আজকের দিন তারিখ ২৫শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, সোমবার, ১০ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ সংবাদ
অর্থ ও বাণিজ্য বিকল্প বাজেট প্রস্তাব অর্থনীতি সমিতির

বিকল্প বাজেট প্রস্তাব অর্থনীতি সমিতির


পোস্ট করেছেন: dinersheshey | প্রকাশিত হয়েছে: জুন ৮, ২০২০ , ৩:০৪ অপরাহ্ণ | বিভাগ: অর্থ ও বাণিজ্য


দিনের শেষে ডেস্ক :    আগামী ২০২০-২১ অর্থবছরের জন্য ১৩ লাখ ৯৬ হাজার ৬০০ কোটি টাকার বিকল্প বাজেট প্রস্তাব দিয়েছে বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতি। তার মধ্যে রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ১২ লাখ ৬১ হাজার ৬০০ কোটি টাকা। ঘাটতি বাজেটের পরিমাণ ১ লাখ ৩৫ হাজার কোটি টাকা। ব্যাংক ব্যবস্থা কিংবা বিদেশ থেকে ঋণ না নিয়ে ঘাটতি পূরণে বন্ড বাজার ও সঞ্চয়পত্রের ওপর নির্ভর করার প্রস্তাব দেয়া হয়েছে।

অনলাইন সংবাদ সম্মেলনে সোমবার বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতির বিকল্প বাজেট প্রস্তাব উপস্থাপনকালে এসব কথা বলেন সমিতির সভাপতি ও অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক আবুল বারকাত। এতে সমিতির সহসভাপতি জেড এম সালেহের সঞ্চালনায় সূচনা বক্তব্য দেন সাধারণ সম্পাদক জামালউদ্দিন আহমেদ।

এসময় অর্থনীতি সমিতির সভাপতি অধ্যাপক আবুল বারকাত বলেন, আয় বৈষম্য কমাতে দরিদ্র, নিম্ন মধ্যবিত্ত ও মধ্যবিত্তের ওপর বাজেটে কর আরোপ করা যাবে না। তিনি বলেন, বাংলাদেশ উচ্চ আয় বৈষমের দেশ। বৈষম্য হ্রাসে যত উপায় আছে তা বাজেটে অন্তর্ভুক্ত করুন। আগামী পাঁচ বছরের বাজেটে ব্যবস্থা নেয়া হলে বৈষম্য চিরতরে নির্মূল হবে। বৈষম্য নিরসনে তার প্রস্তাব, বাজেটে দরিদ্র, নিম্ন মধ্যবিত্ত ও মধ্যবিত্তের ওপর বাজেটে কর আরোপ করা যাবে না। ধনীদের সম্পদ দরিদ্রদের মধ্যে পুর্নবণ্টন করতে হবে। ধনীরা বুদ্ধিমান হলে এতে আপত্তি করার কথা না। অতিরিক্ত মুনাফার ওপর কর ও পাচার করা অর্থ উদ্ধারের পরামর্শ দেন তিনি।

অন্যদিকে রাজস্ব আদায়ে প্রত্যক্ষ করের ওপর জোর দিয়ে তিনি বলেন, পরোক্ষ কর সমাজে শ্রেণিবৈষম্য বাড়ায়। ১২ লাখ টাকার রাজস্ব আদায় সম্ভব কিনা জানতে চাইলে সমিতির সভাপতি বলেন, বর্তমান ব্যবস্থাপনায় সম্ভব না। তবে রাজস্ব আয় বৃদ্ধির জন্য ২১টি খাতে নজর দেওয়ার ওপর গুরুত্ব দিয়ে তিনি বলেন, সম্পদ কর, অতিরিক্ত মুনাফার ওপর কর, অর্থপাচার রোধ ও কালোটাকার ওপর কর বসিয়ে ২ লাখ ৬৭ হাজার কোটি টাকা রাজস্ব আদায় সম্ভব।

করোনা সংকট থেকে অর্থনীতি পুনরুদ্ধারে অর্থনীতি সমিতি একটি মডেল দিয়েছে। তারা বলছে, একসঙ্গে চারটি ফর্মুলা ব্যবহার করলে অবস্থার উন্নতি হবে। প্রথমত, ব্যক্তি, ব্যবসা ও সরকারের ব্যয় সংকোচন করতে হবে। দ্বিতীয়ত, ঋণভার কমাতে হবে। ঋণ পুনর্গঠন করতে হবে। বড় ঋণ গ্রহীতাদের প্রণোদনার অর্থ দেওয়া যাবে না। তাতে অর্থ অপচয় ও পাচারের ঘটনা ঘটতে পারে। তৃতীয়ত, ধনীদের সম্পদ দরিদ্রদের মধ্যে বন্টন করতে হবে। সম্পদ করের মাধ্যমে বৈষম্য কমানো সম্ভব। ৯০ শতাংশ মানুষের কর কমানো হলে তাদের আয় বাড়বে। চতুর্থত, প্রয়োজনে টাকা ছাপাতে হবে। মূল্যস্ফীতি হলেও বাকি তিনটির পাশাপাশি টাকা ছাপানো যায়, তবে অতিরিক্ত না।