আজকের দিন তারিখ ২৪শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, মঙ্গলবার, ৯ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ সংবাদ
স্পোর্টস বকুনি খেয়ে আধা ঘণ্টা ধরে কেঁদেছিলেন ইনজামাম

বকুনি খেয়ে আধা ঘণ্টা ধরে কেঁদেছিলেন ইনজামাম


পোস্ট করেছেন: Dinersheshey | প্রকাশিত হয়েছে: এপ্রিল ২২, ২০২০ , ৬:২৭ পূর্বাহ্ণ | বিভাগ: স্পোর্টস


দিনের শেষে ডেস্ক : খারাপ দিন আসতেই পারে। খেলাধুলায় এটাই স্বাভাবিক। মাঠে নেমে প্রতিদিন রান করা কিংবা উইকটে নেওয়া যায় না। কোনো কোনো দিন দ্রুত আউট হয়ে ফিরতে হয়। কাঁচা বয়স হলে তো কথাই নেই। উইকেটে থাকতে না পারায় ঝাড়ি শুনতে হয় দলের সিনিয়রদের।পাকিস্তান দলের কিংবদন্তি ব্যাটসম্যান ইনজামাম-উল-হক একবার এমনই এক পরিস্থিতির মধ্যে পড়েছিলেন। তাড়াতাড়ি আউট হ্ওয়ায় সিনিয়র এক খেলোয়াড়ের কাছে ইনজামাম এমন বকুনি শুনেছিলেন যে মনের দুঃখে কেঁদেছিলেন আধ ঘন্টা ধরে। ইউটিউবে নিজ চ্যানেলে সেই স্মৃতিই ভাগ করে নিয়েছেন পাকিস্তানের সাবেক এই কোচ ও প্রধান নির্বাচক। ৫০ বছর বয়সী ইনজামাম জানান, ওই ঘটনার আগে তিনি কখনো অমন কঠোর বকুনি শোনেননি। ‘একবার দ্রুত আউট হলাম। দলের সেই সিনিয়র খেলোয়াড় খুব কঠোর কিছু কথা বলেছিলেন। মনে হয় না কখনো অমন কড়া কথা শুনেছি। প্রায় আধ ঘন্টা ধরে কেঁদেছিলাম। মন খারাপ ছিল সারা রাত।’ পাকিস্তানের হয়ে ওয়ানডেতে ১১ হাজারের বেশি এবং টেস্টে ৮ হাজারের বেশি রান করা ইনজামাম আরও একটি বিষয় নিয়ে কথা বলেছেন। ফিক্সিংয়ে জড়িয়ে ‘দূভার্গ্যজনক’ভাবে ক্যারিয়ার শেষ হয়ে যায় পাকিস্তানি ক্রিকেটারদের দ্বিতীয় সুযোগ পা্ওয়া উচিত বলে মনে করেন বিশ্বকাপজয়ী এ সাবেক। ভারতের সাবেক অধিনায়ক আজহারউদ্দিনের উদাহরণ দিয়ে সেলিম মালিকের প্রসঙ্গ টেনেছেন ইনজামাম। ফিক্সিংয়ের অভিযোগে আজহার নিষিদ্ধ হ্ওয়ার পর ঘুরে দাঁড়িয়েছেন দ্বিতীয় সুযোগ পেয়েছিলেন বলে। আজহার এখন হায়দরাবাদ ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি। ইনজামাম বলেন, ‘এটা দূভার্গ্যজনক যে তার (সেলিম মালিক) ক্যারিয়ার শেষ হয়ে গেল। এভাবে শেষ হ্ওয়া ঠিক হয়নি। আমি মনে করি দেশের জন্য তার দ্বিতীয় সুযোগ পা্ওয়া উচিত ছিল। ভারতের আজহারকে দেখুন। তার বিপক্ষেও অভিযোগ উঠেছিল। এখন সে হায়দরাবাদ ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি। মালিককেও ক্রিকেট সম্পর্কিত কোনো কিছুর সঙ্গে জড়িত রাখা ‍উচিত ছিল।’ ম্যাচ পাতানোর অভিযোগে ২০০০ সালে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি) আজীবন নিষিদ্ধ করে সেলিম মালিককে। পরে এ নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয় লাহোরের আদালত।