বিশ্বকাপে আফগানিস্তানকে দেখতে চান না পেইন
পোস্ট করেছেন: Dinersheshey | প্রকাশিত হয়েছে: সেপ্টেম্বর ১০, ২০২১ , ২:০৩ অপরাহ্ণ | বিভাগ: স্পোর্টস
দিনের শেষে ডেস্ক : মেয়েদের ক্রিকেট খেলার অধিকার কেড়ে নেওয়ার পর আফগানিস্তানকে আগামী বিশ্বকাপে দেখতে চান না টিম পেইন। অস্ট্রেলিয়ার টেস্ট অধিনায়কের মতে, দেশের জনসংখ্যার বড় অংশকে বঞ্চিত করা একটি দেশের সঙ্গে খেলা উচিত নয় কোনো দলেরই। আফগানিস্তানকে নিয়ে এখনও সিদ্ধান্ত না নেওয়ায় খোঁচা দিয়েছেন তিনি আইসিসিকে। ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া এর মধ্যেই স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে, তালেবান সরকার নারী ক্রিকেট চালু না করলে নভেম্বরে অনুষ্ঠেয় আফগানিস্তানের বিপক্ষে টেস্ট তারা খেলবে না। আফগানদের ভিসা দেওয়া হবে না বলে জানিয়ে দিয়েছেন অস্ট্রেলিয়ার ক্রীড়ামন্ত্রী। আফগানিস্তানে তালেবানের আগের মেয়াদের ক্ষমতায় ক্রিকেট নিষিদ্ধ ছিল ছেলে-মেয়ে সবার জন্যই। এবার গত মাসে কাবুলের নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার পর ছেলেদের ক্রিকেট চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেয় তারা। তবে মেয়েদের ক্রিকেট নিয়ে অটল থাকে আগের অবস্থানেই। টেস্ট মর্যাদা পাওয়া প্রতিটি দেশে নারী ক্রিকেট চালু থাকতে হবে এবং নারী দল থাকতে হবে, এটা আইসিসির শর্ত। আফগানিস্তানে পালাবদলের পর এখনও কোনো পদক্ষেপ নেয়নি বিশ্ব ক্রিকেটের নিয়ন্তা সংস্থাটি। বিবৃতি দিয়ে তারা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণের কথা জানায়। অস্ট্রেলিয়ার এসইনএন রেডিওতে আলাপচারিতায় পেইন এ নিয়ে তির ছুঁড়লেন আইসিসির দিকে। “আমার মনে হয় না, আমরা এমন দেশের সঙ্গে সম্পৃক্ত হতে চাই, যারা আক্ষরিক অর্থেই তাদের জনসংখ্যার প্রায় অর্ধেকের সুযোগ ও অধিকার কেড়ে নেয়। এটা দুঃখজনক। এই ধরনের একটি দল কিভাবে আইসিসি অনুমোদিত টুর্নামেন্টে খেলতে পারে, এটা দেখাটা খুব, খুব কঠিন হতে যাচ্ছে।” “আইসিসির কাছ থেকে এখনও কিছু শুনিনি আমরা। বিমোহিত হয়ে যাওয়ার মতো ব্যাপার এটি, বিশেষ করে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের যখন আর মাত্র এক মাসের একটুর ওপরে বাকি। আমি ধারণা করতে পারি, দলগুলি যদি তাদের বিপক্ষে খেলতে না চায় এবং বিভিন্ন দেশের সরকার তাদেরকে ভ্রমণ করতে না দেয়, তাহলে তাদের পক্ষে অসম্ভব (বিশ্বকাপে অংশ নেওয়া)।” ক্রিকেট ওয়েবসাইট ইএসপিএনক্রিকইনফোর খবর, আফগানিস্তানকে বয়কট করা নিয়ে বিশ্বকাপের আগে দলগুলি আলোচনা করবে বলেও ইঙ্গিত দিয়েছেন পেইন। আইসিসি আপাতত অপেক্ষা করছে নভেম্বরের বোর্ড সভার জন্য। তবে সদস্য দেশগুলোর চাপ অব্যাহত থাকলে কোনো সিদ্ধান্ত আসতে পারে আগেও। সম্প্রতি অস্ট্রেলিয়ার এসবিএস নিউজকে তালবান সরকারের সাংস্কৃতিক কমিশনের মুখপাত্র আহমাদউল্লাহ ওয়াসিক জানান, ধর্মীয় বাধ্যবাধকতার কারণে মেয়েদের ক্রিকেট সম্ভব নয়। “ক্রিকেট বা এই ধরনের খেলা, যেখানে মেয়েদের উন্মুক্ত হওয়ার সুযোগ আছে, সে ধরনের খেলার অনুমতি নেই ইসলাম ও ইসলামিক আমিরাতে। ক্রিকেটে তারা এমন অবস্থার মুখোমুখি হতে পারে, যেখানে তাদের মুখ ও শরীর ঢাকা থাকবে না। ইসলামে মেয়েদের এভাবে দেখানোর সুযোগ নেই। এটা মিডিয়ার যুগ এবং তাদের ছবি ও ভিডিও থাকবে (ক্রিকেট খেললে), আর লোকে তা দেখবে।”
“আমরা ধর্মের জন্য লড়াই করেছি, যেন ইসলাম অনুসরণ করা হয়। যতই পাল্টা প্রতিক্রিয়া হোক, আমরা ইসলামিক মূল্যবোধকে ক্ষতিগ্রস্থ করব না। ইসলামের আইন ছাড়ব না আমরা।”