আজকের দিন তারিখ ২৪শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, মঙ্গলবার, ৯ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ সংবাদ
সারাদেশ দেশকে অস্থিতিশীল করতে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্র চলছে

দেশকে অস্থিতিশীল করতে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্র চলছে


পোস্ট করেছেন: admin | প্রকাশিত হয়েছে: জুন ১২, ২০১৬ , ৩:১৫ অপরাহ্ণ | বিভাগ: সারাদেশ


2016পাবনা: দেশের বিভিন্নস্থানে মন্দিরের পুরোহিত, ধর্মযাজক, খ্রিস্টান পাদ্রি-ব্যবসায়ি, মুক্তবুদ্ধি চর্চার ব্লগার, পুলিশ কর্মকর্তার স্ত্রী, শিক্ষক, রাজনীতিবিদসহ নানা শ্রেণি-পেশার মানুষকে নৃশংসভাবে হত্যা করা হচ্ছে। মূলত বাংলাদেশকে অস্থিতিশীল করতে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ের ষড়যন্ত্র চলছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি চেয়ারপারসনের প্রেরিত প্রতিনিধি দল।

রোববার বেলা ১০টায় পাবনার হেমায়েতপুর শ্রী শ্রী ঠাকুর অনুকূলচন্দ্র সৎসঙ্গ আশ্রমের প্রবীণ সেবায়েত, ধর্মপ্রচারক, প্রতিঋত্বিক শ্রী নিত্যরঞ্জন পান্ডেকে খুনের ঘটনায় সমবেদনা জানাতে, ঘটনাস্থল পরিদর্শন, নিহতের স্বজনদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করতে আসেন বিএনপি চেয়ারপারসন, সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার প্রেরিত ৬ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল।

বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার প্রেরিত প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন দলের সাবেক মন্ত্রী, কেন্দ্র্রীয় নেতা বাবু অ্যাডভোকেট নিতাই রায় চৌধুরী। প্রতিনিধিদের অন্য সদস্যরা হলেন- জাতীয় নির্বাহী কমিটির খুলনা বিভাগীয় সহসাংগঠনিক সম্পাদক জয়ন্ত কুমার কুণ্ডু, সাবেক যুগ্ম-সচিব তপন মজুমদার, বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা অ্যাডভোকেট জন গোমেজ, কেন্দ্রীয় যুবদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অমলেন্দু দাস অপু ও মাগুড়া সদর উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক মিহির কান্তি বিশ্বাস।

প্রতিনিধিদল নিত্যরঞ্জন পান্ডেকে যে স্থানে দুর্বৃত্তরা নৃশংসভাবে হত্যা করেছে, ওই স্থান পরিদর্শন, আশ্রম পরিদর্শন ও নিহতের স্বজনদের সঙ্গে কুশল বিনিময়ের পর তারা আশ্রমের সম্মেলন কক্ষে প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় কর্মরত গণমাধ্যম কর্মীদের সাথে এই উদ্ভূত পরিস্থিতি নিয়ে এক বৈঠকে মিলিত হন।

প্রতিনিধি দলের দলনেতা অ্যাডভোকেট নিতাই রায় চৌধুরী বলেন, ‘দক্ষিণ এশিয়ায় বাংলাদেশ একটি সমৃদ্ধ ও শান্তিপূর্ণ দেশ হিসেবে বিবেচিত। যেদেশে সাম্প্রদায়িত সম্প্রীতির ভীত বেশ মজবুত। যা এখনও বেশ ভালো আছে। এই সম্ভবনাকে ধ্বংস করতে জাতীয় ও আর্ন্তজাতিক সংঘবদ্ধ একটি চক্র অস্থিতিশীল করতে উঠে পড়ে লেগেছে। বর্তমানে উদার গণতান্ত্রিক পরিবেশ অনুপস্থিত। কথা বলা কোন সুযোগ নেই। জঙ্গি, সন্ত্রাসী আর মৌলবাদীরা মাথাচারা দিয়ে উঠেছে। অথচ সরকার হত্যাকাণ্ডের কোনো কূল-কিনারা করতে পারছে না।’

তিনি আরও বলেন, ‘গত কয়েকদিনে সারা বাংলাদেশে পুলিশ প্রশাসন সাঁড়াশি অভিযানের নামে সাড়ে ৩ হাজার মানুষকে গ্রেপ্তার করেছে। তন্মধ্যে ৩৫ জন জঙ্গি সংশ্লিষ্টতা রয়েছে। সুনির্দিষ্টভাবে প্রমাণ সাপেক্ষে প্রকৃত অপরাধীদের ধরতে হবে। সাধারণ মানুষকে তথা রাজনৈতিক ফায়দা লুটার চেষ্টায় গণগ্রেপ্তার বন্ধ করতে হবে। রহস্যজনকভাবেই প্রকৃত অপরাধীদের ধরতে পারছে না পুলিশ।’

সরকারের বিভিন্ন ভাষ্যের আলোকে অ্যাডভোকেট নিতাই রায় চৌধুরী বলেন, ‘দেশে বড় ধরনের কোনো নাশকতা বা হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হলেই সরকারি বিভিন্ন দপ্তর, মুখপাত্র তথা বিভিন্ন সংগঠন ঘটনার তদন্ত চলাকালে বিভ্রান্তিমূলক মন্তব্য করে তদন্ত কাজের অগ্রগতিকে বাধাগ্রস্ত করছে। ঘটনার প্রকৃত তদন্তের স্বার্থে এলোমেলো অপ্রয়োজনীয় কথা বা মন্তব্য না ছুঁড়ে দিকনির্দেশনামূলক বক্তব্য-মন্তব্যের মাধ্যমে তদন্ত কাজের অগ্রগতির জন্য জোর দাবি জানান বিএনপির এই শীর্ষ নেতা।

তিনি বলেন, ‘দেশের বিভিন্ন স্থানে নৃশংসভাবে খুনের শিকার পরিবারের সঙ্গে দেখা করেছি, কথা বলেছি। তারা উদ্বেগ, উৎকণ্ঠা আর ব্যাপক নিরাপত্তাহীনতার কথা বলেছেন। এদেশের তারা (সংখ্যালঘু সম্প্রদায়) বসবাস করতে পারবে কি না এ নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছেন। আমরা সরকারের সঙ্গে একত্মতা প্রকাশ করে বলতে চাই, সরকার আইনশৃংখলা বাহিনী সহযোগিতা চাইলে আমরা সর্বদা সব ধরনের সহযোগিতা দিতে প্রস্তুত।’

স্থানীয় নেতাদের মধ্যে পাবনা জেলা বিএনটির সাধারণ সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার হাবিবুর রহমান তোতা, দপ্তর সম্পাদক জহুরুল ইসলাম, হেমায়েতপুর শ্রী শ্রী ঠাকুর অনুকূলচন্দ্র সৎসঙ্গ আশ্রমের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক যুগল কিশোর ঘোষসহ আশ্রমের কর্মকর্তা, স্থানীয় বিএনপি, যুবদল ও ছাত্রদলের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।