পুঁজিবাজারে আস্থা ফেরাতে কঠোর অবস্থানে বিএসইসি
পোস্ট করেছেন: dinersheshey | প্রকাশিত হয়েছে: সেপ্টেম্বর ২০, ২০২০ , ২:১০ অপরাহ্ণ | বিভাগ: অর্থ ও বাণিজ্য
দিনের শেষে প্রতিবেদক : চাই বাছাই ছাড়া আর কোন নতুন কোম্পানিকে পুঁজিবাজারে আসতে দেয়া হবে না। সেই সঙ্গে তালিকাভূক্ত অযোগ্য প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে প্রয়োজনে মামলা করা হবে বলে জানিয়েছেন বিএসইসি’র চেয়ারম্যান। সংস্থাটি মনে করে আইন অমান্যকারী প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে নিয়ন্ত্রক সংস্থা ব্যবস্থা নিলে নতুন করে কেউ কারসাজিতে জড়িয়ে পড়বে না। বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন- বিএসইসি’র পরিচালনা পর্ষদে পরিবর্তনের পর বেশ কিছু পদক্ষেপে গেলো কিছুদিন ধরে ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করছে দেশের পুঁজিবাজার। এরইমধ্যে একাধিক কোম্পানিকে সতর্ক করা হয়েছে। অনেক প্রতিষ্ঠানের লেনদেন বন্ধ ও প্রতিষ্ঠানকে নজরদারি করা, কারণ দর্শানো নোটিশ দেয়া হয়েছে।
পাশাপাশি কয়েকটি কমিটির মাধ্যমে পুঁজিবাজারের সমস্যাগুলো চিহ্নিত করে পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে। এর ফলে লেনদেন বেড়েছে, বেড়েছে সূচকও। ওয়ালটন, রবিসহ বাজারে নতুন নতুন আইপিও আসার প্রক্রিয়া চলছে। গেলো দশ বছরে শেয়ারবাজারে অনুমোদন পাওয়া অনেক প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম ও সক্ষমতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে বারবার। তাই, নতুন কোম্পানি বাজারে আনার ক্ষেত্রে এর আগের অভিজ্ঞতা থেকে সতর্ক অবস্থানে বিএসইসি। নতুন কোম্পানির আবেদন করলে তাদের চুলচেড়া বিশ্লেষণ করে অনুমোদন দিতে চায় নিয়ন্ত্রক সংস্থা।
বিএসইসি চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল ইসলাম জানান, সম্প্রতি যে আইপিওগুলো অনুমোদন হয়েছে। প্রত্যেকটি কোম্পানির বয়স ২০, ৩০, ৪০ বছর এবং এরা সাসটেইনেবল (ভালো)। যে সব কোম্পানির অস্তিত্ব নাই, অফিস নাই, বাজারে এসে বিনিয়োগকারীর টাকা নিয়ে চলে যায়, বাজারে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। সে সব প্রতিষ্ঠানের কর্তাদের ডেকে আনা হচ্ছে, তাদের সঙ্গে কথা বলা হচ্ছে। সামনে হয়তো এসব কোম্পানির বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা করা হবে বলেও জানান তিনি। বিশ্লেষকরা বলছেন, নতুন প্রতিষ্ঠানকে শেয়ারবাজারে অনুমোদন দেয়ার ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠানের সক্ষমতা বিশ্লেষণ করতে হবে। পাশাপাশি অডিট ফার্মের প্রতিবেদনও পুনঃর্মূল্যায়ন করা উচিত।
ড. এম আবু ইউসুফ বলেন, নিশ্চয়তা দিতে হবে কেউ তদাররকির বাইরে নয়। সরকারের নজরদারির ভেতরেই সবাইকে থাকতে হবে। তাদের বার্ষিক প্রতিবেদন, অডিট রিপোর্ট ভালো মত দেখতে হবে। যারা অডিট করবেন তারাও যেন নজরদারির ভেতরে থাকেন এটাও নিশ্চিত করতে হবে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে ৩৬২ ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে ৩১৭ টি নিবন্ধিত কোম্পানি আছে।