আজকের দিন তারিখ ২৩শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, শনিবার, ৮ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ সংবাদ
সারাদেশ ফরিদগঞ্জে একটি  সেতুর অভাবে ভোগান্তিতে কয়েক গ্রামের মানুষ

ফরিদগঞ্জে একটি  সেতুর অভাবে ভোগান্তিতে কয়েক গ্রামের মানুষ


পোস্ট করেছেন: Dinersheshey | প্রকাশিত হয়েছে: ফেব্রুয়ারি ১৯, ২০২৩ , ৩:৫৬ অপরাহ্ণ | বিভাগ: সারাদেশ


ফরিদগঞ্জ (চাঁদপুর) প্রতিনিধি :  চাঁদপুর জেলার ফরিদগঞ্জ উপজেলার উত্তর পাইকপাড়া ইউনিয়নের পূর্ব ভাওয়াল তালুকদার বাড়ি এলাকায় একটি সেতুর অভাবে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে কয়েক গ্রামের কয়েক হাজার মানুষকে। সেতু নির্মাণ না হওয়ায় এতে বেশি করে দূর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে স্থানীয় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীসহ শিশু ও বয়স্কদের। শুধু তাই নয় ওই সাঁকো ভেঙে শিক্ষকসহ কয়েকজন শিক্ষার্থী পানিতে পড়ে আহত হওয়ার ঘটনা ঘটেছে বলে জানায় ভুক্তভোগীরা।
জানা গেছে, উত্তর পাইকপাড়া ইউপির পূর্ব ভাওয়াল তালুকদার বাড়ি গ্রামে খালের উপর ভেঙে যাওয়া সাঁকোটি স্বেচ্ছা শ্রমে স্থানীয় মানুষ সাঁকো নির্মাণ করলেও তা কিছুদিনের মধ্যেই আবার ভেঙে পড়ে । তারপর থেকে ওই স্থানে প্রতিবছর বাঁশের সাঁকো তৈরি করেন স্থানীয়রা। তবে ওই সাঁকো দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে পারাপার হতে হয় সর্বস্তরের মানুষদের। দীর্ঘ সময় ধরে এভাবে চলতে থাকলেও কোন সেতুর ব্যবস্থা করা হয়নি বলে অভিযোগ স্থানীয়দের। একটি সেতুই পারে ওই এলাকার কয়েক হাজার মানুষের ভোগান্তি দুর করতে।
সরেজমিনে গিয়ে স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা যায়, গ্রামের মানুষ ঝুকিপুর্ণ সাকোঁটি পার হয়েই উপজেলা সদর জেলা শহরে যেতে হয়।  সেতু না থাকায় গ্রামের মানুষদের রোগী শহরে যেতেও ভীষণ ভোগান্তী পোহাতে হয়। এছাড়া প্রতি শুক্রবার মুন্সীরহাট বড় বাজারে যেতে হয় । সেখানেও কৃষি পন্য নিয়ে যেতে কৃষকদের কষ্টের শেষ থাকে না।
এদিকে ওই এলাকার ছয় শতাধিক শিক্ষার্থীকে ঝুঁকিপূর্ন সাঁকো ব্যবহার করে স্কুল কলেজে যেতে হয় । স্থানীয় পূর্ব ভাওয়াল তালুকদার বাড়ি গ্রামের আবুল কালাম তালুকদার জানান, দীর্ঘ দিন থেকে এখানে কোন সেতু নেই। এলাকাবাসীর সহায়তায় স্বেচ্ছাশ্রমে  কাঠের সেতু নির্মাণ করা হয়। কাঠের ব্রিজের ওপর দিয়ে ব্যাটারি চালিত অটো রিকশা যাতায়াত করার কারণে তা পূনরায় ভেঙে চলাচলের অনুপযোগী হয়ে যায়। এদিকে গত কিছু দিন আগে একটি অটো রিকশা সেতু ভেঙে পড়ে যায় এবং এতে দুজন আহত হয়। এভাবে আর কতদিন? আমরা কৃষি পন্য হাট বাজারে নিয়ে যেতে পারি না। নিয়ে গেলেও খরচ বেশী হয়। আমাদের অনেক দূর্ভোগ পোহাতে হয়। তাই সেতুটি হলে এই গ্রামসহ  বেশ কয়েক গ্রামের সমস্যার সমাধান হবে।

সোল্লা বাজার হাইস্কুলের দমশ শ্রেণির শিক্ষার্থী সুমাইয়া জাহান বিথি, ইভা তালুকদার, জেরিন তালুকদার প্রীতি তালুকদার জানান, আমরা ঝুঁকি নিয়ে ওই সাঁকো পার হই। ইতোমধ্যেই বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী সাঁকাঁ থেকে পড়ে আহত হয়েছে। এদিকে বর্ষা মৌসুম এলে আমাদের কষ্টের শেষ থাকে না। নবনির্বাচিত উত্তর পাইকপাড়া ইউপি চেয়ারম্যান আবু পাওয়ারী বলেন, সেতুটি নির্মাণের জন্য চেষ্টা চালাচ্ছি। ইতিমধ্যেই স্থানীয় এলজিডির উপজেলা কার্যালয়ের প্রকৌশলী আমাকে জানিয়েছেন এটির একটি প্রকল্প অর্ন্তভুক্তির জন্য এলজিইডির প্রধান কার্যালয়ের প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। প্রস্তাব অনুমোদন হলেই দ্রুত সেখানে সেতু ণির্মানের কথা বলেছে তিনি।