নৌপথে যাতায়াতে সতর্কতার অনুরোধ পুলিশের
পোস্ট করেছেন: dinersheshey | প্রকাশিত হয়েছে: জুন ১৫, ২০২৩ , ৪:১৮ অপরাহ্ণ | বিভাগ: জাতীয়
দিনের শেষে প্রতিবেদক : পবিত্র ঈদুল আজহা আষাঢ় মাসে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। এই সময় ঝড়-বৃষ্টি বেশি হয়। এ কারণে নৌপথে কোরবানির পশু নিয়ে আসতে অতিরিক্ত সতর্কতা অবলম্বনের অনুরোধ জানিয়েছে নৌ পুলিশ। দুপুরে গুলশানের পুলিশ প্লাজা কনকর্ডের নৌ পুলিশ কনফারেন্স রুম আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান নৌ-পুলিশের প্রধান অতিরিক্ত আইজিপি মো. শফিকুল ইসলাম। অতিরিক্ত আইজিপি মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, ঢাকার বাইরে থেকে লাখ লাখ কোরবানির পশু নৌপথে ঢাকায় আসবে। এসব পশু যেন কোনো ধরনের বাধা ছাড়া ব্যবসায়ীরা ঢাকায় নিয়ে আসতে পারেন সেই লক্ষ্যে আমরা কাজ করে যাব। এছাড়া পশু যেন হাটে বিক্রি করে নিরাপদে ব্যবসায়ী নিজ গন্তব্যে ফিরতে পারেন সে লক্ষ্যেও আমরা কাজ করব। গতবারের ঈদটি কোনো ধরনের বড় দুর্ঘটনা ছাড়ে কেটেছে। এবারও সমন্বিতভাবে কাজ করব যাতে করে কোনো ধরনের নৌ-দুর্ঘটনা না ঘটে। যেহেতু এই ঈদটি অনুষ্ঠিত হবে আষাঢ় মাসে, সেহেতু এই মাসে ঝড় ও বৃষ্টি বেশি হয়ে থাকে। তিনি বলেন, এবার অতিরিক্ত সাবধানতা অবলম্বন করবে হবে আমাদের সবাইকে। আবহাওয়া যখন খারাপ থাকবে তখন নৌযান চালানো যাবে না। যাত্রীবাহী হোক কিংবা পশুবাহী হোক আবহাওয়ার অবস্থা জেনেই যেন আমরা নৌ-পথে নৌযান নিয়ে রওনা হই। সারা দেশে আমাদের ১৪২টি ইউনিট আছে আবহাওয়ার অবস্থা জানা থেকে শুরু করে ঈদ যাত্রার নৌযান ও পশুবাহী নৌনযানকে আমরা সাহায্য করতে পারব। নারায়ণগঞ্জ ও বরিশালের চৌঘাট দিয়ে ঈদযাত্রায় লাখ লাখ যাত্রী যাতায়াত করবেন নৌ-পথে। লঞ্চ মালিক ও শ্রমিকদের বলব সবাই যেন অতিরিক্ত যাত্রী নিয়ে নৌ-পথে ঈদযাত্রা শুরু না করেন। এছাড়া ফিটনেসবিহীন লঞ্চ নিয়ে যেন ঈদযাত্রা কোনো মালিক না করেন এবং প্রতিটি লঞ্চে যাত্রীদের জন্য পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। অন্যদিকে কোরবানির পশু পরিবহনের ক্ষেত্রেও নিরাপদ নৌযান ব্যবহার করতে হবে না। কোনোভাবেই যেন অনিরাপদ নৌযান দিয়ে কোরবানির পশু পরিবহন না করা হয়। নৌ পুলিশ প্রধান বলেন, নৌ দুর্ঘটনার অধিকাংশ ঘটে বালুবাহী বাল্কহেডের সঙ্গে সংঘর্ষের কারণে। ঈদের কয়েক দিন আগে ও পরে বাল্কহেড চলাচল সম্পূর্ণ রুপে বন্ধ রাখতে হবে, এটি সরকারি নির্দেশ। সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী এ সময়ে কোনোভাবেই বাল্কহেড চালানো যাবে না। অতিরিক্ত আইজিপি বলেন, দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে দেশের বিভিন্ন বড় হাটে নৌ-পথে পশু পরিবহন করে নিয়ে আসা হবে। নৌপথে যেন এসব পশুবাহী নৌযান ডাকাতির শিকার না হয় সে লক্ষ্যে আমরা কাজ করব। নৌপথে ডাকাতি বন্ধে ও আইনি প্রক্রিয়া গ্রহণের সক্ষমতা আমাদের রয়েছে। আমাদের ২০০ হর্সপাওয়ারের স্প্রিটিবোট রয়েছে, তাই নৌপথে ডাকাতদের ধরতে আমরা সক্ষম। আর কোরবানি পশুর বিক্রির টাকা ব্যাংকের মাধ্যমে নিয়ে যাওয়ার অনুরোধ করছি ব্যবসায়ীদের। হকাররা বিভিন্ন খাবারের সঙ্গে নেশা জাতীয় ওষুধ মিশিয়ে যাত্রী ও ব্যবসায়ীদের অজ্ঞান করে সর্বস্ব নিয়ে যাচ্ছে। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, নদীর পাড়ে আশেপাশে যে গরুর হাটগুলো বসবে যেগুলো গুরুত্বপূর্ণ, সেটা ছোট হোক বড় হোক। যেখানে মনে হবে নিরাপত্তা বাড়ানো প্রয়োজন সেখানে আমাদের বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকবে। অব্যবস্থাপনা চাঁদাবাজি ঠেকাতে আমাদের বিভিন্ন টিম কাজ করবে। সিভিলে থাকবে। পেট্রোল টিম থাকবে এবং জেলা পুলিশের সঙ্গে মিলে কাজ করবে।