বিশ্বে যেভাবে পালিত হয় বাবা দিবস
পোস্ট করেছেন: dinersheshey | প্রকাশিত হয়েছে: জুন ২১, ২০২০ , ৫:৫১ পূর্বাহ্ণ | বিভাগ: জাতীয়
দিনের শেষে ডেস্ক : আজ বিশ্ব বাবা দিবস। প্রতি বছর জুন মাসের তৃতীয় রোববার বিশ্বজুড়ে পালিত হয় এই দিনটি। ব্যতিক্রম নয় বাংলাদেশও। এ দিনটিতে সামাজিক মাধ্যমজুড়ে বাবাদের নানাভাবে শুভেচ্ছা জানানো বা স্মরণ করা হয়। এখন তাহলে জেনে নেয়া যাক কীভাবে এলো বাবা দিবসটি। সূত্র: বিবিসি বাংলা
মা দিবস কয়েকশো বছর ধরে পালন করা হচ্ছে, কিন্তু সেই তুলনায় বাবা দিবসটি অনেক নতুন। দিবসটি সম্ভবত যুক্তরাষ্ট্রে প্রথম চালু হয়েছে এবং এর শুরু নিয়ে বেশ কয়েকটি গল্প আছে।
সবচেয়ে জনপ্রিয় এবং সম্ভবত গ্রহণযোগ্য গল্পটি হলো, ওয়াশিংটনের সোনোরা লুইস স্মার্ট নামের একজন নারী এই দিন উদযাপন শুরু করেন। ষষ্ঠ সন্তানের জন্ম দিতে গিয়ে তার মা মারা গেলে তার বাবা পরিবারটিকে বড় করে তোলেন।
১৯০৯ সালে সোনোরা গির্জার একটি বক্তব্যে মা দিবসের কথা জানতে পারেন। তখন তার মনে হলো, বাবার জন্যেও এরকম একটি দিবস থাকা উচিত।
স্থানীয় বেশ কয়েকজন ধর্মযাজক তার এই আইডিয়াটি গ্রহণ করেন। ধারণা করা হয়, ১৯১০ সালের ১৯ জুন প্রথমবারের মতো বাবা দিবসটি পালন করা হয়, যদিও তা আনুষ্ঠানিক ছিল না।
১৯৬৬ সালে মার্কিন প্রেসিডেন্ট লিন্ডন বি. জনসন সিদ্ধান্ত নেন যে, প্রতি বছর জুনের তৃতীয় রবিবার বাবা দিবস হিসাবে পালন করা হবে। ছয় বছর পর প্রেসিডেন্ট রিচার্ড নিক্সন এটিকে আইনে পরিণত করেন।
বিশ্বজুড়ে যেভাবে দিবসটি পালন করা হয়
থাইল্যান্ডে বাবা দিবস পালন করা হয় প্রয়াত রাজা ভূমিবল আদুলিয়াদেজের জন্মদিন ৫ই ডিসেম্বরে। রাজা ভূমিবলকে দেশটির জনক বলে মনে করা হয়। এদিন হলুদ রঙের কাপড় পরা সেখানকার প্রথা।
মেক্সিকো: মেক্সিকোয় বাবা দিবস বা ডিয়া ডেল পেড্রো উদযাপিত হয় জুন মাসের তৃতীয় রোববার।
এদিন মেক্সিকো সিটিতে তের মাইল লম্বা একটি দৌড় প্রতিযোগিতা হয়, যাকে বলা হয় ক্যানেরা ডিয়া ডেল পেড্রো। বাবাদের সঙ্গে সঙ্গে ওই দৌড়ে অংশ নেন সন্তানরাও।
জার্মানি: জার্মানিতে এই দিনে সন্তানদের সঙ্গে সময় কাটানোর বদলে বাবারা বরং একেকটি গ্রুপ হয়ে হাইকিং করতে যান। কখনো কখনো মদ বা খাবার ভর্তি টেনে তোলার মতো খেলা করেন।
নেপাল: নেপালে সন্তানরা এই দিনে তাদের পিতামাতাকে মিষ্টি কিনে দেন। কখনো কখনো সন্তানরা তাদের বাবার কাছ থেকে আশীর্বাদ নেন। যাদের বাবা মারা গেছেন, তারা সেই সমাধিস্থানে গিয়ে বাবাকে স্মরণ করেন।
ফ্রান্স: ফ্রান্সে বাবা দিবসটি ঐতিহ্যগতভাবে একটি ক্যাথলিক উৎসব। তবে উনিশ শতকে বাণিজ্যিক উদ্দেশ্যে এটির পুনঃপ্রচলন ঘটানো হয়। এই দিনে বাবাকে সবরকম উপহার দেয়া হয়ে থাকে, যার মধ্যে রয়েছে গোলাপ ফুলও।
ফ্রান্সের প্রথা হলো এটা যে, বাবা জীবিত থাকলে তাকে লাল গোলাপ দেয়া হবে। কিন্তু বাবা যদি মারা গিয়ে থাকেন, তাহলে তার সমাধিতে সাদা গোলাপ রেখে আসা।
বাংলাদেশে ব্যক্তিগতভাবে নানাজনে নানাভাবে দিবসটি পালন করে থাকেন। বাবার জন্য কেক কাটা হয়। দেয়া হয় ফুল, পোশাকসহ নানা ধরনের উপহার।