আজকের দিন তারিখ ২২শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, শুক্রবার, ৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ সংবাদ
সারাবিশ্ব, সারাবিশ্ব লীড প্রথম বিশ্বযুদ্ধে আর্মেনীয় হত্যাকাণ্ড ছিল ‘গণহত্যা’ : জার্মানি

প্রথম বিশ্বযুদ্ধে আর্মেনীয় হত্যাকাণ্ড ছিল ‘গণহত্যা’ : জার্মানি


পোস্ট করেছেন: admin | প্রকাশিত হয়েছে: জুন ২, ২০১৬ , ৬:৫৭ অপরাহ্ণ | বিভাগ: সারাবিশ্ব,সারাবিশ্ব লীড


turkeyকাগজ অনলাইন ডেস্ক: প্রথম বিশ্বযুদ্ধে অটোমান তুর্কিদের হাতে অর্মেনীয়দের হত্যার শিকার হওয়া ঘটনাকে ‘গণহত্যা’ হিসেবে স্বীকৃতি দিল জার্মানি। বৃহস্পতিবার এ-সংক্রান্ত একটি প্রস্তাব পাস হয়েছে জার্মানির পার্লামেন্ট বুন্দেসট্যাগে।

বিবিসি অনলাইনের এক খবরে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

পার্লামেন্টে জার্মান সংসদ সদস্যরা এ ধরনের প্রস্তাব পাস করানোয় এর কঠোর বিরোধিতা করেছে তুরস্ক। তুর্কি সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, জার্মানির এ ধরনের পদক্ষেপে দুই দেশের সম্পর্ককে আঘাত করবে।

আর্মেনীয়রা দাবি করে, প্রথম বিশ্বযুদ্ধ শুরু হওয়ার পর ১৯১৫ সালে অটোমান তুর্কিরা আর্মেনিয়ার ১৫ লাখ মানুষকে হত্যা করে। তুরস্কের দাবি, এ সংখ্যা অনেক কম এবং এটি গণহত্যা নয়।

এমন সময় জার্মানি তুরস্কের গণহত্যাকে স্বীকৃতি দিল, যখন অভিবাসীদের স্রোত ঠেকাতে তুরস্ককে ইউরোপের খুবই প্রয়োজন হয়ে দাঁড়িয়েছে। জার্মানির এ পদক্ষেপের কারণে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) সঙ্গে তুরস্কের নতুন সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

তুরস্কের সরকারদলীয় একে পার্টির মুখপাত্র জানিয়েছেন, এ পদক্ষেপ জার্মানির সঙ্গে সম্পর্কের ক্ষতি করবে। তবে আর্মেনিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী তার প্রতিক্রিয়ায় বলেছেন, আর্মেনীয় গণহত্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি ও নিন্দায় জার্মানির এ পদক্ষেপ গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে।

ক্যাথলিক খ্রিষ্টানদের শীর্ষ ধর্মগুরু পোপ ফ্রান্সিস এবং ফ্রান্স, রাশিয়াসহ বিশ্বের ২০টিরও বেশি দেশ আর্মেনীয় হত্যাকাণ্ডকে গণহত্যা হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে।

তুরস্ক পরিকল্পিত গণহত্যার দাবি প্রত্যাখ্যান করেছে। তাদের ভাষ্য, প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সময় সংখ্যালঘু খ্রিষ্টানদের বেছে বেছে হত্যা করা হয়নি। অটোমান সম্রাজ্যের পতনের সময় তুরস্কের অনেক বেসামরিক লোক নিহত হয়।

চ্যান্সেলর অ্যাঙ্গেলা ম্যারকেল ভোটের সময় বুন্দেসট্যাগে উপস্থিত ছিলেন না। কিন্তু তার দল খ্রিষ্টান ডেক্রোক্র্যাট, জোট সরকারের শরিক দল সোশ্যাল ডেমোক্র্যাটস ও গ্রিন পার্টির সব সংসদ সদস্য প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দিয়েছেন।