দাদা-দাদির কবরের পাশে চিরনিদ্রায় শায়িত হলেন হাদিসুর
পোস্ট করেছেন: dinersheshey | প্রকাশিত হয়েছে: মার্চ ১৫, ২০২২ , ২:১৫ অপরাহ্ণ | বিভাগ: Uncategorized
নিহত হাদিসুর রহমান আরিফ বরগুনার বেতাগী উপজেলার হোসনাবাদ ইউনিয়নের কদমতলা এলাকার বাসিন্দা অবসরপ্রাপ্ত মাদরাসা শিক্ষক মো. আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে। চার ভাই বোনের মধ্যে হাদিসুর দ্বিতীয়। তিনি বাংলাদেশি জাহাজ এমভি বাংলার সমৃদ্ধিতে প্রকৌশলী পদে কর্মরত ছিলেন। এর আগে সোমবার দুপুর ১২টা ২০ মিনিটে টার্কিশ এয়ারলাইন্সের একটি কার্গো বিমান হাদিসুরের মরদেহ নিয়ে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে। বিমানবন্দরের আনুষ্ঠানিকতা শেষে দুপুর ২টায় হাদিসুরের মরদেহ নিয়ে বরগুনার উদ্দেশে রওনা হন স্বজনরা।
বেতাগী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুহৃদ সালেহিন বলেন, ‘ঢাকা থেকে রওয়ানা হওয়ার পর আমরা নিয়মিত খোঁজ খবর রেখেছি। আজ মরদেহ নামাজে জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন হয়েছে। আমাদের পক্ষ থেকে হাদিসুরের পরিবারকে সব ধরনের সহায়তা দেয়া হবে।’
প্রসঙ্গত, গত ২ মার্চ রাতে ইউক্রেনের অলভিয়া বন্দরে আটকে পড়া বাংলাদেশি জাহাজ এমভি বাংলার সমৃদ্ধিতে রকেট হামলা চালায় রুশ সেনারা। এ হামলায় জাহাজের প্রকৌশলী হাদিসুর রহমান নিহত হন। পরের দিন ৩ মার্চ সন্ধ্যায় অক্ষত ২৮ নাবিক এবং হাদিসুরের মরদেহ ইউক্রেনের একটি বাংকারে নেয়া হয়। সেখানে হাদিসুরের মরদেহ রেখে বাকি নাবিকদের নিরাপদে রোমানিয়ায় নিয়ে যাওয়া হয়। গত ৯ মার্চ দুপুর ১২টার দিকে জীবিত নাবিকরা দেশে ফিরেছেন।