পুঁজিবাজারে ফের রেকর্ড
পোস্ট করেছেন: Dinersheshey | প্রকাশিত হয়েছে: আগস্ট ২২, ২০২১ , ১১:৫৮ পূর্বাহ্ণ | বিভাগ: অর্থ ও বাণিজ্য
দিনের শেষে প্রতিবেদক : অনেকদিন থেকেই দেশের পুঁজিবাজার বেশ শক্ত অবস্থানে রয়েছে। প্রতি সপ্তাহেই রেকর্ডের পর রেকর্ড গড়ছে। পাশাপাশি ফিরছে বিনিয়োগকারীদের খোয়া যাওয়া হাজার হাজার কোটি টাকা। এমন পরিস্থিতিতে বিনিয়োগকারীদের আরও একটি সুখবর দিয়েছে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। সর্বোচ্চ ঋণসীমার পরিধি বাড়িয়ে বিএসইসির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, পুঁজিবাজারে ৮ হাজার সূচক পর্যন্ত মিলবে সর্বোচ্চ ঋণ।
পুঁজিবাজার সম্পর্কিত তথ্য বলছে, প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বর্তমানে ইতিহাসের সর্বোচ্চ স্থানে পৌঁছেছে। প্রতিষ্ঠানটির অপর দুই সূচকও সর্বোচ্চ পর্যায়ে স্থান করে নিয়েছে। এছাড়া, বাজার মূলধনেও দেশের পুঁজিবাজার নতুন রেকর্ড উচ্চতায় পৌঁছেছে। বিএসইসির নতুন আদেশে বলা হয়েছে, প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ৮ হাজার পয়েন্টে না যাওয়া পর্যন্ত বিনিয়োগকারীদের জন্য শেয়ার কেনার ক্ষেত্রে ১০০ টাকার বিনিয়োগের বিপরীতে সর্বোচ্চ ৮০ টাকার ঋণ সুবিধা বহাল থাকবে। এমন এক সময়ে বিএসইসি পুঁজিবাজারে সর্বোচ্চ ঋণ সুবিধার পরিধি বাড়িয়েছে, যখন বাংলাদেশ ব্যাংক সব ব্যাংকের পুঁজিবাজারে বিনিয়োগের সব তথ্য দৈনিক ভিত্তিতে জমা দিতে বলেছে। বাজার বিশ্লেষকরা বলছেন, বিএসইসির আগের নির্দেশনাটি বহাল থাকলে সূচক ৭ হাজার পয়েন্ট ছোঁয়ার আগেই ঋণ সমন্বয়ে শেয়ার বিক্রির চাপ বেড়ে যাওয়ার শঙ্কা ছিল। শেয়ার বিক্রির চাপ কমাতে বিএসইসির নতুন সিদ্ধান্ত কার্যকর ভূমিকা রাখবে। অর্থাৎ, ৮ হাজার পয়েন্টে না পৌঁছানো পর্যন্ত শেয়ার বিক্রির চাপ তৈরি হবে না।
এদিকে কেউ কেউ বলছেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের সাম্প্রতিক নির্দেশনাটি যাতে বাজারে নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে না পারে, সে জন্য সর্বোচ্চ ঋণের পরিধি বাড়িয়েছে বিএসইসি। এর ফলে একদিকে ঋণ সমন্বয়ে জোরপূর্বক বিক্রি বা ফোর্সড সেলের চাপ থাকবে না, অপরদিকে সূচকের এই অবস্থায়ও নতুন করে সর্বোচ্চ হারে ঋণ নেওয়ার সুযোগ থাকবে। আবার যারা এরই মধ্যে ঋণ নিয়ে বিনিয়োগ করেছেন, সূচক ঊর্ধ্বমুখী থাকলে তারাও ঋণ নিতে পারবেন। এতোদিন বিএসইসির নির্দেশনা ছিল— ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ৭ হাজার অতিক্রম করলেই শেয়ার কেনার বিপরীতে সুদ কমে ১০০ টাকার বিপরীতে ৫০ টাকা (১ অনুপাতে ০.৫) হয়ে যাবে। আর সূচকের ৭ হাজার পয়েন্ট পর্যন্ত ঋণ মিলবে ১০০ টাকার বিপরীতে ৮০ টাকা (১ অনুপাতে ০.৮)। ঋণের সর্বোচ্চ এই সীমা এখন বহাল রয়েছে পুঁজিবাজারে। কিন্তু ডিএসইএক্স সূচকটি এখন ৬ হাজার ৭৬০ পয়েন্টে অবস্থান করছে। অর্থাৎ সূচকটি ৭ হাজার থেকে মাত্র কয়েকশ’ পয়েন্ট দূরে অবস্থান করছে।
এদিকে, নিয়ন্ত্রক সংস্থার কর্মকর্তারা এবং বাজার সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান ও সংগঠনের নেতারা দৃঢ়তার সঙ্গে বলছেন, বাজার আরও অনেক দূর যাবে। তাঁদের মতে, পুঁজিবাজারের সার্বিক অবস্থা ইতিবাচক রয়েছে। এতে বিনিয়োগকারীদেরও আস্থার ভিত আরও শক্তিশালী হচ্ছে। ফলে দুই-এক দিন সামান্য সংশোধন থাকলেও সামনের দিকেই এগুচ্ছে বেশি। প্রতিদিন বাড়ছে লেনদেন, বাড়ছে গড় সূচক, বাড়ছে বিনিয়েগকারীদের বিচরণ। বাজার সংশ্লিষ্টরা সব মিলে পুঁজিবাজারে সুদিনের হাতছানিই দেখছেন।