ফেসবুক আর কোকেন মস্তিস্কে সমান প্রভাব ফেলে!
পোস্ট করেছেন: admin | প্রকাশিত হয়েছে: জুন ২, ২০১৬ , ১১:২৯ পূর্বাহ্ণ | বিভাগ: বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
অনলাইন ডেস্ক: ফেসবুকের নেশা ভয়াবহ মাদক কোকেনের চেয়ে কোন অংশে কম নয়। এটা গবেষকদের কথা। তাদের মতে, যারা সীমাহীন ফেসবুক ফিড নিয়ে ব্যস্ত থাকেন- তাদের মস্তিষ্কে যে অনুভূতি হয়, কোকেনও ঠিক একই ধরনের প্রভাব সৃষ্টি করে। ফেসবুকে যারা প্রবেশ না করে থাকতে পারেন না; তাদের মস্তিষ্কের গ্রে ম্যাটার অংশে ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়া চলতে থাকে।
‘সাইকোলজিক্যাল রিপোর্টস : ডিসঅ্যাবিলিটি অ্যান্ড ট্রমা’ জার্নালে প্রকাশিত গবেষণাপত্রে বলা হয়, ফেসবুক আসক্তদের বিভিন্ন ছবি দেখানো হয়। বলা হয়, তাদের পছন্দের ছবি প্রদর্শনমাত্র একটি বাটনে চাপ দিতে হবে। দেখা গেছে, ফেসবুকের ছবি দেখামাত্র কয়েকজন ওই বাটনে চাপ দিয়েছেন। যারা আগে থেকেই ফেসবুকে আসক্ত।
গবেষকরা দেখেছেন, ফেসবুক মস্তিষ্কের অ্যামিগডালা অংশকে উত্তেজিত করে। এই অংশ ঘটনা, আবেগ ইত্যাদির গুরুত্ব তুলে ধরে। কয়েকজন অংশগ্রহণকারী ফেসবুকে ছবি দেখে এত দ্রুত ক্রিয়াশীল হয়েছেন; যা রাস্তায় চলাচলের সময় নির্দেশক চিহ্ন দেখেও হন না। কাজেই বিষয়টি এক অর্থে ভয়ঙ্কর। কারণ রাস্তায় চলাচলের সময় নির্দেশক চিহ্ন না দেখে মোবাইলে ফেসবুকের নোটিফিকেশন দেখতে থাকলে তা দুর্ঘটনা বয়ে আনতে পারে।
লাইভ সায়েন্সের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ফেসবুকে আসক্তরা এক বিবেচনায় মাদকাসক্ত। ফেসবুকে অবস্থানের সময় এমনভাবেই কাজ করেন তারা। তবে ভালো সংবাদটি হলো- এ ধরনের আচরণ চিকিৎসার মাধ্যমে দূর করা সম্ভব। ব্যবহার নিয়ন্ত্রণ এবং উদ্দীপনা সৃষ্টির মাধ্যমে ফেসবুকে আসক্তি তাড়ানো সম্ভব। ফেসবুকের মতো টুইটার ব্যবহারকারীরাও একই ধরনের আসক্তিতে ভোগেন। অনেকের মতে, এটি তামাক বা অ্যালকোহলের নেশার মতো কাজ করে।
একাধিক গবেষণায় এও বলা হয়েছে, ফেসবুক ব্যবহারকারীরা অবশ্য স্বীকার করতে চান না তারা আসক্ত। অনেকটা ধূমপায়ীদের মতো বলে থাকেন আমরা চাইলে যে কোন সময় এটা ছেড়ে দিতে পারি। তবে দেখা গেছে, অনেক গুরুত্বপূর্ণ কাজ হাতে রেখেও ‘এই উঠি’ ‘এই উঠি’ করে তারা ঘণ্টা পার করে দেন ফেসবুকে।