পাক-আফগান সীমান্তে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ, উত্তেজনা
পোস্ট করেছেন: admin | প্রকাশিত হয়েছে: জুন ১৪, ২০১৬ , ৯:০৬ অপরাহ্ণ | বিভাগ: সারাবিশ্ব,সারাবিশ্ব লীড
কাগজ অনলাইন ডেস্ক: পাকিস্তান ও আফগানিস্তান সীমান্তে দুই দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে পর উভয় পক্ষ অতিরিক্ত সেনা ও যুদ্ধাস্ত্র মোতায়েন করেছে। এ নিয়ে সীমান্তে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে।
আফগান বাহিনীর হামলায় আহত পাকিস্তানের সেনাকর্মকর্তা মেজর জাওয়াদ আলী চেঙ্গেজি মঙ্গলবার চিকিৎসাধীন অবস্থায় নিহত হয়েছেন। তার দাফন অনুষ্ঠানে যোগ দেন পাকিস্তানের সেনাপ্রধান জেনারেল রাহেল শরিফ।
পাকিস্তান-আফগানিস্তানের তোরখাম সীমান্তে রোববার দুই দেশের বাহিনীর মধ্যে সংঘর্ষ সৃষ্টি হয়। সংঘর্ষে পাকিস্তানের নয়জন এবং আফগানিস্তানের ছয়জন আহত হয়। সোমবার রাতে পাকিস্তান ওই সীমান্ত এলাকায় অতিরিক্ত সেনা ও ভারি যুদ্ধাস্ত্র মোতায়েন করেছে।
আফগানিস্তানের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, সোমবার তাদের একজন কর্মকর্তা নিহত হয়েছেন। এ ছাড়া তোরখাম সীমান্তে অতিরিক্ত আফগানসেনা মোতায়েন করা হচ্ছে। আফগানিস্তানের পূর্বাঞ্চলীয় শহর জালালাবাদে মঙ্গলবার নিহত সেনাকর্মকর্তারা দাফন সম্পন্ন করা হয়। কয়েক হাজার লোক এতে অংশ নেয়।
আফগানিস্তানের লশকার গাঁ শহরে কয়েক শ লোক পাকিস্তানবিরোধী বিক্ষোভ প্রদর্শন করে। এ সময় তারা পাকিস্তানের পতাকা পোড়ায়। স্লোগান দেয়, ‘পাকিস্তানের মৃত্যু হোক।’
পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের মধ্যে যোগাযোগের প্রধান সীমান্ত ক্রসিং হলো তোরখাম। সংঘর্ষ শুরুর পর থেকে মঙ্গলবার পর্যন্ত তিনদিন তোরখামের প্রধান গেট বন্ধ করে রাখা হয়েছে। সীমান্ত পার হওয়ার অপেক্ষায় দুই পাশে আটকা পড়ে আছে কয়েক হাজার লোক।
পাকিস্তান আইএসপিআরের মুখপাত্র ওয়াসিম বাজা এক টুইটে জানিয়েছেন, ‘এই গেট দুই দেশের মধ্যে যাতায়াতকারীদের কাগজপত্র যাচাইয়ের জন্য অপরিহার্য।’
তোরখাম সীমান্তে পাকিস্তান অংশে একটি সীমান্ত চৌকি ভবন নির্মাণকে কেন্দ্র করে দুই দেশের বাহিনীর মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয় রোববার। পাকিস্তানের দাবি, সন্ত্রাসীদের সীমান্ত পারাপার রুখতে তারা এ ভবন তৈরি করছে।
এদিকে সীমান্তে সংঘর্ষ নিয়ে দুই দেশ বিরোধী পক্ষের দূতাবাসে সমন পাঠিয়েছে। এ নিয়ে কূটনৈতিক উত্তেজনাও বেড়েছে।
পাকিস্তান-আফগানিস্তানের মধ্যকার ২ হাজার ২০০ কিলোমিটার সীমান্তে বেড়া দেওয়া নিয়ে দুই দেশের মধ্যে দীর্ঘদিন বিরোধ জিইয়ে রয়েছে।