পিকেকে ঘাঁটিতে তুর্কি সেনাদের হামলা: নিহত ২৭
পোস্ট করেছেন: admin | প্রকাশিত হয়েছে: জুন ৫, ২০১৬ , ৯:৪৫ অপরাহ্ণ | বিভাগ: সারাবিশ্ব,সারাবিশ্ব লীড
কাগজ অনলাইন ডেস্ক: ইরাকের উত্তরাঞ্চল এবং তুরস্কের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে কুর্দি জঙ্গিদের ঘাঁটিতে হামলা চালিয়ে কমপক্ষে ২৭ জন জঙ্গিকে হত্যা করেছে তুরস্কের সেনাবাহিনী। এছাড়া একই এলাকায় কুর্দিদের লক্ষ্য করে পৃথক হামলা চালিয়েছে তুর্কি যুদ্ধবিমান। রোববার তুরস্কের সামরিক বাহিনীর পক্ষ থেকে এ তথ্য জানানো হয়।
গত জুলাইয়ে কুর্দিস্তান ওয়ার্কাস পার্টির (পিকেকে) সঙ্গে যুদ্ধবিরতি ভেঙ্গে যায় তুরস্কের। এরপরই গত দশকের মধ্যে সবচেয়ে উত্তেজনাকর অবস্থায় আছে এ দুই পক্ষের সংঘাত।
এদিকে শনিবার চালানো বিমান হামলার লক্ষ্য ছিল ইরাকের গারা অঞ্চল এবং দিয়াবাকির প্রদেশের লাইস জেলার গ্রামাঞ্চল। এ হামলায় পিকেকে সদস্যদের ব্যবহৃত গুহা, আশ্রয় এবং বন্দুক ঘাঁটি ধ্বংস হয়েছে বলে জানানো হয়েছে। বিমান হামলায় সরকারি পর্যায় থেকে নিহতের সংখ্যা জানানো হয়নি। তবে দেশটির রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা আনাদলু সামরিক সূত্রের বরাত দিয়ে জানিয়েছে, নিহতের সংখ্যা খুবই কম।
অন্যদিকে ইরাক-ইরান সীমান্তবর্তী সেমদিনলি এলাকায় এক যুদ্ধে তুর্কি সেনাদের হাতে নিহত হয়েছে সাত পিকেকে সদস্য। এর আগে একই এলাকায় শুক্রবারের বিমান হামলায় আরো ২০ পিকেকে সদস্য প্রাণ হারায় বলে জানিয়েছে তুরস্কের সামরিক বাহিনী।
অবশ্য সিরনাক প্রদেশে গভীর রাতে তুর্কি সেনা ঘাঁটিতে গেরিলা আক্রমণ চালায় পিকেকে। এ সময় তুরস্কের গ্রাম রক্ষা বাহিনীর এক সেনা ও পিকেকের এক সদস্য মারা যায়।
দিয়ারবাকির প্রদেশের লাইস শহরে শনিবার কারফিউ ঘোষণার পর বিমান হামলা চালানো হয়। অভিযান শেষ হওয়ায় পরদিন তা প্রত্যাহার করা হয়। এছাড়া নুসায়বিন শহরের পিকেকে বিরোধী অভিযানও শেষ হয় শুক্রবার। গত তিন মাসে ওই সব এলাকায় প্রায় এক হাজার মানুষ মারা গেছে। এদের মধ্যে অধিকাংশই পিকেকে সদস্য। তুরস্ক ও তার পশ্চিমা মিত্র দেশগুলোর মতে পিকেকে একটি ‘সন্ত্রাসী গোষ্ঠী’।