‘পাকিস্তানে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব ছিল না’
পোস্ট করেছেন: admin | প্রকাশিত হয়েছে: জুন ৭, ২০১৬ , ৯:৩০ অপরাহ্ণ | বিভাগ: রাজনীতি
কাগজ অনলাইন প্রতিবেদক: আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও জনপ্রশাসনমন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন, বাংলাদেশ না হলে তৎকালীন পাকিস্তানে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব ছিল না। আমাদের অধিকারের জন্যই পাকিস্তান রাষ্ট্রটি বিলোপ করার প্রয়োজন ছিল।
রাজধানীর গুলিস্তান মহানগর নাট্যমঞ্চে ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ আয়োজিত ঐতিহাসিক ৬ দফা দিবসের আলোচনা সভায় মঙ্গলবার বিকেলে তিনি এ সব কথা বলেন।
ছয় দফার প্রেক্ষাপট তুলে ধরে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, আমাদের অধিকারের জন্য বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ধীরে ধীরে বাংলার মানুষকে ঐক্যবদ্ধ করেছেন। তিনি বিভিন্ন জনসভায় ছয় দফার গুরুত্ব বর্ণনা করেছেন। ছয় দফাকে বাস্তবায়ন করার জন্য প্রায় প্রতিটি জেলায় তিনি জনসভা করেছেন। এ সময় গ্রেফতারও হয়েছেন অনেকবার।
ছয় দফা নিয়ে স্মৃতিচারণ করে তিনি বলেন, তখন আমি স্কুলের ছাত্র। মগবাজার থেকে একটা বাসে উঠে আমি যাচ্ছিলাম তৎকালীন জিন্নাহ এ্যাভিনিউ। বাসটি ছাড়ার পরে কয়েকজন বাসের বাইরে থেকে কয়েকটি লিফলেট ছুড়ে মারলো। আমার কাছেও একটা লিফলেট এলো। এই প্রথম ছয় দফা নিয়ে আমি জানলাম।
বাণিজ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের উপদেষ্টাপরিষদ সদস্য তোফায়েল আহমেদ বলেন, ১৯৬৬ সালের ৬ ফেব্রুয়ারি পাকিস্তানের লাহোরে একটি সর্বদলীয় সম্মেলনে বিষয় নির্ধারণী সভায় বঙ্গবন্ধু এই ছয় দফা পেশ করেছিলেন। কিন্তু সেদিন পাকিস্তানসহ অন্যান্য রাজনৈতিক দল এই ছয় দফাকে বিষয় নির্ধারণীতে অন্তর্ভুক্ত করেনি। বঙ্গবন্ধু বাধ্য হয়ে সম্মেলন ত্যাগ করেন। তিনি ঢাকার পুরানো বিমানবন্দরে অবতরণ করে সাংবাদিকদের সামনে প্রথম এই ছয় দফা উত্থাপন করেন।
কৃষিমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মতিয়া চৌধুরী বলেন, ‘যে জঙ্গিবাদ বাংলাদেশকে চ্যালেঞ্জ করতে চায় সেই চ্যালেঞ্জে তারা হারবে, আমরা জিতব শেখ হাসিনার নেতৃত্বে। জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে আমাদের বিজয় হবেই হবে।’
ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতি এ কে এম রহমতউল্ল্যাহর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনাসভায় আরও উপস্থিত ছিলেন এ্যাডভোকেট সাহারা খাতুন, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, কৃষি ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক ড. আব্দুর রাজ্জাক, আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক লে. কর্নেল (অব.) ফারুক খান, শ্রম বিষয়ক সম্পাদক হাবিবুর রহমান সিরাজ, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক এ্যাডভোকেট আফজাল হোসেন, খাদ্যমন্ত্রী এ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম প্রমুখ।