ফের ভোজ্যতেলের দাম বাড়াতে চান ব্যবসায়ীরা
পোস্ট করেছেন: Dinersheshey | প্রকাশিত হয়েছে: এপ্রিল ২৬, ২০২১ , ২:০৬ অপরাহ্ণ | বিভাগ: অর্থ ও বাণিজ্য
দিনের শেষে প্রতিবেদক : আন্তর্জাতিক বাজারে দাম বৃদ্ধির কারণে দেশের বাজারে আরেক দফা ভোজ্যতেলের দাম বাড়ানোর প্রস্তাব দিয়েছে উৎপাদন ও বিপণনকারী কোম্পানিগুলো। নতুন করে প্রতি লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেলের দাম ১৪৪ টাকা করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। এর আগে ১৫ মার্চ পণ্য বিপণন পরিবেশক নিয়োগ আদেশ, ২০১১ অনুযায়ী গঠিত জাতীয় কমিটি চার টাকা বাড়িয়ে বোতলজাত সয়াবিন তেলের লিটার সর্বোচ্চ ১৩৯ টাকা দাম নির্ধারণ করে। যা আগে ছিল ১৩৫ টাকা। ভোজ্যতেল উৎপাদনকারীদের সংগঠন বাংলাদেশ ভেজিটেবল অয়েল রিফাইনার্স অ্যান্ড বনস্পতি ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন গত ১৯ এপ্রিল বাংলাদেশ ট্রেড আ্যান্ড ট্যারিফ কমিশনকে চিঠি দিয়ে নতুন করে দাম নির্ধারণের প্রস্তাব করেছে।
চিঠি অনুযায়ী, নতুন করে প্রতি লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেলের দাম নির্ধারণ করা হবে ১৪৪ টাকা, যা আগের চেয়ে ৫ টাকা বেশি। এছাড়া প্রতি লিটার খোলা সয়াবিন ১২২ টাকা ও পাঁচ লিটারের বোতল ৬৮৫ টাকা এবং পাম সুপার তেল ১১৩ টাকায় বিক্রি হবে। এতে খোলা সয়াবিনের দাম বাড়বে লিটারে ৫ টাকা। পাঁচ লিটারের বোতলে বাড়বে ৫৫ টাকা। পাম সুপার তেলের দাম বাড়বে লিটারে ৪ টাকা। তবে শনিবার (২৪ এপ্রিল) থেকে দাম বাড়ানোর কথা থাকলেও এখনো বাজারে আগের দামেই তেল বিক্রি হচ্ছে। আইন অনুযায়ী ভোজ্যতেলের দাম বাড়ানোর আগে ট্যারিফ কমিশনকে জানাতে হয়। সম্প্রতি আন্তর্জাতিক বাজারে মূল্য বৃদ্ধির কারণে প্রতি ১৫ দিন পর পর তেলের দাম নির্ধারণের কথাও জানায় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে শীর্ষস্থানীয় ভোজ্যতেল বিপণনকারী সিটি গ্রুপের পরিচালক বিশ্বজিৎ সাহা গণমাধ্যমকে বলেন, বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও ট্যারিফ কমিশনকে ভোজ্যতেলের দাম বৃদ্ধির বিষয়ে চিঠি দেওয়া হয়েছে। রোজা ও সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে ১৪৪ টাকা করার প্রস্তাব দিয়েছি। বর্তমানে আন্তর্জাতিক বাজার অনুযায়ী দাম পড়ে ১৫২ টাকা। শিগগিরই ভোজ্যতেলের বাড়তি দাম কার্যকর হয়ে যাবে।
ভোজ্যতেল আমদানিতে ৪ শতাংশ অগ্রিম কর প্রত্যাহার করেছে সরকার, তারপরও কেন দাম বাড়ানোর প্রস্তাব করা হলো জানতে চাইলে বিশ্বজিৎ সাহা বলেন, সরকার যে কর কমিয়েছে সেটা অ্যাডভান্স ট্যাক্স। এটা আগেও দামে কোনো প্রভাব ফেলেনি, কর প্রত্যাহারের পরও দামে কোনো প্রভাব পড়েনি। এটা সরকারকে আমরা দিয়ে আসতাম, সরকার পরবর্তীতে আমাদের ফেরত দিতো। সেটা বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও ট্যারিফ কমিশন জানে।