বিশুদ্ধ পানীয় জলের তীব্র সংকটে সাবরাংয়ের বাসিন্দারা
পোস্ট করেছেন: admin | প্রকাশিত হয়েছে: জুন ৯, ২০১৬ , ১২:৫৯ অপরাহ্ণ | বিভাগ: সারাদেশ
কক্সবাজার: অমাবস্যার অস্বাভাবিক জোয়ারে ভাসছে টেকনাফের সাবরাং ইউনিয়নের প্রায় ২০টি গ্রামের বাসিন্দারা। জোয়ারের কারণে অন্যত্র আশ্রয় নিলেও এসব গ্রামে দেখা দিয়েছে বিশুদ্ধ পানীয় জলের তীব্র সংকট।
বঙ্গোপসাগরের জোয়ারের পানি অস্বাভাবিকভাবে বৃদ্ধি পাওয়ায় গত ৫ দিন ধরে নিমজ্জিত রয়েছে সাবরাংয়ের ২০টি গ্রাম। এর মধ্যে শাহপরীর দ্বীপ, হারিয়াখালী, কচুবনিয়া, কাটাবনিয়া, লাফাঘোনা, ঘোলাপাড়া, ক্যাম্পপাড়া, মাঝেরডেইল, জালিয়াপাড়া, মগপুরা, উত্তরপাড়া, ডাংগরপাড়া, পশ্চিমপাড়া, মাঝরপাড়া, দক্ষিণপাড়া, হাজিপাড়া এলাকার অধিকাংশ গ্রামের নলকূপে লোনা পানি ঢুকে পড়ায় তা পানের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। এমনকি গৃহস্থালীর কাজেও ব্যবহার করা যাচ্ছে না এ পানি।
জোয়ারের পানিতে ভাসছে এসব গ্রামের প্রায় সাড়ে আট শতাধিক বসতবাড়ি। তলিয়ে গেছে অন্তত ৮৬টি পাতকুয়া ও ২৪১টি নলকূপ। ফলে এসব এলাকায় খাওয়ার পানির তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে।
পশ্চিমপাড়ার বাসিন্দা ফরিদুল আলম জানান, পুরো ইউনিয়নের ১৫টি গ্রাম জোয়ারের পানিতে তলিয়ে গেছে। প্রায় সাড়ে ৮ শতাধিক ঘরবাড়ি এখনো পানির নিচে রয়েছে।
ঘোলাপাড়ার গৃহিণী রমিদা আক্তার বলেন, প্রতিদিন দুই বার করে জোয়ারের পানি ঘরে ঢুকছে। এক বুক পরিমাণ পানি হওয়ায় নিরুপায় হয়ে বাঁধে পলিথিন টাঙ্গিয়ে আশ্রয় নিয়েছি। নলকূপে জোয়ারের পানি ঢুকায় খাবার পানির সংকট দেখা দিয়েছে।
সাবরাং ইউপির ৭নং ওয়ার্ডের সদস্য নুরুল আমিন বলেন, জোয়ার-ভাটার আতংকে ইউনয়িনের ৪০ হাজার মানুষের চোখে ঘুম নেই। এলাকায় বিশুদ্ধ পানির তীব্র সংকট। জরুরি ভিত্তিতে বিশুদ্ধ খাওয়ার পানির ব্যবস্থা না করলে স্থানীয় লোকজন ডায়রিয়া ও পানিবাহিত রোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
এ বিষয়ে সাবরাং ইউপি চেয়ারম্যান নুর হোসেন বলেন, জোয়ারের পানি কমতে শুরু করলেও প্লাবিত ২০টি গ্রামে বিশুদ্ধ পানীয় জলের সংকট দেখা দিয়েছে। এছাড়া দুই শতাধিক ঘরবাড়ি সাগরে বিলীন হয়ে দুই হাজার লোক আশ্রয়হীন হয়ে পড়েছে।
উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলী ক্য ছাই মং চাক জানান, লবণাক্ত পানির কারণে এসব গ্রামের পাতকূয়া ও নলকূপের পানি ব্যবহার অনুপযোগী হয়ে পড়েছে।
টেকনাফ উপজেলা চেয়ারম্যান জাফর আহমদ বলেন, ক্ষতিগ্রস্ত লোকজনের মধ্যে খাবার ও পানি বিতরণ করা হচ্ছে। তবে সরকারিভাবে ত্রাণ সামগ্রী এখনো পাওয়া যায়নি বলে জানান তিনি।