পেনাল্টির হ্যাটট্রিকে এশিয়ার শিরোপা কাতারের
পোস্ট করেছেন: delwer master | প্রকাশিত হয়েছে: ফেব্রুয়ারি ১১, ২০২৪ , ১০:৪১ পূর্বাহ্ণ | বিভাগ: স্পোর্টস
ক্রীড়া ডেস্ক : ম্যাচে কাতার যে কয়টি গোল পেয়েছে, তার সবকটিই পেনাল্টি। এভাবে পেনাল্টি থেকে টানা তিনবার জর্ডানের জাল লক্ষ্যভেদ করলো তারা। বিপরীতে এক গোলের বেশি শোধ করতে পারেনি জর্ডান। আর তাতেই জর্ডানের রূপকথা থামিয়ে ৩-১ গোলের জয়ে এশিয়ান কাপের শ্রেষ্ঠত্বের মুকুটও ধরে রাখলো গেলবারের চ্যাম্পিয়নরা। শনিবার (১০ ফেব্রুয়ারি) দোহার লুসাইল স্টেডিয়ামে আকরাম আফিফ স্পট কিক থেকে স্বাগতিকদের এগিয়ে নেওয়ার পর দ্বিতীয়ার্ধে জর্ডানকে সমতায় ফেরান ইয়াজান আল নিয়ামাত। পরে আফিফের আরও দুই পেনাল্টি গোলে পঞ্চম দল হিসেবে এশিয়ান কাপে একাধিক শিরোপা জয়ের রেকর্ড গড়ে মাঠ ছাড়ে কাতার। ম্যাচে পরিষ্কার ফেভারিট ছিল কাতার। ম্যাচের শুরু থেকেই তারা নিজেদের আধিপত্য দেখাতে থাকে। সপ্তম মিনিটে প্রথম আক্রমণটি শাণায় কাতার। তবে আফিফের নেওয়া শট ফেরান জর্ডান গোলরক্ষক আবু ইয়াজিদ। গোল পেতে কাতারকে অপেক্ষা করতে হয় ম্যাচের ২০ মিনিট পর্যন্ত। ২০তম মিনিটে আফিফকে বক্সে ফাউল করেন আব্দল্লাহ নাসিব। দেরি না করে পেনাল্টির বাঁশি বাজান রেফারি। সফল স্পট কিকে দলকে এগিয়ে নেন আফিফ। বলের লাইনে ঝাঁপালেও গতির সঙ্গে পেরে ওঠেননি গোলরক্ষক। এরপর প্রথমার্ধে কয়েকটি ভালো সুযোগ পেলেও নষ্ট করে কাতার। গোল শোধ করার জন্য দ্বিতীয়ার্ধে মরিয়া হয়ে খেলতে থাকে জর্ডান। তাবে কাতারের গোলপোস্টের নিচে বিশ্বস্ত প্রহরী হয়ে ছিলেন কাতারের গোলরক্ষক বারশাম। তাতে ৫৮তম মিনিটে একবার হতাশ হতে হয় এহসান হাদ্দাদকে। পরে ইয়াজান আল আরাবের বুলেট গতির সাইড ভলিও ফেরান এই গোলরক্ষক। তবে হাল ছাড়েনি জর্ডান। আক্রমণের ধারা বজায় রেখে ম্যাচের ৬৭তম মিনিটে এগিয়ে যায় তারা। ডান দিক থেকে হাদ্দাদের বাড়ানো ক্রস প্রথম ছোঁয়ায় দারুণভাবে নিয়ন্ত্রণে নিয়ে জোরালো শটে লক্ষ্যভেদ করেন আল নিয়ামাত। বারশামের কিছুই করার ছিল না। তবে এগিয়ে গিয়েও ব্যবধান ধরে রাখতে পারলো না জর্ডান। ৭৩তম মিনিটে বক্সে মোহাম্মাদ ইসমাইলকে মাহমুদ আল মুরাদি ফাউল করলে ভিএআর দেখে পেনাল্টির সিদ্ধান্ত দেন রেফারি। ফের লক্ষ্যভেদ করে দলকে এগিয়ে নেন আফিফ। এরপর যোগ করা সময়ে আরেকবার জর্ডানের জাল লক্ষ্যভেদ করে কাতার। ১৩তম মিনিটের যোগ করা সময়ের শুরুতেই আফিফ আক্রমণে উঠলে তার সঙ্গে সংঘর্ষ হয় ছুটে আসা গোলরক্ষকের। অফসাইডের পতাকাও তোলার পরও কাতার ভিএআর চেকের আবেদন জানাতে থাকে। ভিএআর দেখে পেনাল্টির বাঁশি বাজান রেফারি। আরেকটি সফল স্পট কিকে হ্যাটট্রিক পূরণের সাথে কাতারের জয়ও একরকম নিশ্চিত করে দেন আফিফ। তাতে পঞ্চম দল হিসেবে এশিয়ান কাপে একাধিক শিরোপা জয়ের রেকর্ড গড়ে মাঠ ছাড়ে কাতার। তাদের আগে এই আসরে একাধিক শিরোপা জয়ের কীর্তি ছিলো কেবল জাপান, সৌদি আরব, ইরান ও দক্ষিণ কোরিয়ার।