বিজিবিতে ৯৭ নারী আদেশ পালনই প্রকৃত সৈনিকের কাজ: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
পোস্ট করেছেন: admin | প্রকাশিত হয়েছে: জুন ৫, ২০১৬ , ১২:৩৩ অপরাহ্ণ | বিভাগ: জাতীয়
কাগজ অনলাইন প্রতিবেক: বিজিবির নবাগত সদস্যদের উদ্দেশে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, আজ থেকে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) একজন সদস্য হিসেবে তোমাদের ওপর অর্পিত হল দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষার মহান দায়িত্ব। আদেশ ও কর্তব্য পালনে যে কখনও পিছপা হয় না, সেই প্রকৃত সৈনিক।
তিনি বলেন, এ বাহিনীর চারটি মূলনীতি মনোবল, ভ্রাতৃত্ববোধ, শৃংখলা ও দক্ষতা। এগুলোর প্রতি বিশ্বস্ত থেকে এবং তা হৃদয়ে ধারণ করে আগামীতে অর্পিত দায়িত্ব আরও নিষ্ঠার সঙ্গে পালন করতে হবে। নবীন সৈনিকদের মধ্যে তারই প্রতিফলন আমাদের সকলকে অনুপ্রাণিত ও মুগ্ধ করেছে।
রোববার সকালে চট্টগ্রামের সাতকানিয়ার ‘বর্ডার গার্ড ট্রেনিং সেন্টার অ্যান্ড স্কুল’ এ বর্ডার গার্ড বাংলাদেশে (বিজিবি) যোগদান করলেন ৮৮তম রিক্রুট ব্যাচের সদস্যরা। ১ হাজার ১৪৪ জন নবীন সৈনিক এতে অংশ নেন। প্রথমবারের মতো এদের মধ্যে রয়েছে ৯৭ জন নারী সৈনিক।
সমাপনী কুচকাওয়াজ ও শপথ পাঠের মাধ্যমে তারা আনুষ্ঠানিকভাবে দেশের সীমান্ত পাহারায় বিজিবিতে যোগদান করেন।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান সমাপনী কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠান পরিদর্শন শেষে তাদের উদ্দেশে বক্তব্য রাখেন।
বিজিবির ইতিহাসে দিনটিকে স্মরণীয় উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, বর্তমান সরকারের যুগান্তকারী উদ্যোগ ও দিকনির্দেশনায় কর্মক্ষেত্রে নানা পেশার পুরুষের পাশাপাশি নারীর অংশগ্রহণ ও সমঅধিকার প্রতিষ্ঠা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে বিজিবিতে প্রথমবারের মতো মহিলা সৈনিক ভর্তির প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে। তাই আজ তোমরা দেশ মাতৃকার স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় দৃপ্ত শপথ নিয়ে সৈনিক জীবনে প্রবেশ করতে যাচ্ছ। আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, অন্যান্য বাহিনীর নারী সৈনিকদের মতো তোমরাও কর্মক্ষেত্রে তোমাদের যোগ্যতা-দক্ষতা প্রমাণে সার্থক হবে।
তিনি বলেন, তোমরাই বিজিবিতে প্রথম মহিলা সৈনিক হিসেবে নতুন দিগন্ত উন্মোচন করতে যাচ্ছ। মনে রেখ বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে মহিয়সী নারীদের অংশগ্রহণ, অবদান ও আত্মত্যাগ অবিস্মরণীয়।
এ সময় দক্ষতার সঙ্গে সীমান্ত সুরক্ষা এবং সীমান্ত ভূমি সম্পদের নিরাপত্তা বিধান, নারী ও শিশু পাচার রোধ, সীমান্ত অপরাধ দমন, চোরাচালান প্রতিরোধ, দেশের অভ্যন্তরীণ শান্তিশৃংখলা রক্ষা ও বেসামরিক প্রশাসনকে সহায়তায় বিজিবির সৈনিক এবং কর্মকর্তাদের পেশাদারিত্বের ভূয়সী প্রশংসা করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।
কুচকাওয়াজ শেষে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী নবীন সৈনিকদের মধ্যে বিষয়ভিত্তিক প্রথম স্থান অর্জনকারী ও সব বিষয়ে শ্রেষ্ঠ নবীন সৈনিকের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করেন।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন- বর্ডার গার্ড ট্রেনিং সেন্টার অ্যান্ড স্কুলের কমান্ড্যান্ট ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. আনোয়ার শফিক, ২৪ পদাতিক ডিভিশনের জেনারেল অফিসার কমান্ডিং মেজর জেনারেল মো. জাহাঙ্গীর কবির তালুকদার, ১০ পদাতিক ডিভিশনের জেনারেল অফিসার কমান্ডিং মেজর জেনারেল আতাউল হাকিম সারওয়ার হাসান, সাতকানিয়ার সংসদ সদস্য অধ্যাপক আবু রেজা মোহাম্মদ নেজামুদ্দীন নদভী, চন্দনাইশ এলাকার সংসদ সদস্য মো. নজরুল ইসলাম চৌধুরী প্রমুখ।