বাঁধ ভেঙে পড়ায় সিলেটে বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতির আশঙ্কা
পোস্ট করেছেন: delwer master | প্রকাশিত হয়েছে: মে ২০, ২০২২ , ১২:০৮ অপরাহ্ণ | বিভাগ: /////হাইলাইটস/////
দিনের শেষে ডেস্ক : সিলেটের জকিগঞ্জের বিস্তীর্ণ এলাকায় প্রবল বেগে পানি ঢুকে প্লাবিত হচ্ছে। উপজেলার অমলশিদ এলাকায় সুরমা ও কুশিয়ারা নদীর উৎসস্থলের একটি ডাইক (নদী প্রতিরক্ষা বাঁধ) ভেঙে যাওয়ায় এই সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে। ফলে সিলেটের বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতির আশঙ্কা রয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার দিনগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে এই ভাঙনের ঘটনা ঘটে। স্থানীয় প্রশাসন ও এলাকাবাসী জানিয়েছে, উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলের তীব্র স্রোতে ভারতের সীমান্তবর্তী বরাক নদের মোহনায় ডাইকটি ভেঙে গেছে। এর পরই ফিল্লাকান্দি, অমলশিদ, বারঠাকুরী, খাসিরচক, খাইরচক, বারোঘাট্টা, সোনাসারসহ বেশ কিছু এলাকা পানিতে তলিয়ে গেছে। জকিগঞ্জ উপজেলা সদরের সঙ্গে অমলশিদ যাতায়াতের রাস্তাটিও পানিতে ডুবে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। ফলে এ রাস্তায় যান চলাচল বন্ধ আছে। ডাইক ভেঙে পানি ঢুকতে থাকায় আগে থেকেই প্লাবিত উপজেলার ৯টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভার বিভিন্ন এলাকায় পানি বাড়ছে। ভারতের বরাক নদ থেকে প্রবল বেগে পানি এখন সুরমা ও কুশিয়ারা নদীতে গিয়ে ঢুকছে। স্থানীয় কৃষক আবুল হাসিম (৩৬) জানান, আজ শুক্রবার সকাল পৌনে নয়টার দিকে ডাইকের কমপক্ষে ৬০ ফুট অংশ ভেঙে গিয়েছে। এ অবস্থায় ডাইকের ঠিক পাশেই অবস্থিত অমলশিদ ও ফিল্লাকান্দি গ্রামের বাসিন্দারা প্রচুর ক্ষতির মুখোমুখি হয়েছেন। এ দুটি গ্রাম বেশি প্লাবিত হয়েছে। এলাকাবাসী জানিয়েছেন, সিলেট থেকে প্রায় ৯২ কিলোমিটার দূরে জকিগঞ্জের অবস্থান। এটি জেলার সবচেয়ে দূরবর্তী উপজেলা। ভারতের করিমগঞ্জ জেলার বরাক নদের দুটি শাখা হচ্ছে সিলেটের সুরমা ও কুশিয়ারা নদী। এদের মিলনস্থল হচ্ছে সিলেটের জকিগঞ্জ উপজেলার অমলশিদ এলাকা। এই অমলশিদে একটি ডাইক আছে। বরাক থেকে পানি এসে প্রথমে সরাসরি এ ডাইকে আঘাত করে। এরপর পানি ভাগ হয়ে সুরমা ও কুশিয়ারায় প্রবাহিত হয়। সুরমা ও কুশিয়ারা নদীর মাধ্যমেই মূলত সিলেট বিভাগের প্রায় ১০০টি নদ-নদীতে পানি প্রবাহিত হয়। এখন ডাইক ভেঙে যাওয়ায় পানি কোনো বাধা না পেয়ে তীব্র গতিতে সরাসরি সুরমা ও কুশিয়ারায় গিয়ে ঢুকছে। ফলে পুরো সিলেট জেলায় বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতির আশঙ্কা রয়েছে। জকিগঞ্জের ভারপ্রাপ্ত উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) পল্লব হোম দাস জানান, ডাইক ভেঙে যাওয়ায় সিলেটের অন্যান্য উপজেলায়ও পানি বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে। পানিবন্দী মানুষেরা বলছেন, বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হওয়ায় খাবার ও বিশুদ্ধ খাবার পানির সংকট দেখা দিয়েছে। গো-খাদ্যের সংকটও তীব্র আকার ধারণ করেছে।