আজকের দিন তারিখ ২৪শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, রবিবার, ৯ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ সংবাদ
/////হাইলাইটস///// বিএনপি ধ্বংস করে, আওয়ামী লীগ সৃষ্টি করে : প্রধানমন্ত্রী

বিএনপি ধ্বংস করে, আওয়ামী লীগ সৃষ্টি করে : প্রধানমন্ত্রী


পোস্ট করেছেন: dinersheshey | প্রকাশিত হয়েছে: মার্চ ২৯, ২০২৩ , ৫:৪১ অপরাহ্ণ | বিভাগ: /////হাইলাইটস/////


দিনের শেষে প্রতিবেদক : বিএনপির জ্বালাও পোড়াও আন্দোলনের সমালোচনা করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ওরা ধ্বংস করে। আওয়ামী লীগ সৃষ্টি করে। রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ‘জাতীয় ভূমি সম্মেলন-২০২৩’ ও ভূমি মন্ত্রণালয়ের সাতটি প্রকল্পের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। এসময় প্রধানমন্ত্রী জানান, প্রতিটি উপজেলায় উন্নত ভূমি অফিস ও রেকর্ড সংরক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়েছে। বিএনপির সমালোচনা করে তিনি বলেন, তারা আমাদের ছয়টি ভূমি অফিসে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দিয়েছিল। রেকর্ড পুড়িয়ে দেওয়া হয়। ফলে ভূমি অফিসের দুরবস্থা সবার নজরে এসেছে। এতে আমরা ৪০০টি আধুনিক ভূমি অফিস করে দিয়েছি। একদিক থেকে ভালো হয়েছে যে, ওদের আগুন লাগানোর ফলে নতুন ও আধুনিক ভূমি অফিসের ব্যবস্থা হয়েছে। আর এও প্রমাণ হয়েছে- ওরা ধ্বংস করে। আর আওয়ামী লীগ সৃষ্টি করে মানুষের কল্যাণে। মানুষের সেবা করে যাওয়াটাই আমাদের একমাত্র লক্ষ্য। এসময় প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা চাই বাংলাদেশ থেকে সব ধরনের অনিয়ম দূর হোক। আমরা আজ সাতটি উদ্যোগ উদ্বোধন করলাম। এর ফলে স্মার্ট বাংলাদেশ গঠন সহজ হবে। সম্পদ বণ্টন নিয়ে তিনি বলেন, আমরা দেখি- বোনকে বঞ্চিত করে ভাই। আবার বোনও ভাইকে বঞ্চিত করে। বোনও বোনকে বঞ্চিত করে এমন ঘটনাও আছে। বণ্টন ব্যবস্থাটা ডিজিটালাইজড করলে এই সমস্যা হবে না। অধিকাংশ পারিবারিক সমস্যা এই বণ্টনের কারণে হয়। খুন-খারাবিও হয়। এরমধ্য দিয়ে অনেক পারিবারিক সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে। মানুষ শান্তি পাবে। মানুষের জীবনের শান্তি ও সমৃদ্ধি আমাদের কামনা। প্রধানমন্ত্রী বলেন, আগামী পহেলা বৈশাখ থেকে ভূমি উন্নয়ন কর শতভাগ অনলাইনে আদায় করা হবে। দেশের সাধারণ জনগণের পাশাপাশি ১৯২টি দেশ থেকে কল সেন্টারে বা ভূমি সেবা পোর্টালে আবেদন করলে প্রবাসীদের ঠিকানায়ও প্রেরণ করা হবে খতিয়ান। এরই মধ্যে অনলাইনে ৭৭০ কোটি টাকা রাজস্ব আদায় হয়েছে। দিনে গড়ে রাজস্ব আদায় পাঁচ কোটি টাকার বেশি। এসময় প্রধানমন্ত্রী জানান, ১৬১২২ ফোন করে কিংবা ঘরে বসে খধহফ.মড়াঃ.নফ এই পোর্টাল থেকে নামজারি, খতিয়ান নেওয়া এবং ভূমি কর দেওয়া যাচ্ছে। তিনি বলেন, ভূমি সেবা ডিজিটালাইজেশনের পাশাপাশি ভূমি ব্যবস্থাপনাকে আধুনিকায়ন করা হয়েছে। ভূমি সংক্রান্ত অপরাধ ঠেকাতেও নেওয়া হয়েছে ব্যবস্থা। ভূমিতে নতুন নিয়োগ বিধিমালার মাধ্যমে নিয়োগের সমস্যারও সমাধান করা হয়েছে। সামনে আর জনবল সংকট থাকবে না। সব উপজেলায় সহকারী কমিশনার (ভূমি) নিয়োগ করা হয়েছে। তাদের যানবাহনও দেওয়া হয়েছে। অনুষ্ঠানে ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী, আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, আইন ও বিচার বিভাগের সচিব মো. গোলাম সারওয়ার, ভূমি সচিব মোস্তাফিজুর রহমান বক্তব্য দেন। জাতিসংঘ মিশনে বাংলাদেশের সাফল্য তুলে ধরেছেন পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন। তিনি বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বে বাংলাদেশ আর্থ-সামাজিক সব ক্ষেত্রে অসামান্য অগ্রগতি সাধন করেছে। আন্তর্জাতিক অঙ্গনে একটি অত্যন্ত মর্যাদাপূর্ণ অবস্থান লাভ করেছে। বুধবার (২৯ মার্চ) নিউইয়র্কে বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস-২০২৩ উদযাপন উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে পররাষ্ট্র সচিব জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, মহান মুক্তিযুদ্ধের ত্রিশ লাখ শহীদ, দুই লাখ মা-বোন ও বীর মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানান। একইসঙ্গে তিনি ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে যারা সব ধরনের সহায়তা প্রদান করেছে, সেসব বন্ধুপ্রতিম দেশগুলোর প্রতি আন্তরিক কৃতজ্ঞতা জানান। পররাষ্ট্র সচিব মোমেন বলেন, স্বাধীন দেশ হিসেবে আমরা একটি রূপান্তরমূলক উন্নয়ন যাত্রা পার করেছি। একটি যুদ্ধ-বিধ্বস্ত, দরিদ্র দেশ থেকে ঘুরে দাঁড়িয়ে বাংলাদেশ বিশ্ব মঞ্চে আজ একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক ও জনকেন্দ্রিক উন্নয়নের মডেল দেশে পরিণত হয়েছে। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সামনে থেকে এই যাত্রার নেতৃত্ব দিচ্ছেন। তার দূরদর্শী নেতৃত্ব, সাহসী নীতি এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়ন কৌশল আমাদের দ্রুত প্রবৃদ্ধি, কাঠামোগত রূপান্তর এবং স্বনির্ভরতার দিকে নিয়ে গেছে। তিনি আরও বলেন, আমাদের পরবর্তী পরিকল্পনা ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে একটি সুখী-সমৃদ্ধ-উন্নত দেশে রূপান্তর করা। এজন্য প্রধানমন্ত্রী একটি নতুন স্মার্ট বাংলাদেশ অভিযাত্রা শুরু করেছেন। আমরা আমাদের এই দীর্ঘমেয়াদী লক্ষ্য বাস্তবায়নের জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সমর্থন কামনা করি। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ আবদুল মুহিত। এতে জাতিসংঘের বিভিন্ন দেশের ১০০ জনেরও বেশি রাষ্ট্রদূত ও স্থায়ী প্রতিনিধি, জাতিসংঘ সচিবালয়ের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা, আন্তর্জাতিক মিডিয়া ব্যক্তিত্ব, থিঙ্ক ট্যাঙ্ক ও অন্যান্য বিশিষ্ট ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।