আজকের দিন তারিখ ২৪শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, মঙ্গলবার, ৯ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ সংবাদ
অর্থ ও বাণিজ্য পুঁজিবাজারে শ্রীলংকান কোম্পানি ক্যাল বাংলাদেশের যাত্রা শুরু

পুঁজিবাজারে শ্রীলংকান কোম্পানি ক্যাল বাংলাদেশের যাত্রা শুরু


পোস্ট করেছেন: dinersheshey | প্রকাশিত হয়েছে: মে ২৫, ২০২২ , ৫:৩১ অপরাহ্ণ | বিভাগ: অর্থ ও বাণিজ্য


দিনের শেষে ডেস্ক :  দেশের পুঁজিবাজারে প্রথম বিদেশি ব্রোকারেজ হাউজ ও মার্চন্ট ব্যাংক হিসেবে ব্যবসা শুরু করতে যাচ্ছে শ্রীলংকান কোম্পানি ক্যাল বাংলাদেশ। ইতোমধ্যে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) থেকে শেয়ার কেনাবেচায় স্টক ব্রোকার ও স্টক ডিলার লাইসেন্স পেয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। বুধবার রাজধানীর পুরানা পল্টনের আল-রাজী কমপ্লেক্সে ক্যাপিটাল মার্কেট জার্নালিস্টস ফোরামের (সিএমজেএফ) অডিটরিয়ামে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশে প্রতিষ্ঠানটির ব্যবসা পরিকল্পনা তুলে ধরেন কোম্পানির চেয়্যারম্যান অজিত ফার্নান্দো।

সংবাদ সম্মেলনে কোম্পানির পরিচালক দিনেশ পুষ্পরাজা, প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা রাজেশ সাহা, প্রধান পরিচালন কর্মকর্তা জুবায়ের মহসীন কবির, ভাইস প্রেসিডেন্ট এবং হেড অব রিসার্চ আহমেদ ওমর সিদ্দিক প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে কোম্পানির চেয়্যারম্যান অজিত ফার্নান্দো বলেন, ব্যবসা শুরুর আগেই বাংলাদেশের ম্যাক্রো অর্থনীতির ওপর একটি গবেষণা করা হয়েছে। যাতে দেখা গেছে বাংলাদেশে আগামী বিনিয়োগের সম্ভাবনা অনেক বেশি। ফলে পুঁজিবাজারও অর্থনীতির একটি সম্ভাবনাময় খাত। এই সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে চাই।

কোম্পানির পরিচালক আহমেদ রায়হান শামসি বলেন, বাংলাদেশের পুঁজিবাজারে নতুন করে অবদান রাখতে চায় ক্যাল বাংলাদেশ। বিশ্বব্যাপী ফ্রন্টিয়ার মার্কেটে প্রতিষ্ঠানটির ২২ বছরের অভিজ্ঞতা রয়েছে। ক্যাল বাংলাদেশের পরিচালক দেশান পুষ্পারাজা বলেন, ক্যাল আশা করে বাংলাদেশের অর্থনীতি মালয়েশিয়া, থাইল্যান্ড এবং সিঙ্গাপুরের অনুরূপ পথ অনুসরণ করেছে। সিঙ্গাপুর ১৯৮০ সালের দিকে মাথাপিছু আয় ৪,০০০ মার্কিন ডলারে পৌঁছায়। মালয়েশিয়া ১৯৯৫ সালে এবং থাইল্যান্ড ২০০৮ সালে সক্ষম হয়েছে।

ক্যাল বাংলাদেশের ভাইস প্রেসিডেন্ট এবং হেড অব রিসার্চ আহমেদ ওমর সিদ্দিক বলেন, বর্তমানে উন্নয়নশীল এবং উন্নত উভয় অর্থনীতিই ক্রমবর্ধমান বিশ্বব্যাপী চলমান মুদ্রাস্ফীতির চাপ থেকে সৃষ্ট সামষ্টিক অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জের মধ্যে পড়েছে। তিনি আরো বলেন, বাংলদেশে এর স্বল্প-মেয়াদী প্রভাব থাকলেও দীর্ঘমেয়াদে বাংলাদেশ তার জনসংখ্যা এবং শক্তিশালী অভ্যন্তরীণ অর্থনীতির কারণে সমকক্ষ দেশগুলিকে ছাড়িয়ে যেতে পারবে। আগামী সপ্তাহ থেকে কোম্পানিটি কার্যক্রম শুরু করবে বলে সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়।