বার্সাকে শেষ আটে পৌঁছে দিলেন মেসি-সুয়ারেজ
পোস্ট করেছেন: Dinersheshey | প্রকাশিত হয়েছে: আগস্ট ৯, ২০২০ , ১১:৫৬ পূর্বাহ্ণ | বিভাগ: স্পোর্টস
দিনের শেষে ডেস্ক : দলের প্রয়োজনে দ্যুতি ছড়ালেন লিওনেল মেসি। পেলেন গোলের দেখা। জ্বলে উঠেন লুইস সুয়ারেজও। দুই সুপারস্টারের উদ্দীপনায় ফিরতি লেগে ৩-১ গোলে নাপোলি বাধা উতরে বার্সেলোনা পৌঁছে গেছে চ্যাম্পিয়নস লিগের কোয়ার্টার ফাইনালে।
ফেব্রুয়ারিতে শেষ ষোল পর্বের প্রথম লেগে নাপোলির মাঠ থেকে ১-১ গোলের ড্র নিয়ে ফিরেছিল কাতালানরা। দুই লেগ মিলিয়ে ৪-২ গোলে শেষ আটে উঠে গেছে বার্সা। সেমিফাইনালে উঠার লড়াইয়ে তাদের প্রতিপক্ষ জার্মান জায়ান্ট বায়ার্ন মিউনিখ।
ইউরোপ সেরাদের লড়াইয়ের শেষ আটের টিকিট ছিনিয়ে নেওয়ার পথে শুধু নাপোলিই অন্তরায় ছিল না। ন্যু ক্যাম্পে ভিডিও অ্যাসিস্ট্যান্ট রেফারির বিতর্কিত সিদ্ধান্ত হজম করতে হয়েছে বার্সাকে।
শনিবার রাতে প্রথমার্ধেই তিন গোল করে এগিয়ে যায় কোচ কিকে সেতিয়েনের শিষ্যরা। গোল করেন ক্লেমেন্ট লেঙ্গলেট, লিওনেল মেসি ও লুইস সুয়ারেজ। তবে হ্যান্ডবলের কারণে জোড়া গোলের নৈপুণ্য থেকে বঞ্চিত হয়েছেন আর্জেন্টাইন সুপারস্টার মেসি।
বার্সার রাতে ম্যাচের দশম মিনিটেই বলে মাথা ছুঁয়ে স্বাগতিক বার্সাকে এগিয়ে দেন ক্লেমেন্ট লেঙ্গলেট। ১৩ মিনিট যেতেই দুর্দান্ত ফিনিশিংয়ে গোল ব্যবধান দ্বিগুণ করেন ফুটবল জাদুকর মেসি।
ম্যাচে ব্যক্তিগত দ্বিতীয় গোলের দেখা পেয়ে যেতে পারতেন বার্সার প্রাণভোমরা মেসি। হ্যান্ডবলের জন্য তার সে প্রচেষ্টা বাতিল করে দেয় ভিএআর।
কিন্তু পরে কালিদু কোউলিবালি স্টার ফরওয়ার্ড মেসিকে ফেলে দিলে ভিডিও রেফারি পেনাল্টি উপহার দেয় বার্সাকে। প্রথমার্ধের ইনজুরি টাইমের প্রথম মিনিটেই সুযোগটা নিয়ে ৩-০ গোলের ব্যবধান গড়েন উরুগুয়ের তারকা স্ট্রাইকার লুইস সুয়ারেজ।
প্রথমার্ধের নাটকীয়তা তখনো কিন্তু শেষ হয়নি। ড্রিয়েস মের্টেন্সকে ফাউল করে পেনাল্টি খেয়ে বসেন ইভান রাকিটিচ। এই সুযোগে ইনজুরি টাইমের পঞ্চম মিনিটে নাপোলিকে সান্ত্বনার গোল এনে দেন লোরেনজো ইনসিগনে।
বিরতির পর দ্বিতীয়ার্ধের লড়াইটা বেশ শান্তই ছিল। তবে লাইফলাইন পেতে চেষ্টা চালিয়ে গেছে সফরকারী নাপোলি। কিন্তু বলে মাথা ছুঁয়েও মার্ক-আন্দ্রে টার স্টেগেনের চোখ ফাঁকি দিতে পারেননি লোরেনজো ইনসিগনে।
বদলি ফুটবলার আরকাদিউজ মিলিক মাঠে ছিলেন দুই মিনিটেরও কম সময়। কিন্তু এতটুকু সময়ের মধ্যেও ম্যাচের শেষ মুহূর্তে তিনি গোল বঞ্চিত হয়েছেন অফসাইডের কারণে।