নরসিংদী ও কক্সবাজারে নির্বাচনী সহিংসতায় প্রাণ গেল ৪ জনের
পোস্ট করেছেন: dinersheshey | প্রকাশিত হয়েছে: নভেম্বর ১১, ২০২১ , ২:৫৫ অপরাহ্ণ | বিভাগ: /////হাইলাইটস/////
দিনের শেষে প্রতিবেদক : দেশের বিভিন্ন জেলায় ইউপি নির্বাচনে সহিংসতার ঘটনায় চারজন নিহত হয়েছেন। এর মধ্যে নরসিংদীতে তিনজন ও কক্সবাজারে ১ জন মারা গেছেন। বৃহস্পতিবার (১১ নভেম্বর) সকাল থেকে বিভিন্ন কেন্দ্রে ভোট গ্রহণ শুরু হয়েছে। নরসিংদীতে ভোটের আগেই নির্বাচনী সহিংসতায় গুলিবিদ্ধ হয়ে ৩ জন নিহত হয়েছেন। ভোর সাড়ে ৩টার দিকে রায়পুরা উপজেলার বাঁশগাড়ি ইউনিয়নে এ ঘটনা ঘটে।
কক্সবাজার র্যাব-১৫-এর সিপিএসসি কমান্ডার মেজর মেহেদী হাসান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বৃহস্পতিবার ভোট চলাকালে ১ নম্বর ওয়ার্ডের মেম্বার প্রার্থী বাবুলের সমর্থকরা ব্যালট পেপার আলাদা করে সিল মারার চেষ্টা করেন। এ সময় অপর মেম্বার প্রার্থী শেখ কামালের ভাই আকতারুজ্জামান বাধা দেন। এ নিয়ে কথা-কাটাকাটির এক পর্যায়ে আকতারুজ্জামানকে কোপানোর পর গুলি করা হয়। গুরুতর অবস্থায় প্রথমে তাকে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রাম হাসপাতালে নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।
এ ঘটনায় মেম্বার প্রার্থী শেখ কামালসহ বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে র্যাবের এই কর্মকর্তা। ব্যাপক সহিংসতা, মারামারি ও হতাহতের মধ্যেই দেশের বিভিন্ন জেলায় ৮৩৮টি ইউনিয়নে শুরু হয়েছে ইউপি নির্বাচন। এর আগে বুধবার নির্বাচনী সহিংসতা নিয়ে সিইসি কে এম নূরুল হুদা বলেছেন, প্রায়ই সংঘর্ষের খবর পাচ্ছি, এটা সত্য। তবে ঘরে ঘরে পাহারা দিয়ে নির্বাচনী সহিংসতা ঠেকানো সম্ভব নয়। প্রার্থীদের নমনীয় হওয়ার পরামর্শ দেন তিনি। এ ধরনের ঘটনা এভাবে পাহারা দিয়ে ঠেকানো যায় না, বাস্তবতা হলো এটা। এর একমাত্র উপায় হলো নির্বাচনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের সহনশীলতা। নির্বাচনসুলভ আচরণ করতে হবে।
এরই মধ্যে নির্বাচন সুষ্ঠু করতে এরই মধ্যে মাঠে নেমেছেন ৩৩৯ জন নির্বাহী হাকিম এবং ৩৩১ জন বিচারিক হাকিম। মোট ৬৭০ জন ম্যাজিস্ট্রেট বিশাল আইনশৃঙ্খলা বাহিনী নিয়ে মাঠে রয়েছেন। সর্বশেষ আইনশৃঙ্খলা বৈঠকে লোকবল সংকট নিয়ে সিইসি বলেন, চাহিদা অনুযায়ী ম্যাজিস্ট্রেট বাড়ানো হয়েছে। কোথাও কোথাও পরিস্থিতি বিবেচনায় বিজিবির সংখ্যাও বাড়ানো হয়েছে। ইসির পক্ষ থেকে বিভিন্ন পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। আশা করি, ভোটের দিন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে থাকবে।
এদিকে দ্বিতীয় ধাপে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় চেয়ারম্যান পদে ৮১ জন, সংরক্ষিত সদস্য পদে ৭৬ জন এবং সাধারণ সদস্য পদে ২০৩ জন নির্বাচিত হয়েছেন।
এ ধাপে চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় রয়েছেন ৩ হাজার ৩১০ জন। সংরক্ষিত মহিলা সদস্য পদে ৯ হাজার ১৬১ জন। সাধারণ সদস্য পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ২৮ হাজার ৭৪৭ জন। এ ধাপে ২০টি ইউনিয়ন পরিষদে ইলেক্ট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) এবং বাকিগুলোয় প্রচলিত ব্যালট পেপারে ভোট হবে। দ্বিতীয় দফায় যে ৮৪৮টি ইউনিয়ন পরিষদে নির্বাচনের জন্য তফসিল হয়েছিল, নানা কারণে চারটি ইউপির ভোট স্থগিত, একটির ভোট বাতিল হয়েছে এবং পাঁচটি ইউপিতে সব পদে প্রার্থীরা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। সে কারণে মোট ১০টি ইউপিতে ভোট স্থগিত হওয়ায় আজ ৮৩৮টিতে ভোট হচ্ছে।