পেঁয়াজের দাম কেজিতে বেড়েছে ২৫ টাকা
পোস্ট করেছেন: dinersheshey | প্রকাশিত হয়েছে: ফেব্রুয়ারি ১৯, ২০২২ , ৩:৫৯ অপরাহ্ণ | বিভাগ: অর্থ ও বাণিজ্য
দিনের শেষে ডেস্ক : রোজার আভাস পেতেই অসহনীয় হয়ে উঠছে নিত্যপণ্যের দাম। হঠাৎ করেই রাজধানীর বাজারগুলোতে অস্বাভাবিক বেড়েছে পেঁয়াজের দাম, এক লাফে হয়েছে প্রায় দ্বিগুণ। কোনোভাবেই কমছে না চালের দামও, বিক্রি হচ্ছে আগের মতোই চড়া দামে। পাল্লা দিয়ে চড়ছে সবজির বাজারও। ব্রয়লার মুরগির দাম কেজিতে বেড়েছে ২০ টাকা। গতকাল শুক্রবার রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে। সপ্তাহের ব্যবধানে পেঁয়াজের দাম কেজিতে বেড়েছে ২৫ টাকা পর্যন্ত। ব্যবসায়ীরা দেশি পেঁয়াজের কেজি বিক্রি করছেন ৫০-৬০ টাকায়। এক সপ্তাহ আগে এই পেঁয়াজের কেজি ছিল ৩০-৩৫ টাকা। দাম বাড়ার কারণ জানতে চাইলে ব্যবসায়ীরা বৃষ্টিকেই দায়ী করেন। তারা বলছেন, বৃষ্টির কারণে অনেক ক্ষেত নষ্ট হয়ে গেছে। অনেক পেঁয়াজ পচে গেছে। যাত্রাবাড়ী কাঁচাবাজারে পেঁয়াজ কিনতে আসা চাকরিজীবী কাওসার আহমেদ বলেন, এক সপ্তাহের ব্যবধানে কেজিতে পেঁয়াজের দাম বেড়েছে ২০ টাকা। গত সপ্তাহে ৩০ টাকা থাকলেও এখন কিনতে হচ্ছে ৫০ টাকায়।
রাজধানীর সেগুনবাগিচায় চালের দোকানে আগের মতোই চড়া দামে চাল বিক্রি করতে দেখা গেছে। মায়ের দোয়া রাইস এজেন্সি, মদিনা রাইস এজেন্সিসহ বেশ কয়েকটি দোকানে দেখা গেছে চিকন চাল- মিনিকেট ৬৩ থেকে ৬৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। ৫০ কেজির বস্তা বিক্রি করছে ৩ হাজার ২০০ টাকায়। এ ছাড়া নাজিরশাইল ৬৫ থেকে ৬৮ টাকা কেজি, ৫০ কেজির বস্তা ৩ হাজার ২৫০ টাকা, কাটারিভোগ কেজি বিক্রি হচ্ছে ৭০ টাকায়। ৫০ কেজির বস্তা বিক্রি করছে সাড়ে ৩ হাজার টাকায়।
এ ছাড়া মোটা চাল- আটাশ চাল বিক্রি হচ্ছে কেজি ৫০ টাকায়, ৫০ কেজির বস্তা বিক্রি হচ্ছে আড়াই হাজার টাকায়। ঊনত্রিশ জাতের চালের কেজি ৫২ টাকা, ৫০ কেজির বস্তা ২ হাজার ৬০০ টাকায়। আমন জাতের চাল কেজি ৫৫ টাকা, স্বর্ণা ৪৮ টাকা, পাইজাম ৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করছেন। জানতে চাইলে মদিনা রাইস এজেন্সির বিক্রেতা মো. আলম বলেন, আড়তে চালের দাম এখনো চড়া। এক মাস ধরে একই অবস্থা। দাম কমার কোনো খবর নেই। আড়ত থেকে বেশি দামে কিনতে হয়। এ কারণেই খুচরা বাজারে বেশি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে।
মুরগির বাজার ঘুরে দেখা গেছে, ব্যবসায়ীরা ব্রয়লার মুরগির কেজি বিক্রি করছেন ১৭০-১৭৫ টাকা, যা এক সপ্তাহ আগে ছিল ১৫০-১৫৫ টাকা। সোনালি মুরগির কেজি বিক্রি হচ্ছে ২৬০-২৯০ টাকা, যা এক সপ্তাহ আগে ছিল ২৫০-২৮০ টাকা। কাপ্তান বাজারের ব্যবসায়ীরা জানান, বাজারে ব্রয়লার মুরগির সরবরাহ কম। এ কারণে দাম বেড়েছে। ব্রয়লার মুরগির দাম বাড়ার কারণে সোনালি মুরগির দাম বেড়েছে। এ ছাড়া গরুর মাংস কেজি ৬৫০ টাকা ও খাসির মাংস এক হাজার টাকা দরে বিক্রি হয়।
সবজি বাজার ঘুরে দেখা গেছে, ব্যবসায়ীরা ছোট ফুলকপির পিস বিক্রি করছেন ৩৫-৪০ টাকা। বড় ফুলকপি বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৬০ টাকায়। এক সপ্তাহ আগেই দাম বেড়েছিল ফুলকপির। নতুন করে দামে কোনো পরিবর্তন আসেনি। ফুলকপির মতো দাম অপরিবর্তিত রয়েছে অধিকাংশ সবজির। পাকা টমেটোর কেজি ৪০-৫০ টাকা। শিমের কেজি ৬০-৭০ টাকা। শাল গমের (ওল কপি) কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩০-৪০ টাকায়। লাউ প্রতিটি বিক্রি হচ্ছে ৫০-৬০ টাকা। লালশাকের আঁটি ১০-১৫ টাকা, পালংশাকের আঁটি বিক্রি হচ্ছে ১৫-২০ টাকায়। সপ্তাহের ব্যবধানে বেগুনের দাম কমে হয়েছে ৫০-৭০ টাকা কেজি, যা গত সপ্তাহে ছিল ৮০-১০০ টাকা। গাজরের কেজি ২০-৩০ টাকা, এক সপ্তাহ আগে যা ছিল ৩০-৪০ টাকা।
মাছ বাজার ঘুরে দেখা গেছে, রুই কেজি বিক্রি হচ্ছে ২৮০-৪৫০ টাকায়। কাতলেরও একই দাম। শিং ও টাকির কেজি ২৫০-৩৫০ টাকা। শোলের কেজি ৪০০-৬৫০ টাকা। তেলাপিয়া ও পাঙাস বিক্রি হচ্ছে ১৫০-১৭০ টাকা কেজিতে। এক কেজি ওজনের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ১০০০-১২০০ টাকা। ছোট ইলিশের কেজি ৫০০-৬০০ টাকা। নলা মাছ বিক্রি হচ্ছে ১৭০-২০০ টাকা কেজি। চিংড়ি বিক্রি হচ্ছে ৬০০-৬৫০ টাকা কেজি দরে।