আজকের দিন তারিখ ২২শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, রবিবার, ৭ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ সংবাদ
জাতীয় বিএনপি-জামায়াতের নেতৃত্বেই নাশকতা: চিফ হুইপ

বিএনপি-জামায়াতের নেতৃত্বেই নাশকতা: চিফ হুইপ


পোস্ট করেছেন: dinersheshey | প্রকাশিত হয়েছে: জুলাই ২৯, ২০২৪ , ২:২২ অপরাহ্ণ | বিভাগ: জাতীয়


দিনের শেষে প্রতিবেদক : জাতীয় সংসদের চিফ হুইপ নূর-ই আলম চৌধুরী লিটন বলেছেন, সবার দৃষ্টি ছিল ছাত্র আন্দোলনের দিকে। কিন্তু একদল ষড়যন্ত্রকারী সুযোগ বুঝে তাদের ষড়যন্ত্র বাস্তবায়ন করেছে। মূলত জামায়াত-বিএনপি এই নাশকতার নেতৃত্ব দিয়েছে।  তিনি বলেন, মানুষের মাঝে আতঙ্ক ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য নাশকতাকারীরা দেশের বিভিন্ন স্থানে হামলা-ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করেছে। প্রভাবশালী নেতা ও প্রভাবশালী এলাকা ছক করে তা বাস্তবায়নের চেষ্টা চালিয়েছে দুস্কৃতিকারীরা। এই দুস্কৃতিকারীদের বিশেষ ট্রাইব্যুনাল করে জরুরিভিত্তিতে এর বিচার করতে হবে। যাতে ভবিষ্যতে এই ধরনের ষড়যন্ত্র করতে আর কেউ সাহস না পায়।  সোমবার (২৯ জুলাই) সকালে মাদারীপুরে মুক্তিযোদ্ধা অডিটোরিয়াম, তেলের পাম্প, পুলিশ ফাঁড়ি, বাসে অগ্নি সংযোগ ও বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি ক্ষতিগ্রস্ত স্থাপনা পরিদর্শন শেষে তিনি এ কথা বলেন।

মাদারীপুর-১ আসনের সংসদ সদস্য আরও বলেন, নাশকতাকারীদের উদ্দেশ্যে ছিল গণভবন দখল করা। দেশের গোয়েন্দারা সজাগ না থাকলে গণভবন দখল করতো হামলাকারীরা। এই গণভবন দখল হলে বঙ্গবন্ধুকে হত্যার মতো আরেকটা ভয়াবহ দিকের যেতে হতো। ২১ আগস্টের মত আরেক ষড়যন্ত্র শেখ হাসিনার উপর বাস্তবায়ন করতো। গোয়েন্দা নজরদারির কারণেই মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনায় গণভবন, সংসদ ভবনসহ বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান রক্ষা করা সম্ভব হয়েছে।

সংসদ নেতা বলেন, ভোটের মাধ্যমে আওয়ামী লীগকে পরাজিত করার শক্তি বিএনপি-জামায়াতের নেই। স্বাধীনতার পরে বঙ্গবন্ধুকে নির্বাচনের মাধ্যমে পরাজিত করার শক্তি কারোরই ছিল না। এজন্য বঙ্গবন্ধুকে স্বপরিবারে হত্যা করা হয়েছিল। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বেশ কয়েকবার হত্যার চেষ্টা করা হয়েছিল। আওয়ামী লীগকে ভোটের মাধ্যমে পরাজিত করার শক্তি না থাকায় দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্রকারীদের এই পথ বেছে নেয় বিএনপি-জামায়াত। মূলত জাতীয় নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করার ক্ষোভে সারাদেশে এই আগুন সন্ত্রাস করেছে বিএনপি-জামায়াত।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও মাদারীপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য শাজাহান খান, মাদারীপুর জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মুনির চৌধুরী, জেলা প্রশাসক মোহাম্মাদ মারুফুর রশিদ খান, পুলিশ সুপার মো. শফিউর রহমান, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সাহাবুদ্দিন আহম্মেদ মোল্লা, পৌর মেয়র খালিদ হোসেন ইয়াদসহ অনেকেই।