নেত্রকোনার ধনু নদীর ভাঙন থামছেই না
পোস্ট করেছেন: Dinersheshey | প্রকাশিত হয়েছে: মে ২৯, ২০২০ , ৭:৫৩ পূর্বাহ্ণ | বিভাগ: সারাদেশ
নেত্রকোনা সংবাদদাতা : নেত্রকোনার খালিয়াজুরী উপজেলার গাজীপুর ইউনিয়নের চরপাড়া গ্রামে খর-স্রোতা ধনু নদীর অব্যাহত ভাঙনে গত কয়েকদিনে অন্তত ৫৭টি পরিবারের সমস্ত ভিটেমাটি বিলীন হয়ে গেছে। কয়েক মাস পূর্বেও নদীর ভাঙনে গ্রামের আরো অর্ধশত পরিবার ভিটা-বাড়ি নি:স্ব হয়েছেন। স্থানীয় ইউপি সদস্য জিয়াউর রহমান বলেন, চরপাড়া গ্রাম ঘেঁষে ধনু নদী প্রবাহিত হচ্ছে। বর্ষা মৌসুমে নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় প্রবল স্রোতে গত রোববার (২৪ মে) সকাল থেকে পর্যন্ত গ্রামের কামাল মিয়া, বকুল মিয়া, সামছু মিয়া, ফুল মিয়া, সাজু মিয়া, আলী উসমান, সুলমান মিয়া, ফারুক মিয়া, হেলাল মিয়া, হেকিম মিয়া, মালেক মিয়া, মাসুক মিয়া,খালেক মিয়াসহ ৫৭টি পরিবারের ভিটেবাড়ি নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে। এছাড়া বিগত কয়েক মাস আগেও নদীর ভাঙনে গ্রামের আরো অর্ধশতাধিক বাড়ি বিলীন হয়। ভাঙন ঠেকানো না হলে প্রায় ৬শ পরিবারের পুরো গ্রামটিই নদী গর্ভে হারিয়ে যাবে বলে স্থানীয়দের আশংকা। স্থানীয়রা বলছেন, নদীটি অনেক গভীর এবং খরস্রোতা ধনু নদীতে প্রতিরক্ষা বাঁধ দিয়ে ভাঙন রোধ করা অসম্ভব। তাই গ্রামটিকে রক্ষার জন্য নদীর স্রোতধারা খননের মাধ্যমে ভিন্ন দিকে প্রবাহিত করতে হবে। গ্রামটির কয়েক কিলোমিটার উত্তর-পশ্চিম দিকে হাওরে (অধিকাংশই বিল এলাকা) তিন-চার কিলোমিটারের মতো খনন করলেই একদিকে গ্রামটি যেমন রক্ষা হবে, তেমনি নদীকে ঘিরে প্রতিনিয়ত লঞ্চ, কার্গো চলাচল করা নৌ-পথের একটি বড় বাঁকও সোজা হবে। খালিয়াজুরী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আরিফুল ইসলাম গণমাধ্যমকর্মীদের জানিয়েছেন, নদী খনন করতে নেত্রকোনা পানি উন্নয়ন বোর্ড ইতিমধ্যে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। ওই প্রস্তাবে ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বারের সুপারিশও রয়েছে। ক্ষতিগ্রস্তদের সাময়িকভাবে বরাদ্দহীন খাস জমিতে স্থানান্তরের ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে আর নদী ভাঙনে নিঃস্ব পরিবারগুলোর স্থায়ী আবাসন নিশ্চিত করতে একটি গুচ্ছগ্রাম নির্মাণের জন্য উপর মহলে লিখিত প্রস্তাব পাঠানো হচ্ছে।