পুলিশ সুপারের স্ত্রী হত্যায় ফুঁসে উঠছে চট্টগ্রাম
পোস্ট করেছেন: admin | প্রকাশিত হয়েছে: জুন ৬, ২০১৬ , ১২:০১ অপরাহ্ণ | বিভাগ: জাতীয়
চট্টগ্রাম: ‘সন্তানের পায়ে মায়ের রক্ত। মেনে নেওয়া যায় না…। চলে আসুন আগামী ১০ তারিখ শুক্রবার, বিকেল তিনটায়, চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের সামনে’।
এ লেখাগুলোর সঙ্গে ছোট্ট পায়ের রক্তাক্ত এক জোড়া জুতার ছবি। ইমেইল, ইনবক্স, ওয়ালে এভাবেই আমন্ত্রণ জানানো হচ্ছে মানববন্ধনে।
সন্তানকে স্কুলবাসে তুলে দিতে গিয়ে মর্মান্তিকভাবে খুন হওয়া পুলিশ সুপার বাবুল আক্তারের স্ত্রী মাহমুদা খাতুন ওরফে মিতু আক্তারের খুনিদের গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে ফুঁসে উঠেছে চট্টগ্রাম। তাৎক্ষণিকভাবে অনেকেই ফেসবুকে কড়া মন্তব্য, সমালোচনা, ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ও সহমর্মিতা যেমন দেখিয়েছেন তেমনি বেশ কয়েকটি বিক্ষোভ মিছিলও হয়েছিল রোববার (০৫ জুন)। আড্ডা আর আলাপচারিতায় ঝড় তুলেছে। একের পর এক মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিলের ঘোষণা আসতে থাকে গণমাধ্যম কার্যালয়গুলোতে।
মহানগর ছাত্রলীগ সোমবার সকাল ১১টার দিকে মানববন্ধন করে চট্টগ্রাম কলেজের সামনে। মানববন্ধন থেকে মাহমুদা খাতুন মিতুর খুনিদের গ্রেফতারের দাবি জানানো হয়।
‘জামায়াত-জঙ্গিদের আতঙ্ক পুলিশ সুপার বাবুল আক্তারের সহধর্মীণি মাহমুদা খাতুন মিতু হত্যার প্রতিবাদে সর্বস্তরের সচেতন নাগরিকবৃন্দের মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ ৭ জুন বিকেল চারটায় চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাব। অংশ নিন সোচ্চার হোন।’ মুঠোফোনে ক্ষুদেবার্তাটি (এসএমএস) ফেরি হচ্ছে বেশ।
এ মানববন্ধন প্রসঙ্গে অন্যতম উদ্যোক্তা সংস্কৃতি সংগঠক ডা. চন্দন দাশ বলেন, ‘বাবুল আক্তার জামায়াত-জঙ্গিদের বিরুদ্ধে পজেটিভ রোল প্লে করেছিলেন। যেদেশে আমরা দেখি এ ধরনের ঘৃণ্য অপরাধীদের সঙ্গে কিছু পুলিশ সদস্যের যোগসাজশ থাকে। অভিযানের গোপন খবর আগেভাগে তাদের কাছে চলে যায়। সচেতন নাগরিকদের আস্থা ফিরিয়ে আনতে জীবনবাজি রেখে একের পর এক সফল অপারেশন করেছিলেন বাবুল আক্তার। তারই পরিণতি হিসেবে তার স্ত্রী টার্গেট কিলিং লিস্টে চলে এসেছেন। আমরা রাজপথে মানববন্ধন করবো, সৎ-সাহসী পুলিশ অফিসারদের মনোবল অটুট রাখতে। তারা যাতে উপলব্ধি করতে পারে সাধারণ মানুষ তাদের পাশে আছে। থাকবে।’
তিনি বলেন, প্রগতিশীল ফোরাম, সংগঠনগুলোতে সব সময় আমরা জামায়াত-জঙ্গির বিরুদ্ধে বলি। এখন আমাদের দাবি টার্গেট কিলিং বন্ধ করতে হলে সরকারকে আইনিভাবে টার্গেট কিলিং করতে হবে। দরকার হলে যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের মতো জঙ্গিদের জন্যে পৃথক ট্রাইব্যুনাল করতে হবে। জঙ্গিদের যে আইডিয়া, মগজধোলাই প্রক্রিয়া সেগুলোকেও টার্গেট কিলিংয়ের আওতায় নিয়ে আসতে হবে।