আজকের দিন তারিখ ২১শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, বৃহস্পতিবার, ৬ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ সংবাদ
রাজনীতি বিদেশিরা বাংলাদেশের জনগণের পক্ষে কথা বলছে : গয়েশ্বর

বিদেশিরা বাংলাদেশের জনগণের পক্ষে কথা বলছে : গয়েশ্বর


পোস্ট করেছেন: dinersheshey | প্রকাশিত হয়েছে: সেপ্টেম্বর ১, ২০২৩ , ২:৫৪ অপরাহ্ণ | বিভাগ: রাজনীতি


দিনের শেষে প্রতিবেদক : অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের গণতান্ত্রিক ও সাংবিধানিক অধিকার তথা ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠায় আন্দোলন করছে বিএনপি। আর সেই আন্দোলনে গণতন্ত্রকামী বিদেশি রাষ্ট্রগুলো নিজস্ব বিবেচনাবোধ থেকে বাংলাদেশের জনগণের পক্ষে কথা বলছে।  সকালে বিএনপির ৪৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে জিয়াউর রহমানের সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদনের পর সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এমন দাবি করেছেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়। তিনি বলেছেন, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের প্রশ্নে বিদেশিদের কাছে না হলেও দেশের ১৮ কোটি মানুষের কাছে সরকারকে মাথা নত করতেই হবে। ১৮ কোটি মানুষের কাছে এ সরকারের সমর্থন নেই। সরকার বিদেশিদের কাছে মাথা নত করলো কি করলো না, এ নিয়ে বিএনপির মাথা ব্যথা নেই। গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, গণতান্ত্রিক বিশ্ব গণতন্ত্রের পক্ষে কথা বলছে, মানবাধিকারের পক্ষে কথা বলছে, ন্যায়বিচারের পক্ষে কথা বলছে। এটা গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র হিসেবে দায়িত্ববোধ থেকে বলছে। অর্থাৎ বিদেশি রাষ্ট্রগুলো বাংলাদেশের জনগণের ভোটাধিকার নিয়ে কথা বলছে। সুতরাং যদি মাথা নত করতে হয় সরকারকে ১৮ কোটি মানুষের কাছেই তা করতে হবে। বিদেশিদের বিএনপির পক্ষে সমর্থন প্রসঙ্গে অপর এক প্রশ্নে গয়েশ্বর বলেন, তাদের (বিদেশিদের) সমর্থন আদায় আমাদের লক্ষ্য নয়। আমরা গণতন্ত্রের জন্য লড়ছি, তারা (বিদেশিরা) গণতন্ত্রের পক্ষে কথা বলছে। আমরা ন্যায়বিচার চাই, তারাও এদেশে জাস্টিস চায়, জনগণের অধিকার যেন ভূলুণ্ঠিত না হয় সেটা তারাও চায়। তারা মানবাধিকারের কথা বলে, খুন-গুমের বিরুদ্ধে বলে। সুতরাং আমাদের এখানে বিদেশিদের কাছে চাওয়ার কোনো ব্যাপার নেই। তারা তাদের নিজস্ব বিবেচনাবোধ থেকে আমাদের দেশের জনগণের পক্ষে কথা বলছে। তিনি বলেন, সামাজিক ন্যায়বিচার, বহুদলীয় গণতন্ত্র, মানুষের ভোটাধিকার এবং মানুষের সাংবিধানিক অধিকার প্রতিষ্ঠাই বিএনপির প্রতিশ্রুতি। সে অনুযায়ী আমরা রাজপথে লড়ছি। দেশে গণতন্ত্র না ফেরা পর্যন্ত লড়বো। শেষ পর্যন্ত দাঁড়িয়ে থাকার বিকল্প নেই। আমরা শুধু নই, আজ দেশের ১৮ কোটি মানুষ দাঁড়িয়ে আছে। সুতরাং কোনো রাজনৈতিক দল পরাজিত হলেও জনগণ কখনো পরাজিত হয় না। গয়েশ্বর চন্দ্র বলেন, জিয়াউর রহমান একজন ক্ষণজন্মা পুরুষ। তিনি স্বাধীনতার ডাক দিয়ে কোনো শত্রু শিবিরে বন্দি ছিলেন না, আত্মসমর্পণ করেননি। সম্মুখ লড়াই করে, নয় মাস যুদ্ধ করে দেশ স্বাধীন করেছেন। সকাল সাড়ে ১০টায় দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ড. আব্দুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী শেরে বাংলা নগরে দলের প্রতিষ্ঠাতার সমাধিতে পুষ্পমাল্য অর্পণ করেন। এসময় প্রয়াত নেতার আত্মার শান্তি কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়। এসময়ে দলের ভাইস চেয়ারম্যান আলতাফ হোসেন চৌধুরী, শাহজাহান ওমর, আহমেদ আজম খান, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য আমান উল্লাহ আমান, আবদুস সালাম, আবুল খায়ের ভুঁইয়া, হাবিবুর রহমান হাবিব, ফরহাদ হালিম ডোনার, জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, কেন্দ্রীয় নেতা খায়রুল কবির খোকন, হাবিব উন নবী খান সোহেল, শ্যামা ওবায়েদ, আবদুস সালাম আজাদ, শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, মাসুদ আহমেদ তালুকদার, কায়সার কামাল, কামরুজ্জামান রতন, মীর সরাফত আলী সপু, রশিদুজ্জামান মিল্লাত, রফিকুল ইসলাম, ওবায়দুল ইসলাম, ফজলুল হক মিলন, নাজিম উদ্দিন আলম, মীর নেওয়াজ আলী, তাইফুল ইসলাম টিপু, সেলিমুজ্জামান সেলিম, কাজী আবুল বাশার, রফিক শিকদার প্রমুখ ছিলেন। এছাড়া ঢাকা মহানগর বিএনপির আমিনুল হক, ইউসুফ মৃধা, ছাত্রদলের সাইফ মাহমুদ জুয়েল, যুবদলের সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, শফিকুল ইসলাম মিল্টন, জাসাসের হেলাল খান, জাকির হোসেন রোকন,মহিলা দলের হেলেন জেরিন খান, নিলোফার চৌধুরী মনি, শাম্মী আখতার, ড্যাবের হারুন অর রশিদ,আবদুস সালাম, তাঁতী দলের আবুল কালাম আজাদ, উলামা দলের শাহ নেসারুল হক, নজরুল ইসলাম তালুকদার, মতস্যজীবী দলের আব্দুর রহিম, সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের কাদের গনি চৌধুরী, শামসুল আলম, কামরুল আহসান, নুরুল ইসলামসহ কেন্দ্রীয় ও অঙ্গসংগঠনের নেতারাও উপস্থিত ছিলেন। ১৯৭৮ সালের ১ সেপ্টেম্বর রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপি প্রতিষ্ঠা করেন। প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর উপলক্ষে শুক্রবার বিকেলে নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে বর্ণাঢ্য র্যালি বের করবে বিএনপি। দিবসটি উপলক্ষে এদিন সকালে নয়াপল্টন ও গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে দলীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়।