নিজেকে প্রধানমন্ত্রী ঘোষণা করে মিয়ানমারে জরুরি অবস্থা বাড়ালেন জান্তা নেতা
পোস্ট করেছেন: Dinersheshey | প্রকাশিত হয়েছে: আগস্ট ২, ২০২১ , ১১:৫৬ পূর্বাহ্ণ | বিভাগ: সারাবিশ্ব
দিনের শেষে ডেস্ক : গত ফেব্রুয়ারিতে মিয়ানমারে একটি সামরিক অভ্যুত্থানে ক্ষমতা গ্রহণকারী জেনারেল মিন অং হ্লাইং নিজেকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ঘোষণা দিয়েছেন। একইসঙ্গে আখ্যায়িত দেশটিতে চলমান জরুরি অবস্থা আগামী ২০২৩ সালের আগস্ট পর্যন্ত বাড়িয়েছেন। খবর প্রকাশ করেছে বিবিসি।
প্রতিবেদনে বলা হয়, এক ঘণ্টাব্যাপী বক্তৃতায় মিন অং হ্লাইং একটি “অবাধ ও সুষ্ঠু বহুদলীয় নির্বাচন” করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। কিন্তু দেশটিতে অনুষ্ঠিত সর্বশেষ সাধারণ নির্বাচনে নির্বাচিত দলকে তিনি “সন্ত্রাসবাদী” বলে অপসারণ করেন। এরপর থেকেই মিয়ানমারে সামরিক অভ্যুত্থানের বিরুদ্ধে অব্যাহত বিক্ষোভে শত শত মানুষ মারা গেছেন। অনেক বিক্ষোভকারী স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থায় ছিলেন, যা কোভিড-১৯ সংক্রমণের জন্য ভেঙে পড়েছে। মিয়ানমারে এখন পর্যন্ত ৩০ হাজার করোনা রোগী শনাক্ত এবং ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হয়ে অন্তত ৯ হাজার ৩০০ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। যদিও এই সংখ্যাগুলি সত্যি মনে হয় না। টেলিভিশনে দেওয়া বক্তৃতায় জেনারেল মিন অং হ্লাইং অভ্যুত্থানের বিরোধিতাকারীদের ইচ্ছাকৃতভাবে কোভিড-১৯ ছড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগ করেছেন। তিনি তার সরকারের কোভিড নীতি সম্পর্কে “সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভুয়া খবর এবং ভুল তথ্য” এর কথা বলছিলেন। তিনি এটিকে “বায়ো -সন্ত্রাসের হাতিয়ার” বলে অভিহিত করেন। জেনারেল বলছিলেন যে, কোভিড টিকার মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণ হবে এবং সরকারি ছুটির বর্ধিত করা হবে। গত ফেব্রুয়ারিতে সামরিক বাহিনী ক্ষমতা দখলের পর প্রথমে এক বছরের জরুরি শাসন জারি করা হয়। এরপর থেকেই দেশব্যাপী আইন অমান্য অভিযান অব্যাহত ও হাজার হাজার শ্রমিককে চাকরিচ্যুত করা হয়।
বার্মার মানবাধিকার কর্মী অং কিয়াও বিবিসিকে বলেন, নির্বাচনের প্রতি জেনারেলের প্রতিশ্রুতি ছিল “মিথ্যা এবং এটা হতে যাচ্ছে না … মিয়ানমারের জনগণ এই ধরনের প্রতিশ্রুতি বিশ্বাস করবে না”। জেনারেল দেশকে স্থিতিশীল রাখার উপর জোর দিয়ে বলেন, “আমি বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বহুদলীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের অঙ্গীকার করছি।”