ধ্বংসস্তূপে দাঁড়িয়ে লিয়ানাগের ঝকঝকে ১০১
পোস্ট করেছেন: dinersheshey | প্রকাশিত হয়েছে: মার্চ ১৮, ২০২৪ , ৫:২৮ অপরাহ্ণ | বিভাগ: স্পোর্টস
দিনের শেষে প্রতিবেদক : দুজন স্ট্রেচারে। একজন পায়ে হেঁটে। এক ইনিংসে বাংলাদেশের তিন ফিল্ডার মাঠ ছাড়লেন। প্রথমে মোস্তাফিজুর রহমান পায়ে টান পড়ায় নিজের স্পেল শেষ করতে পারেননি। পরে সীমানায় ফিল্ডিংয়ের সময় সৌম্য সরকার ব্যথা পেয়ে ছেড়েছেন মাঠ। ইনিংসের শেষ ওভারে ক্যাচ নিয়ে গিয়ে এনামুল হক বিজয় ও জাকের আলীর সংঘর্ষ! বুকে ব্যথা পেয়ে জাকের স্ট্রাচারে করে ছাড়েন মাঠ। চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের এমন ‘হ-য-ব-র-ল’ দিনে শ্রীলঙ্কার জানিথ লিয়ানাগে দ্যুতি ছড়ালেন। ধ্বংসস্তুপ থেকে দলকে একা তুলে এনে পেয়েছেন সেঞ্চুরি। তার প্রথম তিন অঙ্কের ম্যাজিকাল ফিগারে সিরিজ নির্ধারণী শেষ ওয়ানডেতে লড়াকু পুঁজি পেয়েছে অতিথিরা।
টস জিতে আগে ব্যাটিং করতে নেমে ২৩৫ রান তুলেছে শ্রীলঙ্কা। ইনিংসের শেষ পর্যন্ত অপরাজিত থাকা লিয়ানাগে ১০২ বলে ১০১ রান করেছেন ১১ চার ও ২ ছক্কায়। তার ইনিংসটি কেন আলাদা, কেন চাকচিক্যময় তা বুঝিয়ে দেবে এই পরিসংখ্যান। লঙ্কান অধিনায়ক কুশল মেন্ডিস যখন ড্রেসিংরুমে ফেরেন তখন দলের রান ৪ উইকেটে ৭৪। সেখান থেকে পঞ্চম উইকেটে আসালাঙ্কার সঙ্গে তার জুটি ৪৩ রান। স্কোর ৫ উইকেটে ১১৭। ওই অবস্থান থেকে শ্রীলঙ্কা ১১৮ রান পায়, যার ৮২ রান একাই করেন লিয়ানাগে। ধারাষ্যকার রাসেল আর্নল্ড বলেছেন, ‘প্রচুর প্রথম শ্রেণির ক্রিকেট ম্যাচ খেলার কারণে লিয়ানাগের অভিজ্ঞতা হয়েছে দারুণ। কিভাবে লড়াই করে দলকে এগিয়ে নিতে হয় সেটাই যেন আজকে ২২ গজে দেখালেন।’
নিজের নবম ওয়ানডে খেলতে নেমে প্রথম সেঞ্চুরি পেলেন লিয়ানাগে। নামের পাশে আগে থেকে ছিল তিন ফিফটি। গড়টা এখন আরও সুন্দর, ৬৯.২০। ইনিংসের মধ্যভাগে শ্রীলঙ্কা যে দক্ষ সৈনিক পেয়েছে তা বলতে দ্বিধা হচ্ছে না কারোই। বাংলাদেশ অবশ্য খারাপ করেনি। একমাত্র লিয়ানাগে বাদে শ্রীলঙ্কার সব ব্যাটসম্যানকেই খাবি খাইয়েছে। নতুন বলে তাসকিন আহমেদ দুই ওপেনারের উইকেট তুলে নেন পরপর দুই ওভারে। মোস্তাফিজ তানজিদের পরিবর্তে সুযোগ পেয়ে নতুন বলে উইকেট নেওয়ার পর শেষদিকে এসেও সাফল্য পেয়েছেন। রিশাদ হোসেনও উইকেট নিয়ে রেখেছেন অবদান। সব মিলিয়ে বোলিংয়ে সম্মিলিত আক্রমণে লক্ষ্য নাগালে রেখেছে বাংলাদেশ। এখন ব্যাটসম্যানদের নিজেদের প্রমাণের পালা।
৪২ রানে ৩ উইকেট নিয়ে তাসকিন দলের সেরা বোলার। ২টি করে উইকেট পেয়েছেন মোস্তাফিজ ও মিরাজ। সৌম্য ও রিশাদের পকেটে গেছে ১টি করে উইকেট। নিয়মিত উইকেট পেয়ে আসা শরিফুল আজ ছিলেন বিবর্ণ। ১০ ওভারে ৫৫ রানে ছিলেন উইকেটশূন্য।