আজকের দিন তারিখ ২৫শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, বুধবার, ১০ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ সংবাদ
অর্থ ও বাণিজ্য ফুলের দামে উৎসবের আগুন

ফুলের দামে উৎসবের আগুন


পোস্ট করেছেন: dinersheshey | প্রকাশিত হয়েছে: ফেব্রুয়ারি ১৪, ২০২২ , ৩:৫৯ অপরাহ্ণ | বিভাগ: অর্থ ও বাণিজ্য


দিনের শেষে প্রতিবেদক : করোনার বিধিনিষেধে পহেলা ফাল্গুন কিংবা ভালোবাসা দিবস কোনোটাই তেমন পূর্ণতা পায়নি গত দুই বছর। এবছর তেমন বাধা না থাকলেও দিবসগুলো ঘিরে ব্যবসায়ীদের নেই বাড়তি প্রত্যাশা। তাছাড়া স্কুল কলেজ বন্ধ থাকায় অধিক লাভ হবার আশা দেখছেন না ব্যবসায়ীরা। এমনকি কয়েক বছর বাজার চড়া হওয়ায় ক্রেতারা কিনতে এলেও না কিনে চলে ফেরত যান বেশি। রাজধানীর ফুলের দোকানগুলো দেখা যায়, অনান্য ফুলের তুলনায় গোলাপের চাহিদা বেশি। তবে বিক্রেতারা দাম হাঁকছেন বেশি। সাধারণ খোলা গোলাপ বিক্রি হচ্ছে ৫০-৬০ টাকা পিস, চায়না গোলাপের দাম উঠেছে ৮০ থেকে ১০০ টাকা পর্যন্ত।

এছাড়া ফুলের রিংগুলোর দাম বেড়ে হয়েছে ২০০ টাকা। গোলাপ ছাড়াও গ্লাডিওলাস, রজনীগন্ধা, জিপসি, রডস্টিক, কেলেনডোলা, লিলিয়াম ফুলের দামও বেড়েছে। কয়েক শ’ টাকা ছাড়া হাতে ফুলের গোছা চিন্তাই করা যাচ্ছে না। ফুলের দাম বৃদ্ধিতে হতাশ মৌসুম ফুল ব্যবসায়ীরা। ধানমন্ডিরে মৌসুম ফুল ব্যবসায়ী জনি বলেন, ভ্যালেন্টাইন এলেই এলাকায় বিক্রির জন্য দুই-তিনশ পিস গোলাপ নিয়ে যেতাম। কিন্তু এবার দাম অনেক বেশি। এই দামে এলাকায় কতটুকু ফুল বিক্রি হবে বলতে পারছি না।

আনিকা পুষ্প বিতানের মালিক বলেন, গত ৩০-৪০ বছরে ফুলের দাম কখনও এত বাড়েনি। আগে যে ফুল ২০ থেকে ২৫ টাকা বিক্রি করতাম সেই ফুল এখন ৫০-৬০ টাকায় বিক্রি করছি। ক্রেতাদের কাছে এতো দামে বিক্রি করতে আমাদেরও ভালো লাগছে না। কিন্তু উপায় নাই, ফুলের সঙ্কট। এ প্রসঙ্গে দেশের ফুল ব্যবসায়ীদের কেন্দ্রীয় সংগঠন বাংলাদেশ ফ্লাওয়ারস সোসাইটির সভাপতি আব্দুর রহিম গণমাধ্যমকে বলেন, প্রতি বছর এসময় ফুলের দাম বেশি হয়। এবছর তুলনামূলক একটু বেশি। এর প্রধান কারণ কৃষকরা ফুল চাষ কমিয়ে দিয়েছে। আগে দুই একর জমিতে ফুল চাষ করলেও এখন এক একরে চাষ হচ্ছে। এছাড়া গ্লাডিওলাস ফুলের বীজ সংরক্ষণের অভাবে নষ্ট হয়েছে। যার কারণে কৃষকরাও আশানুরূপ উৎপাদন করতে পারেননি।