বর্তমান নির্বাচন কমিশন কোনোভাবেই ব্যর্থ নয়: সিইসি
পোস্ট করেছেন: dinersheshey | প্রকাশিত হয়েছে: ফেব্রুয়ারি ১৪, ২০২২ , ৪:১৮ অপরাহ্ণ | বিভাগ: /////হাইলাইটস/////
দিনের শেষে প্রতিবেদক : বর্তমান নির্বাচন কোনোভাবেই ব্যর্থ কমিশন নয়, তার নেতৃত্বাধীন ইসি সফলতার সঙ্গে আইনের মধ্যে থেকে নিরপেক্ষভাবে দায়িত্ব পালনের চেষ্টা করেছেন বলে দাবি করেছেন বিদায়ী প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নূরুল হুদা। তিনি বলেছেন, কঠোর পরিশ্রম করে বর্তমান নির্বাচন কমিশন জাতীয় সংসদসহ বিভিন্ন ধরনের ৬ হাজার ৬৯০টি নির্বাচন করেছে, কিন্তু কোন রাজনৈতিক চাপ ছিল না । সোমবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) নির্বাচন কমিশন ভবনে বর্তমান ইসির বিদায়ী সংবাদ সম্মলনে তিনি এমন দাবি করেন।
কমিশনের সফলতা বা ব্যর্থতা নিয়ে নিজের মূল্যায়ন জানতে চাইলে সিইসি বলেন, আমরা চেষ্টা করেছি সম্পূর্ণ নিরপেক্ষভাবে দায়িত্ব পালনের জন্য। কারও কোনো রকমের কথায় না, আইনের শাসনের মধ্যে থাকার চেষ্টা করেছি। কিন্তু কমিশন একা তো নির্বাচন করে না, কোনো কোনো ক্ষেত্রে স্টেক হোল্ডারদের গাফিলতি বা দায়িত্বপালনে অবহেলার কারণে কিছু সমস্যা তৈরি হতে পারে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
কেএম নূরুল হুদা বলেছেন, পাঁচ বছরের দায়িত্বে অনেক চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয়েছি। তবে সফলভাবে দায়িত্ব পালন করেছি। আমাদের ওপর যে দায়িত্ব ছিল, কঠোর পরিশ্রম করে সে দায়িত্ব পালন করেছি।
সার্চ কমিটিতে অনেকেই আপনাদের ব্যর্থ ও কোনো একটি রাজনৈতিক দলের হয়ে কাজ করেছেন এমন অভিযোগ করেছেন বিশিষ্টজনরা, এমন প্রশ্নের জবাবে সিইসি বলেন, বহু দল, স্টেক হোল্ডার নিয়ে আমাদের ভোট করতে হয়, অনেকের ওপর নির্ভর করতে হয়। হয়তো কোনো কোনো ক্ষেত্রে ত্রুটি হতে পারে। তবে আমরা কোনো রাজনৈতিক বা অন্য কোনো চাপে কখনও ছিলাম না, কঠোর পরিশ্রম করে এ পাঁচ বছর কাজ করে গেছি, নির্বাচন করেছি। এটা ওনাদের মতামত, ওনারা বলতে পারেন।
সিইসি বলেন, আমরা ৬ হাজার ৬৯০টি নির্বাচন করেছি। রুটিন কাজের বাইরেও অনেক কাজ করেছি। ইভিএমে নির্বাচন আমাদের বড় সফলতা।
তিনি জানান, আইন সংস্কারে বেশ কিছু কাজ করেছি। আরপিও বাংলায় রূপান্তরসহ অনেকগুলো বিধিমালা করেছি।
তিনি বলেন, ২৪ হাজার ৮৮১ জনকে প্রশিক্ষণ দিয়েছি বিশেষ করে ইভিএমে। করোনার কারণে সীমানা পুনর্নির্ধারণ করতে পারিনি। স্থানীয় সরকারের সব নির্বাচন সম্পন্ন করেছি। ইভিএম বড় ধরনের চ্যালেঞ্জ ছিল। অত্যন্ত সফলতার সঙ্গে করতে পেরেছি। এনআইডি সহজীকরণ করা হয়েছে। ভাণ্ডার সমৃদ্ধ হয়েছে। আমরা মনে করি, আমাদের ওপর যে দায়িত্ব ছিল কঠোর পরিশ্রম করে সে দায়িত্ব পালন করেছি।
সংবাদ সম্মেলনে নির্বাচন কমিশনার মো. রফিকুল ইসলাম, কবিতা খানম, অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ ও যুগ্ম সচিব এসএম আসাদুজ্জমান উপস্থিত ছিলেন। তবে মাহবুব তালুকদার উপস্থিত না হওয়ার বিষয়ে তিনি বলেন, উনি বরাবরই কিছু বিরোধীতা করেছেন, গণমাধ্যমের কাছে নিজস্ব বা ব্যক্তিগত মতামত তুলে ধরে ইসির ভাবমুর্তি কিছুটা ক্ষুণ্ণ করার চেষ্টা করেছেন, আজও হয়তো সাংবাদিকদের ডেকে ওনার ঘরে লিখিত বক্তব্য পড়বেন।
২০১৭ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি সাবেক বেসামরিক আমলা কেএম নূরুল হুদাকে সিইসি; মাহবুব তালকুদার, রফিকুল ইসলাম, কবিতা খানম ও সামরিক আমলা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) শাহাদাত হোসেন চৌধুরীকে নির্বাচন কমিশনার হিসেবে নিয়োগ দেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। সংবিধান অনুযায়ী, ৫ বছর দায়িত্ব শেষে তাদের মেয়াদ শেষ হলো আজ ১৪ ফেব্রুয়ারী।