দেশে ই-কমার্স একটি বড় সম্ভাবনাময় খাত: ওয়ালকার্ট এমডি
পোস্ট করেছেন: dinersheshey | প্রকাশিত হয়েছে: জুলাই ১৭, ২০২১ , ১১:১৪ পূর্বাহ্ণ | বিভাগ: অর্থ ও বাণিজ্য
দিনের শেষে ডেস্ক : আমরা একটি মহামারির মধ্য দিয়ে যাচ্ছি। যা প্রত্যেকের জীবনে এক বড় পরিবর্তন এনে দিয়েছে। এই পরিবর্তনের সঙ্গে অ্যাডজাস্ট করতে হচ্ছে সবার। এই দুর্যোপূর্ণ সময় ‘ই-কমার্স’ একটি ডায়নামিক সল্যুশন হিসেবে কাজ করতে পারে। দেশব্যাপী এখন ই-কমার্সের জয়জয়কার। করোনাকালে লক্ষ্য করা গেছে এসএমই খাতের ব্যাপক অগ্রগতি। ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণে অনেক দূর এগিয়েছে বাংলাদেশ। ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প উদ্যেক্তারা ই-কমার্সের মাধ্যমে এই করোনাকালে খুব সহজেই বিভিন্ন মাধ্যম ব্যবহার করে মানুষের কাছে পৌঁছাতে পারছেন। সহজেই তাদের সার্ভিস পৌঁছে দিতে পারছেন দেশের আনাচে-কানাচে। দেশে ই-কমার্সের সম্ভাবনা তাই ব্যাপকতর হচ্ছে। বৃহস্পতিবার (১৫ জুলাই) ‘ইম্প্যাক্ট অব ই-কমার্স অন এসএমই’ শিরোনামে এক ওয়েবিনরে এসব কথা বলেন ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের পরিচালক ও ওয়ালকার্ট লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সাবিহা জারিন অরনা।
তিনি বলেন, ওয়ালটন দেশের মানুষের কল্যাণের জন্য কাজ করছে। ২০৩০ সালের মধ্যে বিশ্বের শীর্ষ পাঁচটি ব্র্যান্ডের মধ্যে উঠে আসার টার্গেট নিয়েছে ওয়ালটন। এ নিয়ে ব্যাপক কর্মযজ্ঞ চালাচ্ছে ওয়ালটন। ওয়ালটন এই মিশনে সবাইকে সঙ্গে নিয়েই এগিয়ে যেতে চায়। সাবিহা জারিন অরনা আরো বলেন, নতুন প্রজন্মকে টার্গেট করে যাত্রা শুরু করছে ওয়ালকার্ট। তরুণদের জন্য কিছু করাই আমাদের টার্গেট। ওয়ালকার্ট একটি পূর্ণঙ্গ অনলাইন মার্কেটপ্লেস। ক্ষুদ্র ও মাঝারি সব ধরনের শিল্প উদ্যেক্তাদের নিয়ে এগিয়ে যেতে চাই। আশা করছি তারা এখান থেকে উপকৃত হবেন। এই মার্কেটপ্লেসে ইলেকট্রনিক্স থেকে শুরু করে মানুষের দৈনন্দিন জীবনের সব পণ্যই থাকবে। খুব শিগগিরই এর কার্যক্রম উদ্বোধন করা হবে। ভালো একটি ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলতে চাই আমরা। এ সময় বাংলাদেশে শিল্পবান্ধব পরিবেশ তৈরির জন্য বাণিজ্যমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানান তিনি।
বেটার বাংলাদেশ ফাউন্ডেশন (বিবিএফ) এর আয়োজনে ওই ওয়েবিনার অনুষ্ঠিত হয়। এসএমই খাতের ওপর ই-কমার্সের প্রভাব নিয়ে আয়োজিত ওই ওয়েবিনারে এখাতের নানা সম্ভাবনা ও প্রতিবন্ধকতা নিয়ে বক্তব্য রাখেন আলোচকরা। করোনাকালে এসএমই খাতের ব্যাপক অগ্রগতির কথা তুলে ধরা হয়েছে ওয়েবিনারে। ই-কমার্স প্লাটফর্মে এসএমই খাতকে আরো এগিয়ে নিতে পর্যাপ্ত নীতিসহায়তার আহ্বান জানান তারা।
আলোচকরা জানান, ই-কমার্স খাতকে একটি শক্ত কাঠামোতে প্রতিষ্ঠা করতে এ খাতে দরকার প্রযুক্তিগত ও পর্যাপ্ত নীতি সহায়তা। এই সহায়তা পেলে করোনাকালে গড়ে ওঠা ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প উদ্যেক্তারা দেশের অর্থনীতিকে আরো সমৃদ্ধ করতে পারবেন। ওয়েবিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি। আরো উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর আতিউর রহমান, চ্যানেল আইয়ের পরিচালক শাইখ সিরাজ ও এসএমই ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান মাসুদুর রহমান। ওয়েবিনারে সভাপতিত্ব ও সঞ্চালনা করেন বিবিএফের চেয়ারম্যান ও প্রতিষ্ঠাতা মাসুদ এ খান।
অন্যদের মধ্যে আলোচনায় অংশ নেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব হাফিজুর রহমান, এসবিকে টেক ভেঞ্চারের প্রতিষ্ঠাতা সোনিয়া বশির কবির, ই-ক্যাবের সাধারণ সম্পাদক আবদুল ওয়াহেদ ও ওয়ার্ল্ডট্রাক চেয়ারম্যান ও সিইও কায়সার হাবিব প্রমুখ।