বিশ্বমানের চিকিৎসাসেবা এখন জামালপুর এম রশীদ হাসপাতালে
পোস্ট করেছেন: Dinersheshey | প্রকাশিত হয়েছে: মার্চ ৯, ২০২৩ , ৮:১১ অপরাহ্ণ | বিভাগ: সারাদেশ
জামালপুর প্রতিনিধি : যমুনা ব্রহ্মপুত্রের সমতটে গড়ে ওঠা জামালপুর জেলার জনসংখ্যা প্রায় ২৪ লাখ। এ যাবৎ এই বিপুল পরিমাণ জনগোষ্ঠীর চিকিৎসা সেবায় ছিল না আধুনিকতার ছোঁয়া। এই অঞ্চলের রোগীদের পাড়ি জমাতে হতো বিভাগীয় শহর ময়মনসিংহ বা রাজধানী ঢাকায়। এতে অধিক ব্যয়ের পাশাপাশি ব্যাপক দুর্ভোগ পোহাতে হতো তাদের। তবে জেলার সাধারণ জনগণের কথা চিন্তা করে জামালপুরের স্বাস্থ্যসেবায় বৈপ্লবিক পরিবর্তন এনেছে এম এ রশিদ হাসপাতাল। এতে এই জেলার জনগণ পাচ্ছে উন্নত স্বাস্থ্যসেবা। ‘নির্ভুল চিকিৎসার আস্থায়, আমরা আছি আপনার পাশে’ এই অঙ্গীকার এম এ রশীদ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের। হাতের কাছে সাশ্রয়ী খরচে আন্তর্জাতিকমানের উন্নত চিকিৎসা ও স্বাস্থ্য পরিষেবা দিয়ে স্বল্প সময়ের মধ্যেই নজর কেড়েছে এই হাসপাতালটি। জামালপুর শহরের সরদারপাড়ায় দশতলা ভবনের এই হাসপাতালটি ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট একটি বিশেষায়িত হাসপাতাল। ঢাকার ইউনাইটেড হাসপাতাল লিমিটেড কর্তৃক পরিচালিত এবং ইউনাইটেড হাসপাতালের বিভিন্ন বিভাগের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকগণ নিয়মিত জামালপুরে এসে এই হাসপাতালে রোগী দেখছেন।
২০২১ সালে জামালপুর শহরের সরদারপাড়ায় ১ লাখ ৩৫ হাজার স্কয়ার ফুট জায়গাজুড়ে গড়ে ওঠে এম এ রশিদ হাসপাতাল। ইউনাইটেড গ্রুপের কর্ণধার হাসান মাহমুদ রাজার বাবা এম এ রশিদের নামানুসারে নামকরণ করা হয় হাসপাতালটির। ১০ তলা ভবনের ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট এই হাসপাতালে রয়েছে উন্নত যন্ত্রপাতি সমৃদ্ধ আধুনিক ও মড্যুলার অপারেশন থিয়েটার, এনআইসিইউ, আইসিইউ, সিসিইউ, ডায়ালাইসিস, অত্যাধুনিক ডায়াগনস্টিক ল্যাব,পূর্ণাঙ্গ রেডিওলজি সার্ভিসেস-১২ স্লাইস সিটি স্ক্যান, ১.৫ টেসলা এম আর আই, ডিজিটাল এক্সরে (১০০০ এম এ), ফিজিওথেরাপি ও ডায়েটারি সার্ভিসসহ সেরা ডাক্তারের চিকিৎসা ও আন্তর্জাতিক মানের সব পরিষেবা। এই হাসপাতালের কার্যক্রম পরিচালিত হয় ইউনাইটেড হেলথকেয়ার-এর সরাসরি তত্ত্ব¡াবধানে। ১৯টি বিভাগে বিশেষজ্ঞ অর্ধশত চিকিৎসক ও প্রায় ৪০০ জনবল দিনরাত সেবা প্রদান করে যাচ্ছে হাসপাতালটিতে আসা রোগীদের। এম এ রশিদ হাসপাতালের হেড অব অপারেশন এম এ জলিল খান বলেন, ইউনাইটেড গ্রুপের স্বত্বাধিকারী হাসান মাহমুদ রাজা তার পিতৃভূমিতে আন্তর্জাতিক মানের হাসপাতাল প্রতিষ্ঠা করেই ক্ষান্ত হননি বরং উন্নত চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করতে অত্যাধুনিক যন্ত্রপাতিসহ রোগীদের জন্য প্রয়োজনীয় সব ধরনের সুযোগ-সুবিধারও ব্যবস্থা করেছেন যাতে স্বল্প ব্যয়ে সহজেই হাতের নাগালে জরুরি স্বাস্থ্যসেবা সহজলভ্য হয়।