নগরের গণপরিবহনে আসবে যুগান্তকারী পরিবর্তন
পোস্ট করেছেন: dinersheshey | প্রকাশিত হয়েছে: নভেম্বর ৪, ২০২৩ , ৩:৫০ অপরাহ্ণ | বিভাগ: /////হাইলাইটস/////
সানি আজাদ : এমআরটি লাইন-৬ সঙ্গে নগরবাসীর বাড়তি পাওনা এমআরটি লাইন-৫ এর নর্দান রুট। মতিঝিলের কনকর্স লেভেলে প্রধানমন্ত্রীর উদ্বোধনী পর্বে যুক্ত হচ্ছে মেট্রোর এই পথের কাজের আনুষ্ঠানিকতা। এর মাধ্যমে ঢাকার সঙ্গে সরাসরি যুক্ত হচ্ছে সাভার। এই পথ হেমায়েতপুর থেকে তুরাগের তলদেশ দিয়ে মিরপুর হয়ে মিলবে ভাটারায়। এ যেনো একের ভেতরে দুই। যাকে বলে লাভের মধ্যে ডাবল লাভ। গতকাল দুপুরে মেট্রোর হুইসেল আগারগাঁও থেকে বাজে মতিঝিলে। একই অনুষ্ঠানে এই প্রকল্পের কাজের শুভ সূচনা করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। হেমায়েতপুর থেকে শুরু, এরপর বলিয়ারপুর-মধুমতি-আমিনবাজার। এরপর থেকেই উড়াল পথ গিয়ে নামবে পাতালে। তুরাগের নিচ থেকে গাবতলী, দারুস সালাম হয়ে মিরপুর-১, ১০, মিরপুর-১৪। কচুক্ষেত দিয়ে বনানী, গুলশান-২ হয়ে শেষ স্টেশন ভাটারা হবে উড়াল। প্রায় ২০ কিলোমিটার হবে এই পথ।
কর্তৃপক্ষ বলছে, ২০৩০ সালের মধ্যে ছয়টি রুট তৈরি হয়ে যাবে। প্রথম পর্বের এমআরটি-৬ এখন বাস্তবতা। এরপরেই শুরু হয়েছে উড়াল-পাতাল মিলিয়ে লাইন ওয়ানের এক পর্ব বিমানবন্দর থেকে কমলাপুর, আরেক ধাপ নতুনবাজার থেকে পূর্বাচল। লাইন ফাইভের নর্দান রুট শেষ হবে ২০২৮ সালে। আর সাউর্দান রুট গাবতলী থেকে কলাবাগান হয়ে কারওয়ানবাজার দিয়ে হাতিরঝিল হয়ে আফতাবনগর। উড়াল-পাতাল মিলিয়ে এর সার্বিক কাজ শেষ হবে ২০৩০ সালে। আর লাইন-৪ কমলাপুর থেকে নারায়ণগঞ্জ। ২০৩০ সালের মধ্যে সম্পন্ন হলে এই নগরের গণপরিবহনে এক যুগান্তকারী পরিবর্তন আসবে বলে মত বিশেষজ্ঞদের। গত বছরের ২৮ ডিসেম্বর উত্তরা থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত মেট্রোরেলের উদ্বোধন করেছিলেন শেখ হাসিনা।
পুরোপুরি চালু হলে উত্তরা থেকে মতিঝিল-কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন পর্যন্ত ২১.২৬ কিলোমিটারের পুরো রুটটি ৪০ মিনিটেরও কম সময়ে ভ্রমণ করে মেট্রোরেল প্রতি ঘণ্টায় ৬০ হাজার যাত্রী বহন করবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। গত ২০১৬ সালের ২৪ জুন এমআরটি লাইন-৬ নামে পরিচিত মেট্রোরেল প্রকল্পের নির্মাণ উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রকল্পটির ব্যয় দাঁড়িয়েছে ৩৩ হাজার ৪৭২ কোটি টাকা। শুরুতে এই প্রকল্পের ব্যয় ছিল প্রায় ২১ হাজার কোটি টাকা। মূলত মতিঝিল থেকে কমলাপুর পর্যন্ত ১.৬ কিলোমিটার বাড়তি অংশ নির্মাণ, প্রতিটি স্টেশনের জন্য নতুন করে জমি অধিগ্রহণসহ বিভিন্ন নতুন অনুষঙ্গ যুক্ত হওয়ায় খরচ বেড়েছে। ২০২৫ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে প্রকল্পের কাজ শেষ করার কথা। মেট্রোরেল প্রকল্প নেয়া হয় ২০১২ সালে। জাপানের উন্নয়ন সহযোগী সংস্থা জাইকার সঙ্গে ঋণচুক্তি হয় পরের বছর। মূল কাজ শুরু হয় ২০১৭ সালে।