আজকের দিন তারিখ ২৫শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, সোমবার, ১০ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ সংবাদ
/////হাইলাইটস///// দেশের মানুষের ভাগ্য তৈরি করতে এসেছি: প্রধানমন্ত্রী

দেশের মানুষের ভাগ্য তৈরি করতে এসেছি: প্রধানমন্ত্রী


পোস্ট করেছেন: dinersheshey | প্রকাশিত হয়েছে: ফেব্রুয়ারি ২, ২০২৩ , ৩:৪১ অপরাহ্ণ | বিভাগ: /////হাইলাইটস/////


দিনের শেষে প্রতিবেদক : প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নয়, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মেয়ে হিসেবে এদেশের মানুষের ভাগ্য তৈরি করে তাদের উন্নত জীবন দিতে কাজ করে যাচ্ছেন বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। নারায়ণগঞ্জ জেলার রূপগঞ্জের পূর্বাচল চার নম্বর সেক্টরে ম্যাস র‌্যাপিড ট্রানজিট (এমআরটি) লাইন-১ নির্মাণ কাজের উদ্বোধনী ফলক উন্মোচন করতে গিয়ে এ কথা বলেন তিনি। বাংলাদেশের জনগণকে কৃতজ্ঞতা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আপনাদের সাহস সহযোগিতায় পদ্মা সেতু নিজস্ব অর্থায়নে ঘোষণা দিয়েছিলাম। এই সেতু নিয়ে অনেক ষড়যন্ত্র হয়েছিলো। আমাদের ওপর দুর্নীতির অভিযোগ এনেছিলো। আমরা জনগণের সেবা করতে এসেছি। জনগণের সেবক। জনগণের ভাগ্য তৈরি করতে এসেছি। জনগণের ভাগ্য নিয়ে ছিনিবিনি খেলতে আসিনি। জনগণকে দিতে এসেছি। কাজেই এখানে দুর্নীতির প্রশ্নই ওঠে না। জাতির পিতা এদেশের মানুষের জন্য তার জীবন উৎসর্গ করেছেন। তার যাকে মানুষ অস্ত্র হাতে নিয়ে বুকের তাজা রক্ত ঢেলে দিয়ে দেশ স্বাধীন করেছে। সেই াধীন বাংলাদেশে উন্নত করবো এখানে দুর্নীতি কিসের। বাংলাদেশের মানুষকে কতটুকু দিতে পারি সেটাই বিবেচ্য বিষয়। তাদের সেই দুর্নীতির অভিযোগ আমরা চ্যালেঞ্জ করেছিলাম। সেই পদ্মা সেতু করে আমরা বিশ্বকে দেখিয়েছি বাংলাদেশ পারে। এ সময় তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী না সবথেকে বড় কথা আমি জাতির পিতার কন্যা এদেশের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনই আমার কাজ। সেটাই আমি করে যাচ্ছি। যতই আন্দোলন হোক যতক্ষণ জনগণ সাথে আছে, তাদের কল্যাণে কাজ করবো কেউ কিছু করতে পারবে না’, বলে মন্তব্য করেন শেখ হাসিনা। দারিদ্র্যের হার ৪০ ভাগ থেকে ২০ ভাগে নামিয়ে আনার কথা জানিয়ে তিনি বলেন, করোনাকালীন বিনা পয়সা দেশের মানুষকে ভ্যাকসিন দিয়েছি। অনেক ধনী দেশও সেই সময়ে ভ্যাকসিন দিতে পারেনি। এ সময় দেশের প্রথম পাতাল রেল নির্মাণকে দেশের ইতিহাসে আরেকটি মাইলফলক বলে আখ্যায়িত করেন তিনি। জাইকার সহয়তায় এই নির্মাণকাজ চলবে জানিয়ে তিনি জাপান সরকারের প্রতি আন্তরিক ধন্যবাদ জানান। মাটির তলদেশের মেট্রোরেল গঠনের কাজ করার সময় কোনো জনদুর্ভোগ হবে না জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, অত্যাধুনিক স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতিতে নির্মাণকাজ চলবে। পাতাল রেল স্ট্রেশন হবে অত্যাধুনিক। আওয়ামী লীগ নির্বাচনের সমেয় দেওয়া ইশতেহারগুলো একেএকে পূরণ করছে জানিয়ে দলের সভাপতি বলেন, আমাদের প্রতিশ্রুতি একেএকে সব বাস্তবায়ন করছি। আমরা রূপকল্প ২১ বাস্তবায়ন করেছি। ২০১৮ এর নির্বাচনী ইশতেহারের দেওয়া প্রতিশ্রুতিও আমরা বাস্তবায়ন করছি। আওয়ামী লীগ কথা দিলে কথা রাখে। নারায়ণগঞ্জে ৪৬টি প্রকল্প বাস্তবায়ন হচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, বিভিন্ন সড়ক আন্তর্জাতিক মানের করা হচ্ছে। নারায়ণগঞ্জ পূর্বাচলে স্মার্ট সিটি হচ্ছে। মেট্রোরেলে সবচেয়ে বড় দিক এটি কোনো পরিবেশ দুষণ হবে না জানিয়ে তিনি বলেন, এটি পরিবেশবান্ধব এবং শব্দও হবে না। আওয়ামী লীগ যখনই সরকারে আসে দেশের মানুষের উন্নয়ন হয় উল্লেখ করে সরকারপ্রধান বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার সারাদেশে যোগাযোগ নেটওয়ার্ক গড়ে তুলেছে। তিনি বলেন, ২০০৮ সালের নির্বাচনে বিএনপি অংশ নিয়েছিলো। সেই আসনে দলটি কয়টি আসন পেয়েছিলো? তারা ২৯টি আসন পেয়েছিলো আর একটা উপনির্বাচনে পেয়েছিলো। তাহলে আমরা যে এত কাজ করলাম এজন্য মানুষ আমাদের ভোট দিচ্ছে। আমাদের কাজের মাধ্যমে জনগণের মন জয় করেই আমরা ভোট পাচ্ছি। বগুড়া ও চাপাইনবাবগঞ্জে উপনির্বাচনে নৌকাকে বিজয়ী করায় সবাইকে ধন্যবাদ জানান শেখ হাসিনা। করোনা, যুদ্ধ ও নিষেধাজ্ঞার কারণে বিশ্ববাজারে মূল্যস্ফীতি কথা উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, যে গম ২০০ ডলারে কেনা যেতো তা আজ ৬০০ ডলারে কিনতে হচ্ছে। জাহাজ ভাড়া বেড়ে কয়েকগুণ। ভোজ্য তেল, চিনি এগুলো বেশি দামে কিনতে হচ্ছে। এজন্য বলি সবাইকে সাশ্রয়ী হতে হবে। বিদ্যুৎ ব্যবহারেও সাশ্রয়ী হতে হবে। সারাবিশ্বে অর্থনৈতিক মন্দা। ইংল্যান্ডে দেড়শ ভাগ বিদ্যুতের দাম বাড়িয়েছে। বিশ্বে খাদ্যভাব দেখা দিয়েছে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের যাতে এটা না হয় সেজন্য উৎপাদন বাড়াতে হবে। আমাদের মাটি আছে মানুষ আছে, আমাদের এক ইঞ্চি জমি অনাবাদী থাকবে না। যাতে করে যুদ্ধের যে ভয়াবহতা তার ধাক্কা যেন বাংলাদেশে না পরে। এ সময় তিনি বলেন, গণতান্ত্রিক ধারা অব্যাহত আছে বলেই বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে। ২০৪১ সালের মধ্েয দেশ উন্নত হবে বলে প্রত্যাশা পুনর্ব্যক্ত করেন তিনি। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব এ বি এম আমিন উল্লাহ নুরী। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী, ঢাকায় নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত ইওয়ামা কিমিনোরি, জাইকার বাংলাদেশ অফিসের প্রতিনিধি ইচিগুচি তোমোহাইড।