্রাকৃতিকভাবে উজ্জ্বল করে এবং বয়সের লাগাম টানে ভিটামিন সি’র মতো। এর পাশাপাশি আর্দ্রতা আটকে দেয়, ত্বকে প্রোটিন (কেরাটিন) গড়তে সাহায্য করে, একে পরিবেশদূষণের ফলে হওয়া ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা করে এবং তা সারিয়ে তোলার ক্ষমতা রাখে।
নায়াসিনামাইডের সাহায্যে ত্বকে সেরামাইড নামের লিপিড ব্যারিয়ার জন্মায়, যা আর্দ্রতা ধরে রাখতে সাহায্য করে। এটি ইনফ্ল্যামেশনও দূর করতে পারে। এ জন্য যাদের ত্বকে একজিমা, রোজেশিয়া, ব্রণের মতো সমস্যা আছে, তারা নায়াসিনামাইডযুক্ত স্কিন কেয়ার পণ্য ব্যবহার করে দেখতে পারেন। এটি বেশ উপযোগী শুষ্ক, তৈলাক্ত ও সংবেদনশীল ত্বকের জন্য। নায়াসিনামাইড খুব সহজেই নিয়ন্ত্রণ করে সেবেসিয়াস গ্রন্থি থেকে নিঃসৃত হওয়া তেল। অন্যদিকে, ত্বকের পরিণত, অপরিণত যে কোনো ধরনের বয়সের ছাপ দূর করতে পারে। তবে এটি অনেক কার্যকর সূর্যের ক্ষতিকর অতি বেগুনি রশ্মির ফলে হওয়া ক্ষত এবং হাইপারপিগমেন্টেশন সারিয়ে তুলতেও। শরীরে এমনি এমনি তৈরি হতে পারে না নায়াসিনামাইড। এটি গ্রহণ করতে হয় খাদ্য বা সাপ্লিমেন্টের মাধ্যমে। সবুজ সবজি, মটরশুঁটি, কিডনি বিন, ফাভা বিন, ব্ল্যাক বিন, মুগ ডাল, কাবলি ছোলা, মাছ, মাংস, ডিম, দুধ ইত্যাদিতে অনেক ভিটামিন বি-৩ তথা নায়াসিনামাইড আছে।
অতিরিক্ত নায়াসিন একসময় নায়াসিনামাইডে পরিণত হয়, তাই আপনি চাইলে বেশি করে খেতে পারেন নায়াসিনসমৃদ্ধ খাবার । তবে সবচেয়ে বেশি নায়াসিন পাওয়া যায় মুরগির বুকের মাংস, টুনা, টার্কি, গরু বা খাসির কলিজা, বাদাম, লাল চাল, লাল আটা, মাশরুম, আলু ইত্যাদিতে। এখন ব্রণ বা ত্বকের অন্যান্য ইনফ্ল্যামেশনঘটিত সমস্যা সমাধানে ডার্মাটোলজিস্টরা এর সাপ্লিমেন্ট খেতে বলেন। আর ত্বকে সিরাম বা ক্রিম হিসেবে লাগালে ভালো উপকার পাওয়া যাবে।