ম্যাট্রিক্স নামের একটি কোম্পানি চীনের র্যাপিড অ্যান্টিবডি টেস্ট কিট প্রতিটি ২৪৫ রুপিতে আমদানি করলেও সরবরাহকারী রিয়েল মেটাবলিক্স এবং আর্ক ফার্মাসিউটিক্যালসের কাছ থেকে ৬০০ রুপিতে কিনতে হয়েছে ভারত সরকারকে। অর্থাৎ, একটি কিটে ৬০ শতাংশ লাভ করেছে সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান। এ পর্যন্ত ঠিকই ছিল। কিন্তু গোল বাঁধে তখন, তামিলনাড়ু সরকার যখন আরেক সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান শান বায়োটেকের মাধ্যমে ম্যাট্রিক্সের সেই কিট একই দামে (৬০০ রুপি) কিনতে গেল। রিয়েল মেটাবলিক্স নিজেদেরকে ভারতে ম্যাট্রিক্সের আমদানিকরা কিটের এক্সক্লুসিভ ডিলার দাবি করে মামলা ঠুকে দেয় দিল্লি হাই কোর্টে। প্রতিষ্ঠানটির অভিযোগ, ম্যাট্রিক্স চুক্তির শর্ত ভঙ্গ করে অন্য সরবরাহকারীকে এই কাজে যুক্ত করেছে। বিষয়টির ওপর শুনানির সময় আদালত চড়া দামে কিট সরবরাহের প্রমাণ পেয়ে প্রতিটি কিটের দাম ৪০০ রুপি বেঁধে দেয়। ভারত সরকার ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অব মেডিকেল রিসার্চ- আইসিএমআর এর মাধ্যমে চীনের প্রতিষ্ঠান ওন্ডফো থেকে পাঁচ লাখ র্যাপিড টেস্ট কিটের ক্রয়াদেশ দিয়েছিল গত ২৭ মার্চ। ভারতে করোনাভাইরাস সঙ্কট নিয়ে কাজ করা মূল প্রতিষ্ঠান আইসিএমআর এবং আর্ক ফার্মাসিউটিক্যালসের মধ্যেকার ক্রয়চুক্তির বরাত দিয়ে এনডিটিভি এ তথ্য জানিয়েছে। এরপর গত ১৬ এপ্রিল চীনে ভারতের রাষ্ট্রদূত বিক্রম মিশ্রি সাড়ে ছয় লাখ র্যাপিড অ্যান্টিবডি টেস্ট এবং আরএনএ এক্সট্র্যাকশন কিটের চালান ভারতে পাঠানো হয়েছে বলে টুইট করে জানান। চড়া দামে কিট সংগ্রহের ব্যাখ্যায় আইসিএমআর জানিয়েছে, এসব কিটের দাম ৫২৮ থেকে ৭৯৫ রুপির মধ্যে। “বিভিন্ন কারিগরি বিষয়, যেমন সেনসিভিটি, স্পেসিফিসিটি ইত্যাদির, দরপত্রের দেওয়া দর এবং সরবরাহ ক্ষমতার ওপর কিটের দাম নির্ভর করে।” এদিকে ওন্ডফোর তৈরি কিটের কার্যকারিতা নিয়ে অভিযোগ আসার পর পর গত সপ্তাহে কয়েকটি রাজে এর ব্যবহার স্থগিত করেছে আইসিএমআর। ভুল ফলাফল আসায় তিনটি রাজ্য এই কিট ব্যবহার করবে না বলে জানিয়েছে। এই কিটে নমুনা পরীক্ষার কার্যকারিতার হার মাত্র ৫ দশমিক ৪ শতাংশ জানানোর পর আইসিএমআর সেখানে দুইদিনের জন্য এর ব্যবহার স্থগিত করে। অবশ্য বেইজিং নিম্নমানের কিট দেওয়ার বিষয়টি অস্বীকার করেছে।