আজকের দিন তারিখ ২৪শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, রবিবার, ৯ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ সংবাদ
সারাবিশ্ব ধর্মীয় নির্যাতন প্রতিকারের দাবি জাতিসংঘের এনজিওগুলোর

ধর্মীয় নির্যাতন প্রতিকারের দাবি জাতিসংঘের এনজিওগুলোর


পোস্ট করেছেন: dinersheshey | প্রকাশিত হয়েছে: জুলাই ১৯, ২০২০ , ১১:০৫ পূর্বাহ্ণ | বিভাগ: সারাবিশ্ব


দিনের শেষে ডেস্ক :  ধর্মীয় নির্যাতন ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের প্রতিকার চেয়েছে জাতিসংঘের এনজিওগুলো। দক্ষিণ কোরিয়ায় শিনচাজি চার্চ অফ যিশু নামে একটি ধর্মীয় গোষ্ঠী নির্যাতন ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে দেশটির বিরেুদ্ধে সোচ্চার হয়েছে সংস্থাটি। বাংলাদেশের পক্ষ থেকে সার্ক-ল এর সেক্রেটারি জেনারেল মোহাম্মদ মোহসেন রশিদের মাধ্যমে দক্ষিণ কোরিয়া সরকারকে এইচডব্লিউপিএল সংস্থার বিষয়ে হস্তক্ষেপ না করে তাদের প্রতি ন্যায়সঙ্গত আচরণের আহ্বানসহ শান্তি ও সম্প্রীতি বজায় রাখার অনুরোধ জানানো হয়েছিল।

এইচডব্লিউপিএল সংস্থাটি দ. এশিয়ার আটটি দেশ থেকে ২০০ জন বিশেষজ্ঞ নিয়ে গঠিত। সেক্রেটারি জেনারেল রশিদ জানিয়েছেন, কয়েকজন রাজনীতিবিদ এবং ধর্মীয় গোষ্ঠী এইচডব্লিউপিএল এর কার্যক্রম বন্ধ করার চেষ্টা করছে এবং শিনচেওজি চার্চের অন্তর্গত সংখ্যালঘুদের হয়রানি করছে।

১১ টি এনজিও সংস্থা জাতিসংঘের আইন পরিষদের মানবাধিকার কাউন্সিলের ৪৪ তম অধিবেশনে জাতিসংঘে হাই কমিশনারে মানবাধিকারের বার্ষিক প্রতিবেদন জমা দিয়েছে। ওই প্রতিবেদনের শিরোনাম ছিল ‘কোরিয়া প্রজাতন্ত্রে কোভিড-১৯ এ শিনচাজির নির্যাতিত সদস্যগণ।’

জাতিসংঘের ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘শিনচাজিরা দক্ষিণ কোরিয়ার সরকার দ্বারা এবং সামাজিকভাবে হয়রানির শিকার হয়েছিলেন। যদিও করোনা মোকাবিলায় কিছু সরকারি ব্যবস্থায় জনস্বাস্থ্য সম্পর্কিত উদ্বেগের বিষয় ছিল বলে মনে হয় তবে করোনা প্রাদুর্ভাবে গির্জার ভূমিকা অতিরঞ্জিত বলে মনে হয়েছিল।

কারণ দেশটিতে করোনা মোকাবিলায় সিউল সরকার শিনচাজি গীর্জা বন্ধ করে দেয় এবং অভিযোগ করে যে কিছু লোক ওই গীর্জায় ইচ্ছাকৃতভাবে করোনা ছড়িয়ে দিয়েছে এবং এখনও তা অব্যাহত রয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভাইরাসটির কারণে কয়েক হাজার ধর্মীয় সম্প্রদায়কে মানবাধিকার লঙ্ঘন করতে পারে না এবং ধর্মীয় স্বাধীনতা লঙ্ঘনের অজুহাত হতে পারে না। শিনচেঞ্জির বিরুদ্ধে অসহিষ্ণুতা, সহিংসতা এবং বৈষম্যের অবসান ঘটাতে হবে।

এদিকে, শিনচাজি চার্চের চেয়ারম্যান লি কোভিড -১৯ থেকে সুস্থ হওয়া সদস্যদের স্বেচ্ছায় প্লাজমা দিতে উৎসাহিত করেছিলেন। প্রায় ৪ হাজার সুস্থ হয়ে ওঠা সদস্যরা বলেছিলেন যে, তারা এই মামারীরর নতুন চিকিৎসা সম্পর্কিত গবেষণার জন্য প্লাজমা দান করতে রাজি আছেন।